Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

আয়েশার চোখে আশার আলো

aysaআয়েশা আহমেদ। জ্বলজ্বলে তারকার মতো আলোকিত একটি নাম। যে নামের ঔজ্জ্বল্যে আলোকিত হয়েছে আমাদের প্রিয় দেশ। প্রবাসে বাংলাদেশকে মহিমান্বিত করেছে। গৌরবান্বিত করেছে তার মা-বাবাকে।

আবুধাবি প্রবাসী সতেরো বছরের এ তরুণী আমেরিকা ভিত্তিক আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ‘Breakthrough Junior Challenge 2017’ বিজ্ঞানসংক্রান্ত ভিডিও প্রতিযোগিতার প্রি-ফাইনাল রাউন্ডে উত্তীর্ণ হয়েছেন। সারা বিশ্বের ১১ হাজারেরও বেশি অংশগ্রহণকারীর মধ্য থেকে মাত্র ঊনত্রিশ জন যোগ্য প্রার্থী এই পর্যায়ে রয়েছেন। বাংলাদেশের প্রতিনিধি হিসেবে আয়েশা মধ্যপ্রাচ্য ও আফ্রিকা অঞ্চল থেকে দুই বিজয়ীর একজন। বর্তমানে তিনি প্রতিযোগিতায় অনলাইন ভোটের আওতায় রয়েছেন। যা ২ নভেম্বর শেষ হবে।

chardike-ad

আপনাদের ভোট আয়েশাকে জনপ্রিয়তা যাচাইয়ের শীর্ষে পৌঁছে দিতে পারে। ফেসবুকে তার ভিডিওর লিংকে গিয়ে লাইক করুন। এটাই ভোট হিসেবে গণ্য হবে। তার ভিডিওটি আপনাদের টাইমলাইনে শেয়ার করতে পারেন। বিশ্ব বিখ্যাত এই প্রতিযোগিতায় সে লাল-সবুজের প্রতিনিধি। তার বিজয় আমাদের বিজয়।

aysa-with-family

আয়েশার জন্মলগ্ন থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতে থাকে। ছোটবেলা থেকে ও খুব মেধাবী ছাত্রী। এই বছর ২০১৭ সালে সে একাধারে এ লেভেল (ব্রিটিশ কারিকুলাম) এবং এপি (আমেরিকান কারুকুলাম) অত্যন্ত কৃতিত্বের সাথে উত্তীর্ণ হয়েছে। আয়েশা কম্পিউটার সাইন্স বিষয়ে পড়াশুনা করায় আগ্রহী। তার ইচ্ছা বিজ্ঞান ও মানবতার জন্য নিজেকে নিয়োজিত করতে।

‘আয়েশা HTML, C, JAVA, Ges Python ইতাদি প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়াজে সম্যক ধারণা আছে। ও ইংরেজি ভাষায় কবিতা লিখে। এখানে চারবার বিজয়ী হয়েছে।

আয়েশা গ্রেড ১২এ ওর স্কুলে ‘হেড অফ রোবোটিক্স কাব’ ছিল। ও গ্রেড ১১এ আবুধাবী আন্তঃস্কুল বিজ্ঞান মেলায় প্রথম স্থান অধিকার করেছিলো। ও ওর জ্ঞান ও অভিজ্ঞতাকে অন্যের কাছে পৌঁছে দিতে চায়।

aysa-workingআয়েশার পছন্দের বিষয় গণিত, মহাকাশ ও পদার্থবিদ্যা। বিজ্ঞানের প্রতি তার দুর্নিবার আকর্ষণ। এ বিষয়ে ছোটবেলা থেকে লেখালেখি করে আসছেন। ইংরেজি তার প্রথম ভাষা হলেও বাংলা সাহিত্যের প্রতি যথেষ্ট অনুরাগ রয়েছে। বিজ্ঞান অন্তঃপ্রাণ আয়েশা সাহিত্যেও কম নন! ইংরেজি কবিতা লিখে আর আবৃত্তি করে আবুধাবির অনেক প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হয়েছেন। আয়েশা প্রখ্যাত ‘টেডটক’র সঙ্গে জড়িত। তার ‘টেডটক’ বক্তৃতা অনেক সুনাম কুড়িয়েছে।

আয়েশা মা-বাবার একমাত্র সন্তান। বাবা মুনীর আহমেদ সাহাবুদ্দিন দীর্ঘদিন ধরে সংযুক্ত আরব আমিরাতে সপরিবারে বসবাস করছেন। তিনি উচ্চপদস্থ ব্যাংক কর্মকর্তা এবং প্রশিক্ষক। মা একজন গৃহবধূ। সে ছোটবেলা থেকে মেধাবী। এ বছর সে একাধারে এ লেভেল (ব্রিটিশ কারিকুলাম) এবং এপি (আমেরিকান কারিকুলাম) অত্যন্ত কৃতিত্বের সাথে উত্তীর্ণ হয়েছেন। তিনি কম্পিউটার সায়েন্স বিষয়ে পড়তে আগ্রহী। তার ইচ্ছা বিজ্ঞান ও মানবতার জন্য নিজেকে নিয়োজিত করার।

এ প্রসঙ্গে আয়েশা আহমেদ বলেন, ‘এই সাফল্যে আমি খুব খুশি। কিন্তু এ যাত্রা কেবল শুরু। এই সাফল্যের ধারাবহিকতা রাখতে চাই। তাই সবার দোয়া প্রয়োজন।’