Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

বিমানে ফোন বন্ধ করে রাখতে হয় কেন?

airplane-modeঅন্তত একবার হলেও যারা বিমানে চলাফেরা করেছেন, তারা এই বিষয়টার সাথে পরিচিত। আবার হয়ত মুভিতেও দেখে থাকবেন অনেক সময়, বিমান ছাড়ার আগেই এয়ারহোস্টেস বা এনাউন্স সিস্টেম থেকে আপনাকে বলা হবে আপনার ফোন বন্ধ করে রাখতে কিংবা এয়ার প্লেন মোড অন করে রাখতে?

কেন করা হয় আসলে এটা? এটা কি সত্যিই খুব জরুরী বিষয়? আমেরিকায় ১৯৯০ সালে এই নিষেধাজ্ঞা চালু করা হয়। কিন্তু কেন?

chardike-ad

বলা হয়ে থাকে, বিমান চলার সময় সেলফোন ও রেডিও জাতীয় কোন কিছু চালু থাকলে সেটা বিমান চালনায় বাধা তৈরি করতে পারে। বিমানের বিভিন্ন ইলেকট্রিকাল যন্ত্রাংশে কার্যক্রমে সমস্যা তৈরি করতে পারে চিন্তা করেই এই নিষেধাজ্ঞা তৈরি করা হয়। তবে এখন পর্যন্ত এমন কোন ঘটনার প্রত্যক্ষ প্রমাণ পাওয়া যায়নি, যেখানে সেলফোন এর রেডিও তরঙ্গের কারণে বিমানের কোন যন্ত্রাংশে ক্ষতি হয়েছে বা এরকম কিছু।

তবে এতকিছুর পরেও বিমান কর্তৃপক্ষ বিষয়টাকে অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে নিয়ে থাকেন এবং বিমান মাটি ছেড়ে ওঠার আগে বার বার যাত্রীদের অনুরোধ করা হয় যেন সেলফোন ও অন্যান্য কিছু যেগুলো রেডিও তরঙ্গ নির্ভর, যেমন ব্লুটুথ, ওয়াই-ফাই ইত্যাদি যেন বন্ধ নয়ত এয়ারপ্লেন মোডে রাখা হয়।

যদিও এটা এতদিনে প্রমাণ পাওয়া গেছে যে, সরাসরি বিমানের কার্যক্রমে ক্ষতি করবে বা বিমানের নিরাপত্তাকে হুমকির মুখে ফেলবে এরকম কোন কারণে নেই। তবে সেলফোন চালু থাকলে বা এয়ারপ্লেন মোডে না থাকলে সেটা থেকে বের হওয়া তরঙ্গ বিমানের যোগাযোগ ব্যবস্থায় কিছু প্রভাব রাখে। পাইলট এয়ার কন্ট্রোল টাওয়ারের সাথে যোগাযোগের সময় নয়েজ বা বিভিন্ন রকম শব্দ পেতে পারেন, যার কারণে তিনি হয়ত কোন কথা বা ইন্সট্রাকশন পরিষ্কারভাবে বুঝতে পারবেন না। এই বুঝতে না পারা বিমানের নিরাপত্তায় সমস্যা তৈরি করতে পারে।

তবে আজকাল প্রযুক্তি অনেকটাই আধুনিক হয়ে গেছে এবং এখন বিভিন্ন বিমানে ওয়াই-ফাই ইন্টারনেট সেবাও দেয়া হয়। সুতরাং বলা যায়, যে ঝুঁকির কথা চিন্তা করে বিমানে সেলফোন চালু রাখার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিল, সেটা এখন আর কার্যকর নেই অতটা।

তবে বিষয়টা যেহেতু নিরাপত্তা, তাই সামান্য আশঙ্কা থাকলেও সেটার বিষয়ে সর্বোচ্চ সুরক্ষা ব্যবস্থা নেয়াটা সবসময়ই উপকারী। সৌজন্যে: প্রিয়ডটকম