Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

মধ্যপ্রাচ্যে ইরানের ৮ কৌশল, ইসরাইলের ১১ দুর্বলতা

ইসরাইলকে নির্মূল করতে ইরান সরকার সিরিয়া ও লেবাননে ক্ষেপণাস্ত্র উৎপাদন কারখানা স্থাপন করছে বলে অভিযোগ করেছে ইসরাইল। একদিকে সৌদি আরব, আমেরিকাসহ আরো কয়েকটি মিত্র দেশকে সাথে নিয়ে কৌশলগত আঞ্চলিক জোট গঠনে সচেষ্ট রয়েছে ইসরাইল। অন্যদিকে ইরান রাশিয়া-তুরস্ক-কাতারসহ বিশ্বের শক্তিশালী দেশগুলোর সাথে সুসম্পর্ক স্থাপনের মাধ্যমে মধ্যপ্রাচ্যের অন্যতম শক্তি হয়ে ওঠেছে। ইরান হিজবুল্লাহ এবং লেবাননকে সহযোগিতা করতে ইরাক ও সিরিয়ার সাথে স্থলযোগাযোগ স্থাপন করতে চাচ্ছে। ফলে দু’টি দেশের সম্পর্ক আলাদা গুরুত্ব পাচ্ছে। প্রথমে ইরানের কৌশল এবং পরে ইসরাইলের ১১ দুর্বলতা উল্লেখ করা হবে।

middleeast-map-iran-iraq-israel

chardike-ad

কৌশল ১: জোট গঠনের উদ্যোগ গ্রহণ
ইরানের প্রথম ভাইস প্রেসিডেন্ট ইসহাক জাহাঙ্গিরি বলেছেন, মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে নানা রকমের মতপার্থক্য বিরাজ করছে এবং এগুলোর সবই ইহুদিবাদী ইসরাইল ও আমেরিকার ষড়যন্ত্রের অংশ। আমরা এমন একটি অঞ্চলে বসবাস করি যেখানে সবসময় নানা রকম সংঘাত লেগেই থাকে এবং সেগুলো হয়ে থাকে বাইরের দেশের হস্তক্ষেপের কারণে। এইসব উত্তেজনার অংশ হিসেবে ইসরাইল নানা পদক্ষেপ ও চক্রান্ত করে থাকে। ইরাক, ইরান ও তুরস্কের মধ্যে সহযোগিতা থাকলে বাগদাদ সরকার চলমান সংকট সহজেই কাটিয়ে উঠতে পারবে। এছাড়া সিরিয়া সংকটে আস্তানা শান্তি প্রক্রিয়া হচ্ছে ইরান ও তুরস্কের মধ্যে যৌথ সহযোগিতার ক্ষেত্রে নিশ্চয়তা প্রদানকারী বিষয়।

কৌশল ২: দ্রুতগতির যুদ্ধজাহাজ বানানো
ইরান নৌবাহিনী আরো উন্নত এবং শক্তিশালী হচ্ছে। সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে অত্যন্ত দ্রুতগতির যুদ্ধজাহাজ তৈরির পরিকল্পনা নিয়েছে দেশটি। এসব যুদ্ধজাহাজ ঘণ্টায় ৮০ নট বা প্রায় দেড়শ কিলোমিটার বেগে চলতে পারবে বলে জানিয়েছে দেশটির নৌবাহিনী। নৌবাহিনীর কমান্ডার রিয়ার অ্যাডমিরাল বলেছেন, খুব দ্রুত দেশীয় প্রযুক্তিতে দ্রুতগতির যুদ্ধজাহাজ তৈরির প্রকল্পের কাজ শুরু হবে। সবকিছু ঠিক থাকলে চলতি বছরে শেষ থেকেই এই শক্তিশালী এবং উন্নত যুদ্ধজাহাজ তৈরির পরিকল্পনার বাস্তবায়ন দেখা যাবে । সামরিক সরঞ্জাম নির্মাণের ক্ষেত্রে স্বনির্ভরতা অর্জন করছে ইরান।

কৌশল ৩: ক্ষেপণাস্ত্র উৎপাদন বন্ধ না করা
ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনী বা আইআরজিসি’র বিমান শাখার কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আমির আলী হাজিজাদেহ বলেছেন, কোনো অবস্থাতেই তেহরান ক্ষেপণাস্ত্র উৎপাদন বন্ধ করবে না। যদি দেশের চারপাশজুড়ে দেয়াল তৈরি করা হয় তাহলেও ক্ষেপণাস্ত্র উৎপাদন স্থগিত করা হবে না। কারণ এটা সম্পূর্ণভাবে দেশীয় প্রযুক্তি এবং নিজস্ব শিল্প। আইআরজিসি ইরানি জাতির স্বার্থ রক্ষা করছে এবং কোনোভাবেই তাদেরকে ধোঁকা দেয়া যাবে না। আইআরজিসি নিয়মিতভাবে তার ক্ষেপণাস্ত্র উৎপাদন বাড়িয়ে যাবে কারণ দেশের নিরাপত্তা হচ্ছে সবার আগে। আমাদের দেশ এত শক্তিশালী যে, কেউ হামলা করতে সাহস দেখাবে না বরং এ ধরনের হুমকি হচ্ছে শত্রুদের মনস্তাত্ত্বিক যুদ্ধ। ইরানের বিরুদ্ধে আমেরিকার শত্রুতামূলক দৃষ্টিভঙ্গি হচ্ছে ওয়াশিংটনের অপরিবর্তনীয় ইস্যু এবং কৌশল। ইহুদিবাদীদের মাধ্যমে মার্কিন নীতি নির্ধারিত হয় এবং এসব হচ্ছে তারই ফসল।

কৌশল ৪: মাথা নত না করা
ট্রাম্পের এই ঘোষণার পর তেহরানে পুলিশ কর্মকর্তাদের উদ্দেশে দেওয়া এক বক্তব্যে ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি বলেছেন, ‘ইরানের সঙ্গে বিশ্ব শক্তিগুলোর চুক্তি বাতিলের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্রের কোনো চাপের কাছে মাথানত করবে না, আত্মসমর্পণ করবে না এবং নত হবে না শক্তিশালী দেশ ইরান। দুর্নীতিগ্রস্ত, মিথ্যাবাদী, বিশ্বাসঘাতক যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা দাম্ভিকতার সঙ্গে ইরানিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করছে। যদিও ইরান সততার সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে এবং সৎ মনোভাব নিয়েই এই পথ ধরে চলতে থাকবে। তোমরা মিথ্যাবাদী। ইরান জাতি দৃঢ়ভাবে ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়ে আছে এবং যেকোনো ধরনের ভুল সিদ্ধান্তের জবাব দেবে ইসলামী প্রজাতন্ত্র।’

কৌশল ৫: প্রতিরক্ষা সক্ষমতা শক্তিশালী করা
ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি বলেছেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বাস্তবতা থেকে অনেক দূরে রয়েছেন। ট্রাম্প তার বক্তৃতায় ইরানের বিরুদ্ধে কাল্পনিক অভিযোগ উত্থাপন ও গালিগালাজ করেছেন। ইরানের জনগণ কোনো উৎপীড়ক শাসকের খিস্তিখেউড়ের সামনে মাথা নত করার জাতি নয়, এদেশের জনগণ কোনো ধরনের হুমকির সামনে নতি স্বীকার করেনি এবং ভবিষ্যতেও করবে না। ট্রাম্পের বক্তব্য প্রমাণ করেছে- পরমাণু সমঝোতাকে কেন্দ্র করে ইরান বিদ্বেষী ভূমিকার ক্ষেত্রে আমেরিকা সম্পূর্ণ একা হয়ে পড়েছে এবং ঐতিহাসিক বাস্তবতা থেকে আমেরিকা অনেক দূরে রয়েছে। বাস্তবতা থেকে ওয়াশিংটন এত দূরে সরে গেছে যে, সে নিজের ইউরোপীয় মিত্রদের কথা শুনতেও রাজি নয়। শত্রুর মোকাবিলায় ইরানের প্রতিরক্ষা সক্ষমতা শক্তিশালী করা হবে।’

কৌশল ৬: পরমাণু সমঝোতা নিয়ে কোনো আলোচনা নয়
জাতিসংঘে নিযুক্ত ইরানের রাষ্ট্রদূত গোলামআলী খোশরো বলেন, ‘ইরানের পরমাণু সমঝোতা একটি আন্তর্জাতিক দলিল; কাজেই একক কোনো দেশের পক্ষে এটি বাতিল করা সম্ভব নয়। ইরানের শান্তিপূর্ণ পরমাণু কর্মসূচির ব্যাপারে মার্কিন প্রেসিডেন্টের ঘোষণা শুধু পরমাণু সমঝোতার চেতনা পরিপন্থি নয় সেইসঙ্গে পরমাণু অস্ত্র বিস্তার রোধ চুক্তি বা এনপিটির সঙ্গেও সাংঘর্ষিক। আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থা- আইএইএ যখন গত ১৩ অক্টোবর তার সর্বশেষ প্রতিবেদনেও পরমাণু সমঝোতার প্রতি ইরানের অবিচল থাকার কথা নিশ্চিত করেছে তখন এই সমঝোতাকে ধ্বংস করার তৎপরতায় মেতে উঠেছে আমেরিকা। পরমাণু সমঝোতা নিয়ে আর কোনো আলোচনা হবে না। সমঝোতা অনুযায়ী ইরানের স্বার্থ রক্ষিত না হলে এটি থেকে ইরান নিজেই বেরিয়ে যাবে।’

কৌশল ৭: ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণের সক্ষমতা ১ লাখ এসডাব্লিউইউ-তে উন্নীতকরণ
ইরানের আণবিক শক্তি সংস্থার প্রধান আলি আকবর সালেহি জানান, ইরান সব সময় আন্তর্জাতিক আইন ও চুক্তি মেনে চলেছে এবং আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থা (আইএইএ), জাতিসংঘ ও নিরাপত্তা পরিষদের প্রতিবেদনেও তা স্বীকার করা হয়েছে। চূড়ান্ত পরমাণু সমঝোতা বা জেসিপিওএ থেকে ট্রাম্প সরে গেলে তার বিপরীতে নানা পদক্ষেপ নেয়ার কথা ভাবছে ইরান। নানা অবস্থার জন্য ইরান প্রস্তুত রয়েছে এবং নিঃসন্দেহে এর যথাযথ জবাব দেয়া হবে। আমেরিকা পরমাণু সমঝোতা লঙ্ঘন করলে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণের সক্ষমতা এক লাখ এসডাব্লিউইউ-তে উন্নীত করা হবে। ইরান কারো হুমকিতে ভয় পায় না এবং কারো হাসিতে আশাবাদীও হয়ে উঠে না।’

কৌশল ৮: আক্রান্ত হলে কঠোর জবাব দিতে যুদ্ধের প্রস্তুতি নিয়ে রাখা
পরমাণু চুক্তি প্রত্যয়ন না করার সিদ্ধান্ত নেওয়ার জবাবে ইরানের ডেপুটি কুদস কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইসমাইল গনি বলেন, ‘আমরা যুদ্ধবাজ দেশ না। তবে ইরানের বিরুদ্ধে কোনো ধরনের সামরিক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হলে পস্তাতে হবে। ইরানের বিরুদ্ধে ট্রাম্পের হুমকি যুক্তরাষ্ট্রেরই ক্ষতি করবে। আমরা ট্রাম্পের মতো অনেককেই কবর দিয়েছি। আর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে কীভাবে যুদ্ধ করতে হবে তা-ও আমাদের জানা আছে।

ইসরাইলের দুর্বলতার মধ্যে রয়েছে-
দুর্বলতা ১: দখলদার হিসেবে পরিচিতি
ফিলিস্তিনের ভূমিকে জোর পূর্বক দখল করে গঠন করা হয় নতুন ইহুদী রাষ্ট্র ইসরাইল। ১৯৪৭ সালে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে ফিলিস্তিনী ভূখণ্ডকে দ্বিখণ্ডিত করা সংক্রান্ত ১৮১ নম্বর প্রস্তাব অনুসারে মাত্র ৪৫ শতাংশ ফিলিস্তিনীদের প্রদান করে এবং বাকি ৫৫ শতাংশ ভূমি ইহুদীবাদীদের হাতে ছেড়ে দেয়। ১৯৪৯ সালে ইসরাইল, লেবানন, জর্ডান ও সিরিয়ার মধ্যে যে চুক্তি হয়েছিল সেই চু্ক্তি অনুযায়ী দেশটির আয়তন হওয়ার কথা ২০ হাজার ৭৭০ বর্গ কিলোমিটার৷ কিন্তু ইসরাইলের আয়তন এখন ২৭ হাজার ৭৯৯ বর্গ কিলোমিটার।

দুর্বলতা ২: বিশ্ববাসীর সমর্থন লাভে ব্যর্থতা
ইসরাইল ১৯৪৮ সালে আরব-ইসরাইল যুদ্ধে জেরুসালেমের পশ্চিম অর্ধেক দখল করে। পৃথিবীর অনেক দেশের সাথেই ইসরাইলের দূতাবাস বা কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই।১৯৬৭ সালের যুদ্ধে ইসরাইল বাকি অর্ধেকাংশ তথা পূর্ব জেরুসালেম দখল করে। ১৯৮০ সালে ইসরাইল জেরুসালেম আইন পাস করে। ইসরাইলের জেরুসালেম দখলকে যুক্তরাষ্ট্রসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় স্বীকার করে না। দু’একটি দেশ ছাড়া কোনো দেশই জেরুসালেমের কোনো অংশকে ইসরাইলের রাজধানী হিসেবে স্বীকার করে না।

দুর্বলতা ৩: বর্বর আচরণে অভ্যস্ত
ফিলিস্তিনিদের প্রতি বর্বর আচরণের জন্য ইসরাইল কুখ্যাত। দমন-পীড়ন, মানবাধিকার লংঘন করেই চলছে। এমনকি ইসরাইল পূর্ব জেরুসালেমিদের বিদেশী অভিবাসী হিসেবে গণ্য করে, যেখানে তাদের জন্ম সেখানে তাদের কোনো জন্মগত অধিকার নেই। আবাসিক মর্যাদা রক্ষার জন্য তাদের বিভিন্ন প্রয়োজনের একটি বিশেষ কোটা পূর্ণ করতে হয় এবং নাগরিকত্ব বাতিলের সার্বক্ষণিক ভয়ের মধ্যে থাকতে হয়। কোনো ফিলিস্তিনি যদি নির্দিষ্ট সময় জেরুসালেমের সীমানার বাইরে থাকে, তা সে বিদেশ হোক আর পশ্চিম তীর হোক, তাহলে সে জেরুসালেমে বাস করার অধিকার হারাতে পারে।

দুর্বলতা ৪: প্রতিবেশীদের সাথে বৈরিতা
সমগ্র মধ্যপ্রাচ্যের মাঝখানে ইসরাইল একটি জ্বলন্ত সমস্যার নাম। আমেরিকার মদদে ইসরাইল শক্তিশালী। কিন্তু ফিলিস্তিনিরা তাদের অধিকার আদায়ের চেষ্টা করে চলেছে। ফলে প্রতিবেশীদের সাথে বৈরিতা তাদের নিরাপত্তাহীনতার কারণও বটে।মুসলমানরা বিশ্বের রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে ইসরাইল রাষ্ট্রকে সবচেয়ে বেশি ঘৃণা করে থাকে। কারণ ইসরাইলের হামলায় ফিলিস্তিনে রক্ত ধারা প্রবাহিত হয়েছে। বিনাদোষেও ইসরাইল ফিলিস্তিনি মুসলমানদের হত্যা করেছে এবং রক্তে রঞ্জিত করেছে জমিন। মুসলমানদের প্রথম কেবলা বায়তুল মোকাদ্দাস দীর্ঘদিন ধরে দখল করে রেখেছে।

দুর্বলতা ৫: সার্বক্ষণিক উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা
দখলদার হবার কারণে সার্বক্ষণিক উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায় থাকে ইসরাইলবাসী। ভয়ের কারণেই দেশটি প্রাপ্ত বয়স্ক সব নাগরিকের জন্যই সেনা প্রশিক্ষণ বাধ্যতামূলক করেছে৷ সব প্রাপ্ত বয়স্ক ছেলেকে ৩ বছরের এবং মেয়েকে অন্তত ২ বছরের প্রশিক্ষণ নিতে হয়।

দুর্বলতা ৬: বিশ্বমানবতার চোখে ঘৃণিত
নোবেল বিজয়ী জার্মান পদার্থ বিজ্ঞানী আলবার্ট আইনস্টাইন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ইহুদিনিধন বন্ধ করার আপ্রাণ চেষ্টা করেছেন৷ ইসরাইল তার কৃতজ্ঞতা জানায় প্রেসিডেন্ট হওয়ার প্রস্তাব দিয়ে৷ তিনিও সে প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছিলেন। অর্থাৎ একজন ইহুদি হয়েও তিনি এই দেশের প্রেসিডেন্ট হয়ে বিশ্ববাসীর কাছে ঘৃণিত হতে চাননি।

দুর্বলতা ৭: ইসরাইলের নারী সেনারাও পতিতাবৃত্তি করে
ইসরাইলে কমপক্ষে পাঁচশ’ নারী ও পুরুষ সেনা সদস্য অর্থের অভাবে পতিতাবৃত্তিতে জড়িত। মিশেল রোজিন নামে ইসরাইলের এক নারী সংসদ সদস্য এমন তথ্য প্রকাশ করে। যা ইসরাইল সরকারের জন্য লজ্জার প্রতীক।’এলেম-ইয়ুথ ইন ডিসট্রেস ভলান্টিয়ার অ্যাসোসিয়েশনে’র এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরাইলের শতকরা ৩০ ভাগ তরুণ-তরুণী মারাত্মক অর্থনৈতিক সঙ্কটের কারণে পতিতাবৃতিতে জড়িত যাদের বয়স ১৮ থেকে ২২ বছর।

দুর্বলতা ৮: গোঁড়ামি ও চরম জাতীয়তাবাদী
পৃথিবীতে ইসরাইল হল একমাত্র দেশ যার নাগরিকত্ব আপনি ইহুদি হলেই পাবেন। বিশ্বের যে কোনো স্থানের ইহুদির ইসরাইলে বাসের অধিকার আছে এবং ইসরাইলের ল অব রিটার্ন অনুসারে তারা ইসরাইলি নাগরিকত্ব পাবে। পৃথিবীর যে কোনো ইহুদিই ইসরাইলের নাগরিকত্ব পায় বলেই ইসরাইলকে বলা হয় প্রমিজ ল্যান্ড। ইসরাইলের রাষ্ট্রধর্ম হলো ইহুদি। ১৯৬৭ সাল থেকে ইসরাইল ১৪ হাজার ফিলিস্তিনির নাগরিকত্ব বাতিল করেছে। পূর্ব জেরুসালেমে ইসরাইলের বসতি স্থাপন নীতিও আন্তর্জাতিক আইনে অবৈধ বলে বিবেচিত হয়েছে। ইসরাইলের বসতি নীতি চতুর্থ জেনেভা কনভেনশনের সরাসরি লংঘন।

দুর্বলতা ৯: দাবির সাথে বাস্তবতার অমিল
ইসরাইল জেরুসালেমকে তার অবিভক্ত রাজধানী বলে দাবি করে কিন্তু সেখানে যারা বাস করেন তাদের সাথে এ দাবির কোনো মিল নেই। ফিলিস্তিনিরা বর্ণবাদ সদৃশ পরিস্থিতিতে বাস করে, সেখানে ইসরাইলিরা স্বাভাবিক জীবন কাটায় যার নিশ্চয়তা বিধান করে রাষ্ট্র।

দুর্বলতা ১০: সভ্যতার লেশমাত্র নেই, শুধুই স্বার্থ
ইসরাইলী প্রশাসন আইন, মানবাধিকার এসবে বিশ্বাস করে না। তারা টিকে থাকতে চায় শক্তি প্রয়োগ করেই। ষাটের দশকে দেশটি পারমাণবিক বোমার অধিকারী হয়। ইসরাইল এমন একটি দেশ যে দেশটি বিশ্বে হত্যাযজ্ঞের কারণে পরিচিত।

দুর্বলতা ১১ : নেতৃত্বে দুর্নীতিবাজ ও চরিত্রহীনেরা
ইসরাইলের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইহুদ ওলমার্ট, সাবেক যুদ্ধমন্ত্রী ইহুদ বারাক, প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহু এবং লিকুদ পার্টির সাবেক নেতা এরিয়্যেল শ্যারনের বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলা হয়েছে। সাবেক প্রেসিডেন্ট মুশে কাতসা যৌন কেলেঙ্কারির কারণে কারাভোগ করেছেন। ইসরাইলের প্রায় সব কর্মকর্তাই কোনো না কোনো অপরাধের সঙ্গে জড়িত।

নয়াদিগন্তের সৌজন্যে।