Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

তিন দিন আগে আমেরিকা থেকে এসেছিলেন অবিন্তা

bd-pratidin-04-07-16-F-05গুলশানে জঙ্গি হামলায় নৃশংসভাবে নিহত হওয়ার মাত্র তিন দিন আগে আমেরিকা থেকে দেশে এসেছিলেন অবিন্তা কবির। স্প্যানীয় রেস্টুুরেন্টে দেখা করতে গিয়েছিলেন সহপাঠীর সঙ্গে। কিন্তু কে জানত প্রাণবন্ত এই কিশোরীর জন্য অপেক্ষা করছে করুণ মৃত্যুর হাতছানি।

বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত অবিন্তা কবির (১৮) ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক। থাকতেন মিয়ামিতে। তিনি ছিলেন ইমোরি অক্সফোর্ড কলেজের ২য় বর্ষের শিক্ষার্থী। ২০১৯ সালে তার গ্র্যাজুয়েট হওয়ার কথা ছিল। পরিবারের সঙ্গে ঈদ করবেন বলে গত ২৭ জুন দেশে আসেন তিনি। ইফতারের পরপরই তিনি তার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আরেক বন্ধু ও এই ঘটনায় নিহত ফারাজ আইয়াজ হোসেনের সঙ্গে দেখা করতে হলি আর্টিজানে যান। অবিন্তা ফেসবুক প্রোফাইল থেকে দেখা যায় যে সদা হাস্যোজ্জ্ব্বল তরুণীটি ছিলেন স্টুডেন্ট অ্যাক্টিভিটিজ কমিটির সঙ্গে জড়িত। তবে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করলেও অবিন্তা তার প্রোফাইলে যুক্তরাষ্ট্র না লিখে তিনি প্রিয় দেশ বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে উল্লেখ করেছেন। এ থেকে তার দেশের প্রতি ভালোবাসা প্রকাশ পায়। তিনি বাংলাদেশের বিখ্যাত সুপার স্টোর ল্যাভেন্ডারের মালিক মনজুর মোরশেদের নাতনি। তার সঙ্গে দুজন গানম্যানও ছিল। তারাও জঙ্গি আক্রমণে গুরুতর আহত হয়ে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি আছেন। অবিন্তার বাবা আমেরিকার নাগরিক। মা রুবা আহমেদ বাংলাদেশি হলেও আমেরিকার নাগরিকত্ব পেয়েছেন।

chardike-ad

বাবার কাছে বেড়াতে এসেছিলেন তারুশি : বাবার কাছে ঢাকায় বেড়াতে এসেছিলেন ভারতীয় তরুণী তারুশি জৈন। শুক্রবার রাজধানীর গুলশানে আর্টিজান রেস্তোরাঁয় সন্ত্রাসী হামলায় নিহত হন তিনি। ওই রেস্তোরাঁয় খাবার খেতে গিয়েছিলেন দুই বন্ধুর সঙ্গে। দুজনই বাংলাদেশি। আমেরিকার আটলান্টায় ইমোরি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফারাজ আইয়াজ হোসেন ও অবিন্তা কবিরের সঙ্গে। তিন বন্ধু নিজেদের মধ্যে দেখা-সাক্ষাৎ করার জন্য গিয়েছিলেন গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে। ফিরেছেন তিনজনই, তবে লাশ হয়ে। তারুশি শিক্ষা বৃত্তি পেয়েছিলেন বার্কলে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। ঢাকায় কাজ করতে হবে, সে জন্যই ঢাকায় এসেছিলেন তিনি। বাবাকে এ বিষয়ে আগে বলেও রেখেছেন। ঢাকা তার পছন্দের একটি জায়গা ছিল। ১৯ বছর বয়সী তারুশি যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়ায় (বার্কলে) পড়াশোনা করতেন। আমেরিকান স্কুল ঢাকা থেকে পাস করে গেছেন। বাবার কাছে ঢাকায় তিনি ছুটি কাটাতে এসেছিলেন। তারুশির বাবা সঞ্জীব জৈন দিল্লির বাসিন্দা। দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশে পোশাকের ব্যবসা তার। শুক্রবার রাত পৌনে ৯টার দিকে  একদল অস্ত্রধারী গুলশান ২ নম্বরের ৭৯ নম্বর সড়কে হামলা চালালে সেখানে তারুশিও আটকা পড়েন। শনিবার ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ এক টুইট বার্তায় জানান, ‘আমি অত্যন্ত বেদনার সঙ্গে জানাচ্ছি, ঢাকায় সন্ত্রাসীদের হাতে জিম্মি ভারতীয় তরুণী তারুশি অস্ত্রধারীদের হামলায় নিহত হয়েছেন।’