Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

সৌদিতে প্রত্যাবর্তন ঝুঁকিতে ৪ লাখ বাংলাদেশি

সিউল, ১২ অক্টোবর ২০১৩:

বৈধতা না পাওয়ায় দেশে ফেরার ঝুঁকিতে রয়েছে সৌদি আরবে অবস্থানরত ৪ লাখ বাংলাদেশি শ্রমিক। এর জন্য ইতোমধ্যে অবশ্য রিয়াদে বাংলাদেশ দূতাবাস ওই শ্রমিকদের বৈধতা প্রদানের মেয়াদ বাড়াতে দেশটির কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ জানিয়েছে। বৃহস্পতিবার সৌদি গেজেটে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

chardike-ad

আকামা-পরিবর্তনের-সুযোগ-দিল-সৌদি-সরকারএ বিষয়ে একটি সৌদি পত্রিকাকে দেয়া সাক্ষাৎকারে বাংলাদেশ দূতাবাসের লেবার কনসালটেন্ট ড. মুহাম্মদ ইমদাদুল হক জানান, আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই বিপুল পরিমাণ শ্রমিককে সৌদিতে তাদের থাকার বৈধতা ঠিক করতে হবে। দেশটির সরকার এই বৈধতা না দেয়া পর্যন্ত এত বিপুল পরিমাণ শ্রমিককে সামাল দেয়া দূতাবাসের পক্ষে কঠিন।

তিনি আরো জানান, দূতাবাস যদি এসব শ্রমিকের ডকুমেন্ট প্রসেস না করে দেয় তবে সৌদি কর্তৃপক্ষ নিঃসন্দেহে তাদের দেশে ফেরত পাঠাবে। ওই শ্রমিকরা সৌদি আবাসন আইন ভেঙেছে। তাই এখনি দূতাবাসের সঙ্গে তারা যোগাযোগ না করলে এর ফলাফল ভোগ করতে হবে।

জানা যায়, সৌদি আরবে বর্তমানে ৩৫ লাখ শ্রমিক কাজ করে। এরইমধ্যে গত মে মাসে প্রায় সাড়ে তিন লাখ শ্রমিক তাদের কাগজপত্র দূতাবাস থেকে ঠিক করেছে। অন্যদিকে ২৫ হাজার শ্রমিক কাগজপত্র ঠিক না করায় তাদের দেশে ফিরে যাওয়ার জন্য বলা হয়েছে বলেও জানান ইমদাদুল হক।

এদিকে, বিষয়টির জন্য জেদ্দা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির ঠিকাদার কমিটি অবৈধ শ্রমিকদের বৈধতা প্রদানে দেরি প্রসঙ্গে দেশটির শ্রম মন্ত্রণালয়ের ধীর গতির ইলেট্রনিক প্রসেসিংকে দায়ী করেছে।

বিষয়টি নিয়ে ঠিকাদার কমিটির নেতা রিয়াদ আল-আকিলি বলেন, ‘গত সাত মাস ধরে মাত্র পাঁচ ভাগ শ্রমিকের কাগজপত্র প্রসেস করা হয়েছে। কিন্তু চিন্তার বিষয় হলো এসব শ্রমিকদের ঠিকাদার কোম্পানিগুলোর আরো তিন বছরের বেশি সময় প্রয়োজন। কিন্তু শ্রমিকদের সঙ্গে চুক্তিকারী অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানই তাদের শ্রমিকদের নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে বৈধতার দেয়ার ব্যপারে ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ হয়েছে।’