Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

‘নিষেধাজ্ঞার হাজার গুণ বেশি মূল্য দিতে হবে যুক্তরাষ্ট্রকে’

kim
ফাইল ছবি

জাতিসংঘের নতুন নিষেধাজ্ঞায় উত্তর কোরিয়া যে পরিমাণ অর্থনৈতিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রকে তার ‘হাজার গুণ বেশি ক্ষতি’ করার হুমকি দিয়েছে পিয়ংইয়ং। নিরাপত্তা পরিষদে শনিবার সর্বসম্মতিক্রমে নিষেধাজ্ঞা আরোপের ওই মার্কিন প্রস্তাব গৃহীত হয়। একে ‘সহিংস পন্থায় সার্বভৌমত্বের লঙ্ঘন’ হিসেবে দেখছে উত্তর কোরিয়া। একঘরে করার মাধ্যমে দেশটিকে দমিয়ে দিতেই যুক্তরাষ্ট্র এমন পদক্ষেপ নিয়েছে বলে দাবি তাদের।

জুলাই মাসে দুটি আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষাকে কারণ দেখিয়ে দেশটির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের মার্কিন প্রস্তাবে সম্মত হয় নিরাপত্তা পরিষদ। নিষেধাজ্ঞার জবাবে সোমবার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্খা কেসিএনএতে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে উত্তর কোরিয়া জানায়, সপ্তাহান্তে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে যে নিষেধাজ্ঞা পাস করা হয়েছে তা ‘সার্বভৌমত্বের সহিংস লঙ্ঘন’ এবং দেশটিকে একঘরে করা ও দমিয়ে দেওয়ার প্রচেষ্টা।’

chardike-ad

নিরাপত্তা পরিষদে সর্বসম্মতিভাবে পাশ হওয়া মার্কিন প্রস্তাবের মাধ্যমে উত্তর কোরিয়ায় রফতানি নিষিদ্ধ ও বিনিয়োগ সীমাবদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। যদিও তাদের রফতানির জায়গা খুবই সীমাবদ্ধ। প্রতিবেশী দেশ চীনেই কয়লাসহ অন্যান্য কাঁচামাল রফতানি করে থাকে তারা। ধারণা করা হয়, বছরে ৩০০ কোটি ডলারের রফতানি করে তারা। নতুন এই নিষেধাজ্ঞায় ১০০ কোটি ডলারের মতো পণ্যের রফতানি বন্ধ হয়ে যাবে। নিষেধাজ্ঞার আওতায় যেসব উল্লেখযোগ্য রফতানি রাজস্ব অর্জনকারী পণ্য -কয়লা, লোহা, সীসা এবং সামুদ্রিক খাদ্য। বিবৃতিতে উত্তর কোরিয়া দাবি করেছে, নিষেধাজ্ঞার কারণে সরকারের ৩ বিলিয়ন বার্ষিক রফতানির এক তৃতীয়াংশ কমে যাবে। নিষেধাজ্ঞাকে ‘অপরাধ’ হিসেবে উল্লেখ করেছে পিয়ং ইয়ং। এর জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে ‘এক হাজার গুণ বেশি মূল্য দিতে হবে’ বলেও সতর্ক করেছে দেশটি।

চলতি বছরেই উত্তর কোরিয়ার উপর চাপ দেওয়ার জন্য তাদের মিত্র চীন কয়লা আমদানি বন্ধ করে দেয়। তবে যুক্তরাষ্ট্রসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের বারবার নিষেধাজ্ঞার পরেও তাদের ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা বন্ধ করা যায়নি। এর আগে ভেটো ক্ষমতার অধিকারী চীন জাতিসংঘের নিরাপত্তা কাউন্সিল কর্তৃক বড় ধরনের নিষেধাজ্ঞার হাত থেকে উত্তর কোরিয়াকে রক্ষা করছিলো। এবার তারাও নিষেধাজ্ঞায় সম্মতি দিয়েছে।

জাতিসংঘের পদক্ষেপের জবাবে উত্তর কোরিয়া কী ব্যবস্থা নিতে যাচ্ছে তা বিবৃতিতে বলা হয়নি। তবে দেশটি বলছে, পারমাণবিক ও ব্যালাস্টিক মিসাইল কর্মসূচির কারণে অতিরিক্ত নিষেধাজ্ঞা দিয়েও তাদেরকে আলোচনায় বাধ্য করা যাবে না। নিষেধাজ্ঞার বিপরীতে দেওয়া উত্তর কোরিয়ার বিবৃতিতে বলা হয়, ‘আমরা আমাদেরকে আত্মরক্ষামূলক পারমাণবিক কর্মসূচিকে আলোচনার টেবিলে নেব না। পারমাণবিক সক্ষমতা বাড়ানোর প্রচেষ্টা থেকে আমরা কখনও এক পা পিছু হটব না।’

কোরীয় উপসাগর অঞ্চলে চলমান এই সংকট নিরসনে উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে আলোচনার আগ্রহ প্রকাশ করেছে দক্ষিণ কোরিয়া। শনিবার দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী কাং কিউইয়ুং-হয়া জানান, চলতি সপ্তাহে একটি আঞ্চলিক সম্মেলনে উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে সরাসরি আলোচনায় বসতে রাজি সিউল।