Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

trump

একের পর এক বিতর্কিত মন্তব্য, নারীদের নিয়ে অশ্লীল আলাপন, মুসলিমদের যুক্তরাষ্ট্র থেকে বের করে দেওয়ার হুমকি, নির্বাচনী বিতর্কের সবকটিতে হেরে যাওয়া—এসবের কোনোটাই বাধা হয়ে দাঁড়াল না। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে শেষ হাসি হাসলেন রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। ২৭৬টি ইলেক্টোরাল কলেজ ভোট পেয়ে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করেছেন তিনি।

chardike-ad

নির্বাচনের শুরু থেকেই জনমত জরিপগুলোতে এগিয়ে ছিলেন ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী হিলারি ক্লিনটন। এমনকি পররাষ্ট্রনীতি, অর্থনীতি কিংবা রাষ্ট্র পরিচালনার জ্ঞানে ডোনাল্ড ট্রাম্পের চেয়ে এগিয়ে থাকলেও ভোটের দৌড়ে পারলেন না তিনি। বিশেষত যে অশ্বেতাঙ্গ, মুসলিম ও অভিবাসীদের ভোটে জয়ের স্বপ্ন দেখছিলেন, সেসব জনগোষ্ঠীর পক্ষ থেকেও প্রয়োজনীয় সমর্থন পেতে ব্যর্থ হয়েছেন হিলারি। সর্বশেষ পাওয়া ফলে ২১৮টি ইলেক্টোরাল কলেজ ভোট পেয়ে ট্রাম্পের চেয়ে অনেক পিছিয়ে সাবেক মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

দোদুল্যমান যে অঙ্গরাজ্যগুলো বরাবরই নির্বাচনে জিততে মূল ভূমিকা রাখে, সেগুলোতে জয়ী হয়েছেন ট্রাম্প। ১৭টি ইলেক্টর থাকা অঙ্গরাজ্য ওহাইও, ২৯টি ইলেক্টরের ফ্লোরিডা, ১৫টি ইলেক্টরের নর্থ ক্যারোলাইনা, ৬ ইলেক্টরের আইওয়া, ২০ ইলেক্টরের পেনসিলভানিয়ায় জয়ী হয়েছেন তিনি।

অন্যদিকে ৫৫ ইলেক্টরের ক্যালিফোর্নিয়া, ১২ ইলেক্টরের ওয়াশিংটন, ২৯ ইলেক্টরের নিউইয়র্ক, ১৩ ইলেক্টরের অঙ্গরাজ্য ভার্জিনিয়াতে জয়ী হয়েছেন হিলারি। কিন্তু এসব জয় ব্যবধান গড়তে পারেনি।

নির্বাচনের ফল প্রকাশের শুরুতে গুরুত্বপূর্ণ তিনটি অঙ্গরাজ্যে জিতে ডোনাল্ড ট্রাম্প লড়াইয়ে এগিয়ে যান। তবে হিলারি প্রবল পরাক্রমে এগিয়ে আসেন। এরপর ট্রাম্পের জয়জয়কার দেখা যায়।

হোয়াইট হাউসে যেতে দরকার ২৭০ ইলেক্টোরাল কলেজ ভোট। মোট ইলেক্টোরাল কলেজ ভোট আছে ৫৩৮টি।

উত্তর আমেরিকার বৃহত্তম রাষ্ট্র যুক্তরাষ্ট্রে সময়চক্রের ভিন্নতার কারণে স্থানীয় সময় মঙ্গলবার ৫০ অঙ্গরাজ্যের একেকটিতে একেক সময় ভোট শুরু হয়। বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যে এই ভোট চলে বাংলাদেশ সময় মধ্যরাত পর্যন্ত।