Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

মালয়েশিয়ায় সন্দেহ হলেই আটক, আতঙ্কে কয়েক লাখ অভিবাসী

malaysiaমালয়েশিয়ায় থামছে না সাঁড়াশি অভিযান। সন্দেহ হলেই জেলে দিচ্ছে মালয়েশিয়ান ইমিগ্রেশন। এমন পরিস্থিতিতে কয়েক লাখ অবৈধ অভিবাসীর ভবিষ্যৎ অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছে। আত্মগোপনে থেকেও রেহাই পাচ্ছেন না। বাসা-বাড়ি, শপিংমল, কারখানা, কনস্ট্রাকশন সাইড ও রাস্তা-ঘাটে সর্বত্র চলছে সাঁড়াশি অভিযান।

গত ১ জুলাই মধ্যরাত থেকে শুরু হওয়া অভিযানে সাড়ে ৭০০ বাংলাদেশিসহ আড়াই হাজার অভিবাসীকে আটক করেছে পুলিশ। সোমবার (৩ জুলাই) সকালে রাজধানীর মেইড ভেলির শপিং মলের ফুডকোডে আড়াই ঘণ্টার অভিযানে ৮০ বাংলাদেশিসহ ১৩৫ অবৈধ শ্রমিককে আটক করেছে পুলিশ। বুধবার সকাল থেকে কুয়ালালামপুরের জালান ইপু, মোতিয়ারা কমপ্লেক্স, চেকিট এলাকায় অভিযান চালিয়েছে। তবে কতজন আটক হয়েছে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত তা জানা যায়নি।

chardike-ad

এমন পরিস্থিতির মধ্যে প্রবাসীরা ভিড় জমিয়েছেন দূতাবাসে। বুধবার সরেজমিনে দেখা গেছে, বাংলাদেশ দূতাবাসে প্রচুর শ্রমিকের সমাগম। কেউ কেউ জানতে চাচ্ছেন সর্বশেষ পরিস্থিতি আবার কেউ কেউ এসেছেন নতুন পাসপোর্র্ট করতে। দূতাবাসের কর্মকর্তারাও প্রবাসীদের সেবাদানে সচেষ্ট।

এদিকে অভিযানের সময় যারা নানা কারণে মালয়েশিয়ায় ঢোকার চেষ্টা করছেন তাদের সন্দেহ হলেই জেলে দেয়া হচ্ছে। বৈধ কাগজ থাকার পরও অনেক বাংলাদেশি জেল খেটে দেশে ফিরে এসেছেন বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে।

প্রসঙ্গত, মালয়েশিয়ায় কর্মরত বিভিন্ন দেশের অবৈধ শ্রমিকদের বৈধতা নিশ্চিতের জন্য ই-কার্ড নিবন্ধনের মাধ্যমে গত ৩০ জুন পর্যন্ত সময় দিয়েছিল দেশটির অভিবাসন কর্তৃপক্ষ। তবে আপাত ব্যবস্থা হিসেবে ওই অবৈধ শ্রমিকদের ৩০ জুনের মধ্যে ই-কার্ড নিবন্ধন করে কাজের অনুমতিপত্র সংগ্রহ করতে বলেছিল মালয়েশিয়া সরকার।

নিবন্ধনের সময়সীমা পার হওয়ায় কয়েক লাখ শ্রমিকের মাঝে বিরাজ করছে আতঙ্ক। এরমধ্যে বাংলাদেশি শ্রমিকের সংখ্যা বেশি। এ সংখ্যা তিন লাখের বেশি বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ জন্য নিয়োগদাতাদের দুষছে অভিবাসন কর্তৃপক্ষ এবং শ্রমিকরা।