Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

দেশবিরোধী চক্রান্তের অভিযোগে সাংসদকে গ্রেপ্তারের পক্ষে কোরিয়ার সংসদে ভোট পাশ

অনলাইন প্রতিবেদক, ৮ সেপ্টেম্বর ২০১৩:

দক্ষিণ কোরিয়ার সংসদ সদস্যরা দেশবিরোধী চক্রান্তে জড়িত থাকার অভিযোগে একজন সাংসদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির বিষয়ে তাঁদের পূর্ণ সমর্থন ব্যক্ত করেছেন। এর ফলে সংসদ অধিবেশন চলাকালীন উক্ত সাংসদকে গ্রেপ্তারে আর কোন আইনগত বাঁধা রইলো না। বুধবার কোরীয় সংসদে উত্থাপিত এ সংক্রান্ত একটি বিল নিরঙ্কুশ ভোটে পাস হয়। লি সিওক-কি নামের ওই সাংসদ ইউনিফাইড প্রোগ্রেসিভ পার্টির (ইউপিপি) সদস্য। বামপন্থী এ সংগঠনটি ২৯৮ আসনবিশিষ্ট কোরিয়ান সংসদে ৬টি আসনের অধিকারী।

chardike-ad

দক্ষিণ কোরিয়ার জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার অভিযোগমতে, লির নেতৃত্বে গত মে মাসে একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় যেখানে উত্তর কোরিয়ার সাথে যুদ্ধ শুরু হলে একটি জাতীয় পরিবহণ সংস্থার ভবনসহ বেশ কিছু স্থাপনায় হামলার পরিকল্পনা করা হয়। গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদনে লির সংগঠন ইউপিপিকেও এ চক্রান্তে জড়িত থাকার দায়ে অভিযুক্ত করা হয়েছে।

তবে লি শুরু থেকেই এ অভিযোগ অস্বীকার করে একে তাঁর বিরুদ্ধে একটি ‘মধ্যযুগীয় ষড়যন্ত্র’ বলে অভিহিত করে আসছেন। এক বিবৃতিতে লি বলেন, “জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা আমার বিরুদ্ধে একটি ভয়াবহ অভিযোগ এনেছে- বিদ্রোহের ষড়যন্ত্রে জড়িত থাকার অভিযোগ; তাঁদের কর্মকাণ্ডে মনে হচ্ছে তাঁরা যেন মধ্যুযুগীয় ডাইনি শিকারে নেমেছেন। আমার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সত্য না মিথ্যা সেটা যাচাই হওয়ার আগেই আমাকে গ্রেপ্তার করতে জাতীয় সংসদে সম্পূর্ণ অযৌক্তিক ও অশোভনীয় প্রস্তাব আনা হয়েছে।”

PYH2013090508690031500_P2এদিকে ইউপিপি বলছে, গেলো বছরের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার প্রভাব খাটানোর অভিযোগ থেকে জনগণের দৃষ্টি অন্যদিকে সরানোর লক্ষ্যেই লির বিরুদ্ধে এ মিথ্যা অভিযোগ আনা হয়েছে।

জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা গেলো সপ্তাহে ইউপিপির একাধিক নেতাকর্মীর বাসভবন ও কার্যালয়ে অভিযান চালিয়ে দলটির তিনজন সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে। তবে ‘পার্লামেন্টারি ইমিউনিটি’ সুবিধার আওতায় একজন সাংসদকে সংসদ অধিবেশন চলাকালীন গ্রেপ্তার করতে সংসদের অনুমতি প্রয়োজন হওয়ায় লিকে গ্রেপ্তারে সংসদে প্রস্তাব আনা হল। তবে তাঁর বিরুদ্ধে এখন কোন জেলা আদালত কর্তৃক পরোয়ানা জারি করা হবে কিনা তা স্পষ্ট নয়।

উল্লেখ্য, সাবেক এই ছাত্রনেতার বিরুদ্ধে ২০০২ সালে একটি নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ আনা হয়েছিল। পরে রাষ্ট্রপতির সাধারণ ক্ষমায় তাঁকে সে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়।