Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

বৈধ অভিবাসীদের সংখ্যা অর্ধেক করতে চান ট্রাম্প

usaযুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসন আইন ঢেলে সাজাতে বৃহস্পতিবার নতুন অভিবাসন বিল উপস্থাপনের ঘোষণা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বিলটিতে পারিবারিক কোটাসহ কয়েকটি ক্যাটাগরিতে বৈধ অভিবাসন কমিয়ে আনতে বিভিন্ন উদ্যোগ নেয়ার পাশাপাশি কানাডার আদলে পয়েন্ট ভিত্তিতে অভিবাসনের প্রস্তাব করা হয়েছে। সংবাদসূত্র : গার্ডিয়ান, রয়টার্স

বিলটি গৃহীত হলে প্রতিবছর যুক্তরাষ্ট্রে বৈধ অভিবাসনের সংখ্যা ১০ লাখ থেকে ৫ লাখে নেমে আসবে। প্রস্তাবিত বিলটি উপস্থাপনের পর ব্যাপক বিতর্কের সৃষ্টি হলেও এতে শিক্ষিত তরুণদের জন্য সম্ভাবনার দুয়ার খুলে যাবে বলে মনে করছেন অনেকে। বৃহস্পতিবার হোয়াইট হাউসে রিপাবলিকান দলীয় সিনেটর টম কটন ও সিনেটর ডেভিড পার্ডুকে সঙ্গে নিয়ে নতুন অভিবাসন বিল কংগ্রেসে উপস্থাপনের কথা জানান প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প।

chardike-ad

‘রিফর্মিং আমেরিকান ইমিগ্রেশন ফর স্ট্রং ইকোনমি’ নামে প্রস্তাবিত এই অভিবাসন নীতি যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতিকে শক্তিশালী করবে উল্লেখ করে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেন, ‘এখন থেকে প্রতিযোগিতামূলক আবেদন পদ্ধতির মাধ্যমে ইংরেজিতে পারদর্শী দক্ষ শ্রমজীবীদের সুযোগ দেয়া হবে, যারা নিজেদের ভাগ্যোন্নয়নের পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতিতে অবদান রাখতে সক্ষম হবে।

তিনি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র এবার প্রথমবারের মতো মেধাভিত্তিক অভিবাসন নীতি গ্রহণের প্রক্রিয়া শুরু করেছে। এতে সাধারণ মার্কিনিদের স্বার্থরক্ষার পাশাপাশি দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হবে। মজুরি বাড়ার কারণে একদিকে যেমন দারিদ্র্য কমবে, তেমনি করদাতাদের সেবা নিশ্চিত করা যাবে। এ কারণে গ্রিনকার্ড নীতিতে পরিবর্তন আনা জরুরি।’

প্রতিবছর যুক্তরাষ্ট্রে ১১ লাখ অভিবাসী গ্রিনকার্ড নিয়ে প্রবেশ করছে। নিয়মানুযায়ী ৫ বছর তাদের খোরপোশ ও স্বাস্থ্য সেবার ব্যয়ভার স্পন্সরের বহন করার কথা থাকলেও এর অর্ধেকের বেশি সরকারি সুবিধার ওপর নির্ভরশীল থাকছে। প্রতি ১৫ জনের একজন মাত্র দক্ষ শ্রমশক্তি হওয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বলে জানান ‘রেইজ’ বিলের অন্যতম প্রস্তাবক সিনেটর ডেভিড পার্ডু।

তিনি বলেন, ‘প্রচলিত অভিবাসন নীতির মাধ্যমে আমরা নিজেরাই নিজেদের সর্বনাশ ডেকে এনেছি। নিম্ন আয় আর নির্ভরশীল অভিবাসীরা এ দেশের বোঝা ছাড়া আর কিছুই না। যুক্তরাষ্ট্রের দরজা এখন থেকে তাদের জন্যই খোলা থাকবে যারা বৈধ উপায়ে দেশের অর্থনীতিতে ভূমিকা রাখবে, নিয়মিত কর দেবে।’ বর্তমান অভিবাসন ব্যবস্থা অকার্যকর হয়ে পড়েছে উল্লেখ করে সিনেটর টম কটন বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের ৫০ বছরের ইতিহাস বদলে দিতে এটি হবে সবচেয়ে যুগোপযোগী ব্যবস্থা।