সিউল, ০৩ অক্টোবর:
সৌদি সরকার ঘোষিত সাধারণ ক্ষমার আওতায় এ পর্যন্ত প্রায় সাত লাখ বাংলাদেশী শ্রমিক বৈধ হয়ে স্পন্সর ও পেশা পরিবর্তনের সুযোগ নিয়েছেন। দেশটিতে কর্মরত অবৈধ ও মেয়াদোত্তীর্ণ শ্রমিকদের সাধারণ ক্ষমার সময় শেষ হচ্ছে আগামী ৩ নভেম্বর। এ সময়ের মধ্যে বৈধ না হলে ৪ নভেম্বর থেকে অবৈধভাবে অবস্থানকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেবে দেশটির সরকার।
সৌদি আরবে বাংলাদেশ দূতাবাস সূত্রে জানা গেছে, সাধারণ ক্ষমার আওতায় বৈধ হওয়া ৭ লাখ বাংলাদেশীর মধ্যে প্রায় ৩ লাখ ১০ হাজারকে আউটপাস ইস্যু, নতুন পাসপোর্ট ইস্যু, পুরনো পাসপোর্ট নবায়নসহ বিভিন্ন সেবা দিয়েছে রিয়াদে বাংলাদেশ দূতাবাস ও জেদ্দায় বাংলাদেশ কনস্যুলেট অফিস। আউটপাস নিয়ে এরই মধ্যে প্রায় ১৬ হাজার অবৈধ বাংলাদেশী দেশে ফিরে এসেছেন। এরা ভিজিট ভিসা বা নন-ওয়ার্ক ভিসায় এত দিন সৌদি আরবে অবস্থান করছিলেন।
সম্প্রতি এক বিবৃতিতে সৌদি স্বরাষ্ট্র ও শ্রম মন্ত্রণালয় জানায়, দেশটির বাদশাহর দেয়া বৈধকরণের বর্ধিত সময় জিলহজ মাসের ৩০ তারিখে শেষ হবে। অবৈধ বিদেশী নাগরিকদের দ্রুত যথাযথ প্রক্রিয়ায় বৈধ হওয়ার আহ্বান জানানো হয় বিবৃতিতে। উভয় মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়, বৈধকরণের নির্ধারিত সময় পর অবৈধ বিদেশী নাগরিক ও তাদের চাকরিদাতাকে আইনের আওতায় আনা হবে।
বাংলাদেশ দূতাবাস সূত্রে জানা গেছে, ৩ নভেম্বর সাধারণ ক্ষমার সময় শেষ হওয়ার পর পরই তল্লাশি করা হবে। এ সময় প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ছাড়া কোনো বিদেশীকে বৈধ করা হবে না। সন্দেহভাজনদের পরিচয়পত্র বা পাসপোর্ট কিংবা আঙুলের ছাপ দেখে শনাক্ত করা হবে। বৈধ কাগজপত্র ছাড়া কাউকে দেশ ত্যাগ করার সুযোগও দেয়া হবে না। এক্ষেত্রে ভিসার মেয়াদোত্তীর্ণদের জন্য
প্রতিদিন ১০০ দিরহাম ও অভিবাসন মেয়াদ উত্তীর্ণদের জন্য প্রতিদিন ২৫ দিরহাম করে জরিমানা গুনতে হবে। আর জরিমানা দিতে ব্যর্থ হলে অবৈধ অভিবাসীদের কারাগারে পাঠানো হবে। সৌদি সরকার ঘোষিত সাধারণ ক্ষমার বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা জানান, বর্তমানে দেশটিতে যেসব অবৈধ ও মেয়াদোত্তীর্ণ শ্রমিক রয়েছেন, তাদের বৈধ করতে সব ধরনের সহায়তা করছে সে দেশে বাংলাদেশ দূতাবাস। যাদের পাসপোর্ট নেই, তাদের পাসপোর্ট নতুন করে তৈরি করা বা যাদের পাসপোর্টের মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে, তাদের পাসপোর্ট নবায়ন করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের ৬ এপ্রিলের আগে যাওয়া সব অবৈধ প্রবাসী শ্রমিক সাধারণ ক্ষমার আওতায় আসবেন। এছাড়া ২০০৮ সালের ৩ জুলাইয়ের আগে হজ করতে গিয়ে যারা সে দেশে থেকে গেছেন, তাদেরও বৈধ হওয়ার সুযোগ দিচ্ছে সৌদি সরকার। পাশাপাশি সৌদি আরবে বসবাসরত যেসব ব্যবসায়ীর ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে, তাদেরও আবেদনের মাধ্যমে বৈধ হওয়ার সুযোগ দিয়েছে সৌদি স্বরাষ্ট্র ও শ্রম মন্ত্রণালয়। সূত্রঃ বণিকবার্তা








































