Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

মুমূর্ষু আ.লীগ নেতার অ্যাম্বুলেন্স থামিয়ে এমপি বদির সেলফি

Badiকক্সবাজারের উখিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উখিয়া বঙ্গমাতা মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ হামিদুল হক চৌধুরী মাথায় রক্তক্ষরণজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে হয়েছেন। তাকে বর্তমানে ঢাকার বিআরবি (গ্যাস্ট্রোলিভার) হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। ঈদের দ্বিতীয় দিন ২৮ জুন রাতে তিনি উখিয়াস্থ বাড়িতে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন।

ওইদিন রাতে তাকে চট্টগ্রামের ম্যাক্স হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তিনি বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের তত্ত্বাবধানে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন ছিলেন। অবস্থার অবনতি হলে তাকে শুক্রবার এয়ার অ্যাম্বুলেন্সযোগে ঢাকা নিয়ে যাওয়া হয়। ওইদিন তাকে অ্যাম্বুলেন্সে তোলার সময় অ্যাম্বুলেন্স থামিয়ে সেলফি তোলেন এমপি বদি।

chardike-ad

চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, রক্তক্ষরণজনিত কারণে তাকে ভর্তি করা হয়। পরীক্ষার পর ধরা পড়েছে হামিদুল হক চৌধুরী দীর্ঘদিন ধরে লিভার ও জন্ডিসের রোগে ভুগছিলেন। এরসঙ্গে তার আরও কয়েকটি রোগ ধরা পড়েছে। সব মিলিয়ে তার শারীরিক অবস্থা ভালো নয়।

এ অবস্থায় অসুস্থতার খবর পেয়ে তাকে দেখতে যান কক্সবাজার-৪ আসনের আওয়ামী লীগদলীয় সাংসদ আবদুর রহমান বদি। কিন্তু অসুস্থ হামিদুল হক চৌধুরীকে অ্যাম্বুলেন্সে তোলার সময় অ্যাম্বুলেন্স থামিয়ে এমপি বদি সেখানে সেলফি তোলেন। তার তোলা ওই সেলফি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। পরবর্তীতে এ নিয়ে নানা মহলে সমালোচনার ঝড় ওঠে।

একজন মুমূর্ষু রোগীর অ্যাম্বুলেন্স থামিয়ে সেলফি তোলাকে বিভিন্নজন বিভিন্নভাবে মন্তব্য করেছেন। অনেকে একে তামাশা বলে উল্লেখ করেছেন।

এ নিয়ে স্থানীয় যুবলীগ নেতা আবুল হোসেন আবু তার ফেসবুক পোস্টে এমপি বদির সেলফি পোস্ট দিয়ে লিখেছেন, মৃত্যুপথযাত্রী রোগী নিয়ে এমপি বদির সেলফি…!

তার সে স্ট্যাটাসে মন্তব্য করছেন অনেকে। তার মধ্যে উখিয়া উপজেলা কৃষকলীগ সভাপতি সোলতান মাহমুদ চৌধুরী লিখেছেন, সস্তা জনপ্রিয়তার এক অভিনব রাজনীতি।

আলমগীর কক্স নামের একজন লিখেছেন, আজব দুনিয়ারে ভাই একজন মরে। আরেকজন সেলফি জ্বরে ভোগে। ওনার সুস্থতা কামনা করি।

ছোটন বড়ুয়া নামে একজন লিখেছেন, সব লোক দেখানো…। এটা সবাই বুঝে।

এছাড়া ফয়সাল নামে একজন লিখেছেন, অসুস্থ মানুষকে নিয়েও রাজনীতি করে একমাত্র বদি। সেবা করতেছে করুক, ছবি তুলে ফেসবুকে দিতে হবে কেন? আবার একজন লিখেছেন, নায়কের মুখে গুশশা গুশশা ভাব! হা হা হা, মজা পাইলাম।