
উত্তর কোরিয়া গোপনে পরমাণু শক্তিচালিত ডুবোজাহাজ তৈরি করছে। আগামী দু’বছরের মধ্যে এটি নির্মাণের কাজ শেষ হবে বলে দেশটি প্রত্যাশা করছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একটি তথ্যাভিজ্ঞ মহলের বরাত দিয়ে এ খবর দিয়েছে জাপানি দৈনিক সেকাই নিপ্পো। সূত্রটি উত্তর কোরিয়ার পরিস্থিতি সম্পর্কে পরিচিত বলেও দাবি করেছে দৈনিকটি।
খবরে আরো দাবি করা হয়েছে, উত্তর কোরিয়ার নাম্পো ন্যাভাল শিপইয়ার্ডে এটি নির্মাণে একযোগে সহায়তা করছে চীন ও রাশিয়ার প্রকৌশলীরা।
ডিজেল-বিদ্যুতের চেয়ে পরমাণু ডুবোজাহাজ নির্মাণের কাজ তুলনামূলক ভাবে জটিল ও ব্যয় বহুল। অবশ্য পরমাণু ডুবোজাহাজের গতি অনেক বেশি হয়। সাগর তলে প্রায় অনির্দিষ্টকাল ওঁত পেতে বসে থাকতে পারে। জ্বালানির জন্য পানির ওপর ওঠার কোনো প্রয়োজন না থাকায় এমনটি সম্ভব হয়। এ ছাড়া, এ ধরণের ডুবোজাহাজ দিয়ে চালানো যায় বহুমুখী ও বিস্তৃত তৎপরতা।
পরমাণু ডুবোজাহাজ সাধারণ ভাবে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র সজ্জিত হয়ে থাকে। ভূমিভিত্তিক ক্ষেপণাস্ত্রের চেয়ে তুলনামূলক সংগোপনে ও নিঃশব্দে এ অস্ত্র পানির তল থেকে ছোঁড়া যায়। পিয়ংইয়ংয়ের ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি দিনের পর দিন জোরদার হয়ে উঠছে। এ ছাড়া, দেশটি ২০১৪ সাল থেকে এ পর্যন্ত অন্তত ছয় দফা ডুবোজাহাজ থেকে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুঁড়েছে।
উত্তর কোরিয়া বহরে ৫০ থেকে ৬০টি ডিজেল-বিদ্যুৎ চালিত ডুবোজাহাজ রয়েছে। পরমাণু ডুবোজাহাজ যোগ হলে তাতে নৌবহরের সক্ষমতা নিঃসন্দেহে এক লাফে বহুদূর এগিয়ে যাবে।