Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

আরো শক্তিশালী ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করছে উত্তর কোরিয়া

kimআগের চাইতে অনেক বেশি শক্তিশালী আন্তমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্র তৈরিতে কাজ করছে উত্তর কোরিয়া। গত বুধবার উত্তর কোরিয়ার সরকারি বার্তা সংস্থায় প্রকাশিত ক্ষেপণাস্ত্র রকেট ইঞ্জিনের একটি ছবি বিশ্লেষণ করে বৃহস্পতিবার অস্ত্র বিশেষজ্ঞরা এ তথ্য জানিয়েছেন।

বার্তা সংস্থা রয়টার্স বিশেষজ্ঞদের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, যদি উত্তর কোরিয়া সত্যিকারর্থে এই রকেট ইঞ্জিন উন্নয়নে কাজ করে থাকে তাহলে তারা ওয়াশিংটন ও নিউ ইয়র্কসহ যুক্তরাষ্ট্রের মূল ভূখন্ডে আঘাত হানার সক্ষমতা অর্জনের দিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে।

chardike-ad

বুধবার বার্তা সংস্থা কেসিএনএ যে ছবি প্রকাশ করেছে তাতে দেখা গেছে, দেশটির প্রেসিডেন্ট কিম জং উন হুয়াসং-১৩ নামে তিন স্তরের একটি রকেটের ডায়াগ্রামের পাশে দাঁড়িয়ে আছেন।

ক্ষেপণাস্ত্র বিশেষজ্ঞরা ছবিটি সতর্ক বিশ্লেষণের পর জানিয়েছেন, রকেটটির পরিপূর্ণ উন্নয়ণ হয়েছে তার কোনো ইঙ্গিত দেখা যায়নি। যদি কোনো কারণে এটি পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ না হয়ে থাকে তাহলে এর লক্ষ্যবস্তুর দূরত্ব পরিমাপ অসম্ভব।

তারা আরো জানিয়েছেন, গত জুলাইয়ে হুয়াসং-১৪ নামে দ্বি-স্তরের আন্তমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছিল উত্তর কোরিয়া। আর দ্বি-স্তরের তুলনায় তিন স্তরের রকেট বেশি শক্তিশালী হতে পারে।

দক্ষিণ কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তাসহ বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, হুয়াসং-১৪ ক্ষেপণাস্ত্রটি ১০ হাজার কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম। তার মানে হচ্ছে এটি যুক্তরাষ্ট্রের পূর্ব উপকূল ছাড়া অধিকাংশ অঞ্চলেই আঘাত হানতে সক্ষম।

সিউলের কুংনাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সামরিক বিশেষজ্ঞ কিম ডং ইয়াব বলেন, ‘হুয়াসং-১৩-কে আমাদের ১২ হাজার কিলোমিটার রেঞ্জের আন্তমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্র হিসেবে বিবেচনা করা উচিৎ, যেটি যুক্তরাষ্ট্রের মূল ভূখন্ডের পুরোটাতেই আঘাত হানতে সক্ষম।’

উত্তর কোরিয়া যে কোনো স্থান থেকে প্রায় ১১ হাজার কিলোমিটার দূরত্বের মধ্যে ওয়াশিংটন ও নিউ ইয়র্ক পড়ে।

দক্ষিণ কোরিয়ার অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ বিশেষজ্ঞ ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুন সাং-মাক বলেন, ‘এটা দেখা যাচ্ছে যে, তারা অনেক বেশি শক্তি ও পাল্লার জন্য তিন স্তরের রকেট ডিজাইন নিয়ে কাজ করছে। তারা ৯ হাজার থেকে ১০ হাজার কিলোমিটার পাল্লার হুয়াসং-১৪ পরীক্ষা চালিয়েছে। এটা যে আরো বেশি দূরত্বের হবে -এটি তারই বার্তা দিচ্ছে।’