বেইজিংগামী উত্তর কোরিয়ার এয়ার করইয়ো এয়ার লাইন্সের একটি বিমান গত মাসে জরুরি অবতরণের পর চীন এ সংস্থাটির বিমান চলাচল সীমিত করতে যাচ্ছে। কেবিনে ধোঁয়া দেখা যাওয়ায় পিয়ং ইয়ং থেকে বেইজিংগামী এযার করইয়োর ওই বিমানটি চীনের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের শেনইয়াং শহরে জরুরি অবতরণ করেছিল। তবে সে সময় কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
বৃহিস্পতিবার বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চীনের বেসামরিক বিমান চলাচল প্রশাসন প্রাসঙ্গিক পদক্ষেপ হিসেবে এয়ার করইয়োর অপারেশন সীমিত করার ঘোষণা দিয়েছে। তবে এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য দেয়নি বেইজিং।
রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন পরিবহন সংস্থার প্রশিক্ষণ এবং রক্ষণাবেক্ষণ আরো উন্নত করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এয়ার করইয়োর বেশিরভাগ আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চীনগামী। তবে অল্প কিছু ফ্লাইট উত্তর কোরিয়া থেকে রাশিয়ায় সেবা দিয়ে আসছে।
ফ্লাইটগ্লোবালের কর্মকর্তা গ্রেগ ওয়ালড্রন বলেন, উত্তর কোরিয়ার এই এয়ারলাইন সম্ভবত বঞ্চিত এয়ারলাইন হতে যাচ্ছে। বেশ কিছু পুরনো বিমান চলাচল করে উত্তর কোরিয়ার এই বিমানসংস্থার বহরে। পুরনো যন্ত্রপাতি নিয়ে অপারেশন অব্যাহত রাখা কঠিন।
চীনের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ এ পদক্ষেপের বিষয়ে বিস্তারিত কোনো তথ্য দেয়নি। তবে ওয়ালড্রনের ধারণা, এটি সম্ভবত উত্তর কোরিয়ার এ বিমানসংস্থার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা অথবা এক ধরনের জরিমানা।
তিনি বলেন, ‘তারা কি করতে পারে তা বলা সত্যিই কঠিন। উত্তর কোরিয়া এবং চীনের যে কোনো বিষয় জটিল, কেননা সবকিছুর পেছনে দুই দেশের রাজনীতি জড়িত।