Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

টাঙ্গাইলে উদ্বোধনের আগেই হেলে পড়ল সেতু!

bridgeটাঙ্গাইলে উদ্বোধনের আগেই হেলে পড়েছে ৫৪ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত একটি সেতু। মাত্র তিনমাস আগে সমাপ্ত হয় সেতুটির নির্মাণ কাজ। এ নিয়ে এলাকাবাসীর মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। এলাকাবাসীর অভিযোগ, নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী ও প্রকল্প কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্টদের অবেহেলার কারণে সেতুটি উদ্বোধনের আগেই হেলে গিয়েছে। এটি ধসে গিয়ে যে কোনো সময় বড় ধরণের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

জানা গেছে, গ্রামীণ সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নয়নের লক্ষ্যে গত ২০১৬-২০১৭ অর্থ বছরে টাঙ্গাইল জেলার ১২টি উপজেলায় মোট ১২৮টি সেতু নির্মাণের দরপত্র আহ্বান করা হয়। এরমধ্যে বাসাইল উপজেলায় বিভিন্ন ইউনিয়নে সাতটি সেতু রয়েছে। সাতটির মধ্যে চারটির নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। বাকি তিনটির নির্মাণ কাজ চলছে।

chardike-ad

বাসাইল উপজেলার ফুলকি ইউনিয়নের ফুলকি-ফুলবাড়ি রাস্তার নিকরাইল টেরাখালী সেতুর কাজ পায় মেসার্স আব্দুল্লাহ এন্টারপ্রাইজ নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।

bridge-nameplate৫৪ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত সেতুটি প্রায় তিন মাস আগে শেষ হয়। সেতুটিতে রড, সিমেন্ট ও বালুসহ খুব নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ উঠে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে। এ ব্যাপারে স্থানীয়রা মৌখিকভাবে বেশ কয়েকবার অভিযোগ জানায়, বাসাইল উপজেলা প্রকল্প কর্মকর্তা সাখাওয়াত হোসেনের কাছেও। কিন্তু ওই কর্মকর্তা কোন ব্যবস্থা নেয়নি।

স্থানীয় বাবুল মিয়ার অভিযোগ সেতুটি নির্মাণের সময় ঠিকাদারকে দেখা যায়নি। অনিয়মের ব্যাপারে প্রকল্প কর্মকর্তাকে কোন ব্যবস্থাও নিতে দেখা যায়নি।

স্থানীয় ১০/১৫ গ্রামের সাথে উপজেলা সদরের সড়ক যোগাযোগ চলে আসছে। সেতুটি ধসে পড়ার আশঙ্কায় ওই সড়ক দিয়ে চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে স্থানীয়রা। তাদেরকে ১৫ কিলোমিটার ঘুরে উপজেলা সদরের সাথে যোগাযোগ করতে হচ্ছে।

বাসাইল উপজেলা প্রকল্প কর্মকর্তা সাখাওয়াত হোসেন অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, বর্ষা মৌসুমে পানির স্রোতের কারণে সেতুটি হেলে পড়েছে। বিষয়টি ঊধ্বর্তন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।

উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কাজী শহিদুল ইসলাম জানান, সেতুটি বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। প্রকল্প অফিসের প্রকৌশলীরা পরিদর্শন করে গেছেন।

ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কর্নধার জাহিদের সাথে মোবাইলে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি। তবে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শামছুন নাহার সম্পা তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দেন।