sohag-and-zakir-bslক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ছাত্রসংগঠন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ ২৪ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেছে জামায়াতের ছাত্রসংগঠন ইসলামী ছাত্রশিবির। গতকাল স্থানীয় আদালতে মামলাটি করেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) ছাত্র শিবিরের সাহিত্য বিষয়ক সম্পাদক নাবিউল ইসলাম।

মামলায় শিবিরের ওই নেতা ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ সোহরাওয়ার্দী হলে ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মীদের ব্যাপক মারপিট করার অভিযোগ এনেছেন। রাজশাহী মহানগর মুখ্য হাকিম আদালতের বিচারক জুলফিকার উল্লাহ মামলাটি আমলে নেন। সেই সঙ্গে এজাহার হিসেবে রেকর্ড করার জন্য রাজশাহীর বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার মতিহার থানাকে নির্দেশ দেন।

chardike-ad

মামলার বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগ নেতা আসাদুল্লাহিল গালিব বলেন, ‘মামলা দিয়ে রাবি শাখা ছাত্রলীগকে দমিয়ে রাখা যাখা যাবে না। শিবিরের বিরুদ্ধে সব সময় রাজপথে আছে, থাকবে ছাত্রলীগ। শিবিরের মতো নামধারী সন্ত্রাসী সংগঠনের সঙ্গে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ কখনো আপস করবে না।’

বাদী পক্ষের আইনজীবী আবু মোহাম্মদ সেলিম জানান, চলতি বছরের ৮ আগস্ট শহীদ সোহরাওয়ার্দী হলে ১৩ ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মীকে ব্যাপক মারধর করে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। মূলত এই অভিযোগেই বৃহস্পতিবার রাবি শিবিরের সাহিত্য বিষয়ক সম্পাদক নাবিউল ইসলাম মহানগর মুখ্য হাকিম আদালতে মামলা করেন। মামলায় ১৪৩, ১৪৭, ১৪৮, ১৪৯, ৩০৭, ৩২৩, ৩২৪, ৩২৫ ও ৩২৬ ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে বলে জানান তিনি।

নাবিউলের করা মামলার এজাহারভুক্ত আসামিরা হলেন, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ, সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসাইন, রাবি ছাত্রলীগের সভাপতি গোলাম কিবরিয়া, সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ রুনু, সহ-সভাপতি মাহফুজ আল আমিন, সাদ্দাম হোসেন, মিজানুর রহমান সিনহা, শাদীদ মুনতাসির এলাহী, বরজাহান আলী, আহমেদ সজীব, সাংগঠনিক সম্পাদক সাবরুন জামিল সুস্ময়, চঞ্চল কুমার অর্ক, মুশফিক আহমেদ তন্ময়, আবিদ আহসান লাবন, মেহেদী হাসান মিশু, দপ্তর সম্পাদক আবুল বাশার, প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক আসাদুল্লাহীল গালিব, সাংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক রুবেল হোসেন, উপ-গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক আবদুল হক, সহ-সম্পাদক আরমান কায়সার আবির, আবদুল্লাহীল কাফি, মামুন আলী, উপ-সম্পাদক কায়সার আহমেদ ও বহিষ্কৃত ছাত্রলীগ কর্মী অনিক মাহমুদ বনি।

রাবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ রুনু বলেন, ‘মামলার কথা আমরাও শুনেছি। শিবির এসব মামলা-হামলা করে ছাত্রলীগকে প্রতিহত করতে পারবে না। আমরা কেন্দ্রীয় নির্দেশনা মেনে সবসময় রাজপথে আছি।’ তবে মামলার বিষয়ে রাবি শিবিরের সাহিত্য বিষয়ক সম্পাদক নাবিউল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

রাজশাহীর মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মেহেদি হাসান বলেন, ‘আমরা আদালত থেকে কোন ধরনের মামলার নথি পাইনি। নথিপত্র থানায় আসলে মহামান্য আদালতে নির্দেশনা অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।’