Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

জালিয়াতি করে চাকরি হারালেন পাসপোর্ট অফিসের পরিচালক

pasportভুয়া অনাপত্তি সনদের ভিত্তিতে সাধারণ নাগরিকদের অফিসিয়াল (সরকারি চাকুরে হিসেবে) পাসপোর্ট দেয়ায় চাকরি হারিয়েছেন ঢাকা বিভাগীয় পাসপোর্ট ও ভিসা অফিসের পরিচালক মুনসী মুয়ীদ ইকরাম। অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় গত ১৯ অক্টোবর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগ থেকে চাকরিচ্যুতির আদেশ জারি করা হয়েছে।

সুরক্ষা সেবা বিভাগের সচিব ফরিদ উদ্দিন আহম্মদ চৌধুরী স্বাক্ষরিত আদেশে বলা হয়েছে, তুরস্কে অবস্থিত কনস্যুলার জেনারেল ২০১৫ সালের ২৯ এপ্রিল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে অভিযোগ করেন মুনসী মুয়ীদ বাংলাদেশি সাধারণ নাগরিকদের ভুয়া অনাপত্তি সনদের ভিত্তিতে কোনো রকম যাচাই-বাছাই ছাড়াই অবৈধভাবে প্রাপ্যতাবিহীনভাবে অফিসিয়াল পাসপোর্ট দিয়েছেন। এর মাধ্যমে তিনি বহির্বিশ্বে দেশের অফিসিয়াল পাসপোর্টর গ্রহণযোগ্যতা ও দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করেছেন।

chardike-ad

আদেশে বলা হয়েছে, তিন সদস্য বিশিষ্ট কমিটির মাধ্যমে পরিচালক মুয়ীদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ তদন্ত করা হয়। প্রাথমিকভাবে অভিযোগগুলো প্রমাণিত হয়। এর প্রেক্ষিতে মুনসী মুয়ীদকে চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করে ২০১৫ সালের ৩০ আগস্ট অসদাচরণের দায়ে অভিযুক্ত করে বিভাগীয় মামলা করা হয়। একই সঙ্গে তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়।

তিনি নোটিশের জবাব দিয়ে নিজেকে নির্দোশ দাবি করেন ও ব্যক্তিগত শুনানি চান। পরে ওই বছরের ২৯ নভেম্বর তার ব্যক্তিগত শুনানি গ্রহণ করা হয়। শুনানির সময় আত্মপক্ষ সমর্থনে উপস্থাপিত কাগজপত্র ও বক্তব্য সন্তোষজনক না হওয়ায় পুরো বিষয়টি পর্যালোচনা করে ন্যায় বিচারের জন্য অভিযোগগুলো তদন্ত করে সিদ্ধান্ত নিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তৎকালীন যুগ্মসচিব মো. সাহেদ আলীকে তদন্তকারী কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়।

সাহেদ আলী তদন্ত করে মতামত দেন যে অভিযুক্ত কর্মকর্তা মুনসী মুয়ীদ ইকরামের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়েছে। বিভাগীয় মামলায় অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাকে চাকরি থেকে কেন বরখাস্ত করার গুরুদণ্ড দেয়া হবে না, তা জানাতে দ্বিতীয়বার কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়। এই কারণ দর্শানোর নোটিশের জবাবও সন্তোষজনক না হওয়ায় তাকে চাকরি থেকে বরখাস্তের প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নেয় সরকার।

তবে তিনি নতুন বেতন কাঠামোর বেতন স্কেল অনুযায়ী চতুর্থ গ্রেডের নন ক্যাডার গেজেটেড কর্মকর্তা হওয়ায় চাকরি চ্যুতির সিদ্ধান্ত কার্যকরে সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) মতামত চাওয়া হয়। পরে পিএসসিও প্রস্তাবিত সিদ্ধান্তের সঙ্গে একমত পোষণ করে। এরপরই চাকরিচ্যুত করে আদেশ জারি করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

জানা গেছে, গত বছরের ১৯ জুলাই দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পাসপোর্ট জালিয়াতির মামলায় গ্রেফতারও হন পাসপোর্ট ও ভিসা অফিসের পরিচালক মুনসী মুয়ীদ ইকরাম।