Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

কাতার সংকট নিয়ে আলোচনায় বসছে ৪ দেশ

qatarকাতার সংকট ইস্যু নিয়ে আলোচনায় বসতে যাচ্ছে ১৩ শর্ত দেওয়া ৪ দেশ বাহরাইন, মিশর, সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত। জঙ্গি ইস্যু নিয়ে কাতারকে বয়কট করার এক মাস পর এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে।

গত ৫ জুন মধ্যপ্রাচ্যে চরমপন্থীদের মদদের অভিযোগ তুলে কাতারের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করে দেশগুলো। এরপর গত ২৩ জুন এ সংকট নিরসনে কাতারকে ১৩টি শর্ত দিয়ে তা মেনে নেওয়ার জন্য ১০দিনের সময় বেঁধে দেওয়া হয়। বেঁধে দেওয়া এই সময় আরও দুই দিন বাড়ানো হয়েছে। আজই বাড়ানো মেয়াদ শেষ হচ্ছে। বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, শর্তের মেয়াদ শেষ হওয়ার পরই কায়রোতে আলোচনা বসবে দেশগুলো।

chardike-ad

কাতারে পাঠানো ওই চার দেশের শর্তের প্রথমেই আছে আল জাজিরা টেলিভিশন চ্যানেলটি বন্ধকরার দাবি। এর পরের শর্ত হিসেবে ইরান ও তুরস্কের সঙ্গে সামরিক ও কূটনৈতিক সম্পর্ক হ্রাসের দাবিও করা হয়েছে। এছাড়া কাতারে তুরস্কের সামরিক ঘাঁটি বন্ধ করে দেওয়ার দাবিও জানানো হয়েছে।

দাবিতে ওই এলাকার নিষিদ্ধ ঘোষিত চরমপন্থী সংগঠন মুসলিম ব্রাদারহুডের সঙ্গে সকল সম্পর্ক ছিন্ন করার কথাও বলা হয়েছে।

কাতারে অবস্থান করা ওই চার দেশের তালিকাভূক্ত সন্ত্রাসীদের হস্তান্তরের দাবিও জানিয়েছে দেশ চারটি। চরমপন্থী যেকোনো কোনো সংগঠনে অর্থায়ন বন্ধ করার বিষয়টিও গুরুত্ব সহকারে বলা হয়েছে।

সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, মিশর ও বাহরাইনের স্বার্থের বিরুদ্ধে কাজ করে এমন প্রতিষ্ঠানের বিস্তারিত তথ্যও দেওয়ার কথা জানিয়েছে তারা।

এদিকে, সৌদি আরবের নেতৃত্বে মধ্যপ্রাচ্যের ৪ দেশের দেওয়া এই ১৩ শর্ত বারবার প্রত্যাখ্যান করেছে কাতার। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী আল-থানি জানিয়েছেন, সবাই অবগত যে দাবিগুলো কাতারের সার্বভৌমত্বকে লঙ্ঘন করে। বিশ্ব আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী পরিচালিত হয় বলে বিশ্বাস করে কাতার। এই আইন ছোট দেশের ওপর বড় দেশের বলপ্রয়োগ অনুমোদন করে না। তিনি বলেন, একটি সার্বভৌম দেশের ওপর আল্টিমেটাম জারির অধিকার কারও নেই।

মন্ত্রী বলেন, দাবিগুলো নাকচ করা হয়েছে। এসব দাবি কখনোই মানা হবে না। সৌদি আরব ও তার সহযোগী দেশগুলোর দাবি নাকচ করার পাল্টা প্রতিক্রিয়া কী হবে, তা নিয়ে কাতার ভীত নয়। যেকোনো পরিণতি মোকাবিলায় কাতার প্রস্তুত। আর এই দাবিগুলো প্রত্যাখানের কারণে কোনো ধরনের সামরিক পদক্ষেপকেও ভয় পায় না দোহা।