Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

রেমিটেন্স আহরণকারী সেরা ১০ ব্যাংক

base_1471894890-14081377_1432965170052651_1175285003_nদেশের বৈদেশিক মুদ্রার দ্বিতীয় বৃহত্তম উত্স প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স। ২০১৫ সালের এপ্রিল থেকে চলতি বছরের জুন পর্যন্ত প্রবাসীরা দেশে পাঠিয়েছেন ১ হাজার ৮৯৮ কোটি ডলার । দেশের ব্যাংকিং চ্যানেলে পাঠানো এ রেমিট্যান্সের প্রায় ৭৬ শতাংশ বা ১ হাজার ৪১৮ কোটি ডলার এসেছে ১০টি ব্যাংকের মাধ্যমে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ২৫ শতাংশ এসেছে বেসরকারি খাতের ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে।
রেমিট্যান্স আহরণে শীর্ষ ১০ ব্যাংকের দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ স্থানে রয়েছে যথাক্রমে রাষ্ট্রায়ত্ত অগ্রণী, সোনালী ও জনতা ব্যাংক। এ তালিকায় থাকা বাকি ছয়টি ব্যাংক বেসরকারি খাতের। এগুলো হলো— ন্যাশনাল, উত্তরা, ডাচ্-বাংলা, পূবালী, ব্যাংক এশিয়া ও প্রাইম ব্যাংক লিমিটেড।
রেমিট্যান্স আহরণ ধারাবাহিকভাবে কমলেও শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে ইসলামী ব্যাংক। ২০১৫ সালের এপ্রিল-জুন প্রান্তিকে প্রবাসীদের পাঠানো মোট রেমিট্যান্সের ২৬ দশমিক ২৫ শতাংশ ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে এলেও ধারাবাহিকভাবে কমে চলতি বছরের এপ্রিল-জুন প্রান্তিকে তা ২৩ দশমিক ৯২ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। যদিও ২০১৫ সালের এপ্রিল থেকে চলতি বছরের জুন পর্যন্ত প্রবাসী আয়ের এক-চতুর্থাংশ এসেছে ব্যাংকটির মাধ্যমে।

প্রবাসীদের কষ্টার্জিত অর্থ দেশে থাকা স্বজনদের কাছে পৌঁছে দেয়ার ক্ষেত্রে তৃতীয় স্থানে রয়েছে রাষ্ট্রায়ত্ত সোনালী ব্যাংক। ব্যাংকটির মাধ্যমে ২০১৫ সালের এপ্রিল থেকে চলতি বছরের জুন পর্যন্ত দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ১৭৮  কোটি ৩০ লাখ ডলার, যা মোট রেমিট্যান্সের প্রায় ১০ শতাংশ। ব্যাংকটির মাধ্যমে ২০১৫ সালের এপ্রিল-জুন প্রান্তিকে ৩৯ কোটি ২০ লাখ, জুলাই-এপ্রিল প্রান্তিকে ৩৬ কোটি, অক্টোবর-ডিসেম্বর প্রান্তিকে ৩৩  কোটি ৪০ লাখ, চলতি বছরের জানুয়ারি-মার্চ প্রান্তিকে ৩৩  কোটি ৩০ লাখ ও এপ্রিল-জুন প্রান্তিকে ৩৬  কোটি ২০ লাখ ডলার রেমিট্যান্স দেশে এসেছে।
রেমিট্যান্স আহরণে এর পরই রয়েছে রাষ্ট্রায়ত্ত জনতা ব্যাংক। ব্যাংকটির মাধ্যমে এ সময় দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ১৬০ কোটি ডলার, যা নির্ধারিত সময়ে দেশে আসা মোট রেমিট্যান্সের প্রায় ৯ শতাংশ।
পঞ্চম স্থানে রয়েছে দেশের বেসরকারি খাতের ন্যাশনাল ব্যাংক। ব্যাংকটির মধ্যমে এ সময় রেমিট্যান্স এসেছে ৮৫  কোটি ৮০ লাখ ডলার, যা মোট রেমিট্যান্সের ৪ দশমিক ৫ শতাংশ। তবে ২০১৫ সালের এপ্রিলের পর থেকে ধারাবাহিকভাবে কমেছে ব্যাংকটির রেমিট্যান্স আহরণের পরিমাণ। গত বছরের এপ্রিল-জুন প্রান্তিকে ন্যাশনাল ব্যাংক ১৯  কোটি ২০ লাখ ডলার রেমিট্যান্স আহরণ করলেও চলতি বছরের এপ্রিল-জুন প্রান্তিকে তা ১৬ কোটি ৬০ লাখ ডলারে নেমে এসেছে।
রেমিট্যান্স আহরণে ষষ্ঠ স্থানে রয়েছে বেসরকারি উত্তরা ব্যাংক। গত বছরের এপ্রিল থেকে চলতি বছরের জুন পর্যন্ত ব্যাংকটি রেমিট্যান্স আহরণ করেছে ৭২ কোটি ৬০ লাখ ডলার, যা এ সময়ে দেশে আসা মোট রেমিট্যান্সের প্রায় ৪ শতাংশ।

chardike-ad

সপ্তম স্থানে থাকা বেসরকারি ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের এ সময়ে রেমিট্যান্স আহরণের পরিমাণ ৭১  কোটি ২০ লাখ ডলার, যা মোট রেমিট্যান্সের ৩ দশমিক ৭৫ শতাংশ।
রেমিট্যান্স আহরণে অষ্টম, নবম ও দশম স্থানে রয়েছে যথাক্রমে বেসরকারি পূবালী, ব্যাংক এশিয়া ও প্রাইম ব্যাংক। এ সময় এ তিনটি ব্যাংকের রেমিট্যান্স আহরণের পরিমাণ যথাক্রমে ৬৮ কোটি, ৫৬ কোটি ও ৪৪ কোটি ডলার।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র শুভঙ্কর সাহা বলেন, যেসব ব্যাংকের নেটওয়ার্ক বিদেশে শক্তিশালী, সেসব ব্যাংকের রেমিট্যান্স আহরণ বেশি। ইসলামী ব্যাংক ও রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর বিদেশে নেটওয়ার্ক শক্তিশালী হওয়ায় তাদের মাধ্যমে বেশি রেমিট্যান্স আসছে। অনেক দেশের মুদ্রার মান ডলারের বিপরীতে কমে যাওয়ায় দেশে রেমিট্যান্সপ্রবাহ কমছে।
১৯৯৪-৯৫ অর্থবছর থেকে ধারাবাহিকভাবে বাড়লেও ২০১৩-১৪ অর্থবছর প্রথমবারের মতো ধাক্কা খায় রেমিট্যান্সপ্রবাহ। ২০১৪-১৫ অর্থবছর বাড়লেও ২০১৫-১৬ অর্থবছর আবার কমে যায় প্রবাসী আয়।
বর্তমানে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে প্রায় এক কোটি বাংলাদেশী কর্মরত। দেশের শ্রমশক্তির প্রধান বাজার সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কুয়েত, ওমান, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, দক্ষিণ করিয়া, আফ্রিকাসহ বিশ্বের নানা প্রান্তের বিভিন্ন দেশ। বিদেশে কর্মরত দেশী শ্রমিকদের প্রায় ৭৫ শতাংশই মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোয় কর্মরত। বণিকবার্তার সৌজন্যে।