উত্তর কোরিয়ার পরমাণু অস্ত্রাগার ও স্থাপনা কেবলমাত্র স্থল অভিযান চালিয়ে নির্ণয় ও ধ্বংস করা যাবে। মার্কিন আইন প্রণেতাদের কাছে লেখা এক চিঠিতে এ কথা জানিয়েছে পেন্টাগন।
ডেমোক্র্যাট দলের কংগ্রেস সদস্য টেড লিউ এবং রুবেন গ্যালিগোর চিঠির জবাবে পেন্টাগনের ভাইস ডিরেক্টর অব জয়েন্ট স্টাফ রিয়ার অ্যাডমিরাল মাইকেল জে ডুমোন্ট এ তথ্য জানিয়েছেন।
উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে সম্ভাব্য যুদ্ধে দক্ষিণ কোরিয়ার বেসামরিক মানুষসহ যুক্তরাষ্ট্র এবং তার মিত্র দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান ও মার্কিন ভূখণ্ড গুয়ামের কতো মানুষ নিহত হতে পারে তাই জানতে চেয়েছিলেন এ দুই কংগ্রেস সদস্য।
শনিবার ডেমোক্র্যাট দলের ১৫ জন এবং রিপাবলিকান দলের একজন আইনপ্রণেতা যৌথ বিবৃতিতে বলেছেন, উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে স্থল অভিযান চালালে যুদ্ধের কয়েকদিনের মাথায় লাখ লাখ লোকের মৃত্যু হবে।
এতে বলা হয়, ‘উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে সুবিধাজনক কোনো সামরিক পদক্ষেপ নেওয়ার ব্যবস্থা নেই। উত্তর কোরিয়ায় হস্তক্ষেপ দক্ষিণ কোরিয়ায় অবস্থানরত মার্কিন সেনা ও বেসামরিক নাগরিকদের বিপর্যয়কর প্রাণনাশ করবে। এর ফলে দক্ষিণ কোরিয়ার লাখ লাখ সেনা ও গুয়ামে থাকা বেসামরিক লোক নিহত হবে এবং জাপানকে ঝুঁকিতে ফেলবে।’
পেন্টাগনের ওই চিঠিতে বলা হয়েছে, যুদ্ধে জৈব অস্ত্র ব্যবহার করতে পারে উত্তর কোরিয়া।পিয়ংইয়ংয়ের দীর্ঘদিনের রাসায়নিক অস্ত্র কর্মসূচি রয়েছে। দেশটির স্নায়ু বিধ্বংসী, ফোসকা সৃষ্টিকারী, রক্ত দূষিতকারী এবং শ্বাসরোধক রাসায়নিক উপাদান তৈরির সক্ষমতা রয়েছে।সম্ভাব্য যুদ্ধের ক্ষয়ক্ষতির কোনো হিসাব পেন্টাগন দেয়নি। তবে জানিয়েছে, যুদ্ধের ব্যাপ্তি, প্রকৃতি ও প্রচণ্ডতার ওপর এটি নির্ভর করবে।