Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

যৌথ মিসাইল মহড়া দ. কোরিয়া, যুক্তরাষ্ট্র ও জাপানের

North-South-Koreaআন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে কয়েক মাস ধরেই মাঝারি পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র উেক্ষপণ করে যাচ্ছে উত্তর কোরিয়া। এসব পরীক্ষার বেশির ভাগই ব্যর্থ হলেও গত সপ্তাহে পরিচালিত আপাত সফল পরীক্ষাটি গোটা অঞ্চলকে আতঙ্কিত করে তুলেছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে হাওয়াইয়ে যৌথ মিসাইল-ট্র্যাকিং ড্রিল শুরু করেছে দক্ষিণ কোরিয়া, যুক্তরাষ্ট্র ও জাপান। এই প্রথমবারের মতো দেশ তিনটি কোনো যৌথ মহড়ায় অংশ নিল, যা উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে আন্তর্জাতিক মহলের সম্পর্ক আরেক দফা বৈরী করে তুলেছে। খবর বিবিসি।

এদিকে উত্তর কোরিয়ার পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, সামরিকভাবে উত্তেজনা সৃষ্টি করতেই এসব মহড়া পরিচালনা করা হচ্ছে। উল্লেখ্য, উত্তর কোরিয়া ক্ষেপণাস্ত্র ছাড়াও চারটি পরমাণু অস্ত্র পরীক্ষা চালিয়েছে। দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদ মাধ্যমগুলোর খবরে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্যান্য ‘শত্রু বাহিনী’ উত্তর কোরিয়ার নিরাপত্তার ওপর অব্যাহতভাবে হুমকি সৃষ্টি করে যাচ্ছে। যৌথ মহড়ায় ভীত না হয়ে নিজেদের ক্ষেপণাস্ত্র ও পরমাণু অস্ত্র পরীক্ষা আরো জোরদারের অঙ্গীকার করেছে দেশটি।

chardike-ad

যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বিভাগের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ‘প্যাসিফিক ড্রাগন’ নামের যৌথ মহড়াটি এরই মধ্যে অংশগ্রহণকারী তিন দেশের সম্পর্ক আরো মজবুত করেছে। তবে এ মহড়া থেকে কোনো ক্ষেপণাস্ত্র উেক্ষপণ করা হয়নি। তবে অংশগ্রহণকারী প্রতিটি দেশ এজিস মহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্র প্রযুক্তির যোগাযোগ ও তথ্য সংগ্রহ সক্ষমতা পরীক্ষা করেছে।

এজিস সিস্টেমের মাধ্যমে যুদ্ধজাহাজ থেকে শত্রুপক্ষের ব্যালিস্টিক মিসাইল গুলি করে ভূপাতিত করা যায়। এক্ষেত্রে ক্ষয়ক্ষতির কোনো ঝুঁকি তৈরির আগেই এ পদক্ষেপ নেয়া যায়।

জাতিসংঘের রেজ্যুলেশন অনুযায়ী, ব্যালিস্টিক মিসাইল প্রযুক্তি ব্যবহার উত্তর কোরিয়ার জন্য নিষিদ্ধ। কিন্তু এর পরও ২২ জুন কয়েক ঘণ্টার মধ্যে দুবার ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালিয়েছে দেশটি। দুটি পরীক্ষাই মধ্যমাত্রার মোসোডান মিসাইল। তিন হাজার কিলোমিটার বেগের এ ক্ষেপণাস্ত্র দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান ও পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরের যুক্তরাষ্ট্রের অঞ্চলের মধ্যে আঘাত হানতে যথেষ্ট। পিয়ংইয়ংয়ের এ পদক্ষেপকে দেশটির অস্ত্র কর্মসূচির বেশ অগ্রগতি হিসেবেই দেখা হচ্ছে। জাপান একে মারাত্মক হুমকি হিসেবে দেখছে।

দক্ষিণ কোরিয়ায় মার্কিন ক্ষেপণাস্ত্র স্থাপনা নিয়ে চীনের সতর্কতা: দক্ষিণ কোরিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের থাড মিসাইল সামরিক ব্যবস্থা স্থাপন বিষয়ে দেশটিকে সতর্ক হওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। খবর রয়টার্স।

টার্মিনাল হাই আলটিটিউড এরিয়া ডিফেন্স (থাড) ব্যবস্থা স্থাপনে আলোচনা শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়া। উত্তর কোরিয়ার পরমাণু বোমা ও ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার সূত্র ধরে তারা এ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা স্থাপন করতে চাচ্ছে। তবে এ বিষয়ে চীন ও রাশিয়ার আপত্তি রয়েছে। তাদের দাবি, এটি তাদের নিরাপত্তার ক্ষেত্রে হুমকি সৃষ্টি করবে।