Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

১০৩টি ভাষা সমর্থন করবে গুগল ট্রান্সলেট

google-translate-banner[মানুষের কাছে পৌঁছাতে সেবাগুলোকে নিয়মিত ঢেলে সাজাচ্ছে প্রযুক্তি কোম্পানি গুগল। কার্যকর ও উন্নত সেবা প্রদানই মার্কিন প্রতিষ্ঠানটির মূল লক্ষ্য। গুগল ট্রান্সলেটে নতুন ১৩টি ভাষার সমর্থন যুক্ত করে লক্ষ্যে পৌঁছতে আরো এক ধাপ এগিয়ে গেল এ প্রতিষ্ঠান। এখন থেকে বিশ্বের ১০৩টি ভাষার অনুবাদ সেবা পাওয়া যাবে গুগল ট্রান্সলেটে, যা বিশ্বের ৯৯ শতাংশ অনলাইন ব্যবহারকারীর ভাষাগত সমস্যার সমাধান করবে বলে জানানো হয়েছে। খবর টেকক্রাঞ্চ।

গুগল ট্রান্সলেটের পথচলা শুরু প্রায় এক দশক আগে। অনুবাদ সেবাটিতে বিভিন্ন সময় নতুন ভাষা যুক্ত করা হয়েছে। সর্বশেষ আরো ১৩টি ভাষার অনুবাদ সেবা যুক্ত করল প্রতিষ্ঠানটি। গুগল ট্রান্সলেটে স্থান পাওয়া নতুন ভাষাগুলোর মধ্যে আমহেরিক (ইথিওপিয়া), ফ্রিসিয়ান (জার্মানি ও নেদারল্যান্ডস), কিরগিজ (কিরগিজস্তান), হাওয়াইয়ান (হাওয়াই), কুর্দিশ (তুরস্ক, ইরাক, ইরান, সিরিয়া), সিন্ধু (ভারত, পাকিস্তান), পাস্তো (আফগানিস্তান, পাকিস্তান), জোসা (দক্ষিণ আফ্রিকা) উল্লেখযোগ্য।

chardike-ad

প্রতিষ্ঠানটি এক ব্লগ পোস্টে জানায়, ২০০৬ সালের এপ্রিলে যখন যাত্রা শুরু হয়, তখন ইংরেজি থেকে শুধু আরবি, চীনা ও রাশিয়ান ভাষায় অনুবাদের সুবিধা ছিল। ১০ বছর দীর্ঘ সময়ে নতুন ১৩টিসহ মোট ১০৩টি ভাষা অনুবাদ করা সম্ভব হচ্ছে। শতাধিক ভাষা অনুবাদ করার সুযোগ তৈরি হলেও এখনো অনেক কাজ বাকি। গুগল ট্রান্সলেটকে কীভাবে আরো জনপ্রিয় করা যায়, প্রতিনিয়ত সে বিষয়ে কাজ করা হচ্ছে।

সংশ্লিষ্টরা জানান, একটি ভাষা অনুবাদের জন্য ছয়ভাবে সহায়তা করতে পারে গুগল ট্রান্সলেট। উপায়গুলো হলো টাইপ, টক, স্ন্যাপ, সি, রাইট ও অফলাইন। অর্থাৎ নির্দিষ্ট কোনো ভাষার একটি শব্দ টাইপ করে বিভিন্ন ভাষায় অনুবাদ করা যেতে পারে। গুগল ট্রান্সলেটের রিয়েল টাইম অনুবাদ ফিচার ব্যবহার করে দ্বৈত ভাষার কথোপকথনে অংশ নেয়া সম্ভব। এর স্ন্যাপ ফিচার ব্যবহার করে বিভিন্ন ছবির ওপর লেখা একাধিক ভাষায় অনুবাদ করা যায়। স্মার্টফোন ক্যামরা ব্যবহার করে কোনো একটি বাক্যের তাত্ক্ষণিক ভাষান্তর করা যায়। আঙুল দিয়ে কোনো ভাষার বর্ণ বা শব্দের চিত্র অঙ্কন করে অনুবাদ করা সম্ভব। এমনকি ইন্টারনেট সংযোগ ছাড়াও গুগল ট্রান্সলেট ব্যবহার করে ভাষার অনুবাদ করা যেতে পারে।

ইন্টারনেট সেবার প্রসারে গোটা বিশ্ব এখন একটি ডিজিটাল গ্রামে রূপান্তর হয়েছে। পৃথিবীর এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তের তথ্য মুহূর্তেই মানুষের নাগালে পৌঁছে যাচ্ছে। এক্ষেত্রে বড় সমস্যাটি হলো ভাষাগত। গুগল ট্রান্সলেট ব্যবহার করে এ সমস্যা অনেকটাই দূর করা সম্ভব।