Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

রাজশাহীতে বেপরোয়া জঙ্গি হামলার দৃশ্য ধারণ

jonliরাজশাহীর গোদাগাড়ীতে সন্দেহভাজন জঙ্গি আস্তানায় অভিযানের সময় জঙ্গি পরিবারের এক সদস্য ধারালো অস্ত্র নিয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েন। ফায়ার সার্ভিসের এক কর্মীকে তার উপর্যপুরি কোপানোর দৃশ্যের ভিডিও ধারন করেছে গণমাধ্যম কর্মীরা।

মোট এক মিনির পাঁচ সেকেন্ডের এই ভিডিওটি এরই মধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। এতে দেখা যায়, পুলিশের মাইকে আত্মসমর্পণের আহ্বান উপেক্ষা করে বাইরে এসে হামলা চালায় ওই পরিবারের সদস্যরা। এদের মধ্যে দুই জন নারীও ছিলেন।

chardike-ad

বুধবার রাতেই গোদাগাড়ী উপজেলার মাটিকাটা ইউনিয়নের হাবাসপুর মাছমারা বেনীপুর গ্রামে সন্দেহভাজন জঙ্গি আস্তানাটির সন্ধান পায় পুলিশ। বৃহস্পতিবার ভোরে আস্তানাটিকে ঘিরে অভিযানের প্রস্তুতি শুরু হয়। পুলিশ ছাড়াও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা সেখানে অবস্থান নেয়।

এক পর্যায়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে সন্দেহভাজন জঙ্গিরা ঝাঁপিয়ে পড়ে অভিযানে যাওয়া সদস্যদের ওপর। এ সময় নিহত হন ফায়ার সার্ভিসের কর্মী আবদুল মতিন। এর পর পরই সন্দেহভাজন জঙ্গি পরিবারের এক সদস্য ‘আত্মঘাতী’ বিস্ফোরণ ঘটায়, যাতে পাঁচ জন নিহত হয়।

এই হামলার ভিডিওটিতে দেখা যায়, এক নারী ধারালো অস্ত্র হাতে কাউকে কোপাচ্ছেন। তার পাশে লুঙ্গি পরিহিত এক পুরুষে হাতে ছিল শাবল বা বল্লমজাতীয় অস্ত্র।

এ সময় আরও একজন নারী মাঠে বসেছিলেন। পরে পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেন। তার নাম সুমাইয়া খাতুন। তার দুই সন্তানকেও পুলিশ জীবিত উদ্ধার করেছে।

সুমাইয়ার বাবা ও বাড়ির মালিক সাজ্জাদ হোসেনও আত্মঘাতী বিস্ফোরণে নিহত হয়েছেন। আর সুমাইয়ার স্বামী জহুরুল ইসলাম কয়েক মাস আগে জঙ্গি তৎপরতার অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছেন। তিনি এখন গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগারে বন্দী।

ভিডিও দেখতে এখানে ক্লিক করুন