কোনও বিশেষ অংশে নয়, চাঁদের সর্বত্রই সম্ভবত রয়েছে পানি! ইসরোর চন্দ্রযান-১ মিশন ও নাসার রিকনসায়েন্স অরবিটারের পাঠানো তথ্য বিশ্লেষণ করে এমনটাই মনে করছেন বিজ্ঞানীরা। তবে সেই পানিকে সহজে পাওয়া যাবে না বলেই মনে করছেন তাঁরা।
সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা যাচ্ছে, এই গবেষণাপত্রটি প্রকাশিত হয়েছে নেচার জিওসায়েন্স পত্রিকায়। সেখানে চাঁদের জল সম্পর্কে এতদিনকার ধারণা সম্ভবত ভুল বলেই জানাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা। এর আগে পর্যন্ত মনে করা হতো, চাঁদের দুই মেরুতে জল থাকতে পারে। কিন্তু বাকি অংশে জল নেই। নতুন তথ্য থেকে সেই ধারণা ভুল মনে করা হচ্ছে।
মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থার সিনিয়র গবেষক জোশুয়া ব্যান্ডফিল্ড, যিনি এই গবেষণার সঙ্গে যুক্ত, তিনি জানাচ্ছেন, ‘‘দিন হোক বা রাত চন্দ্রপৃষ্ঠের সর্বত্রই জল থাকার সংকেত পেয়েছি আমরা।’’
তবে জল থাকলেও তা আমাদের পরিচিত এইচটুও (H2O) অবস্থায় হয়তো নেই বলেই ধারণা গবেষকদের। সম্ভবত তা একটি অক্সিজেন ও একটি হাইড্রোজেন যুক্ত হয়ে ওএইচ (OH) বা হাইড্রক্সিল মূলক গঠন রয়েছে। এই হাইড্রোক্সিল মূলকের প্রবণতাই হল অন্য অণুর সঙ্গে বিক্রিয়া করা। ফলে অন্য ধাতুর সঙ্গে যুক্ত হয়ে তা নতুন কোন যৌগ গঠন করে চাঁদের মাটিতে অবস্থান করছে।
কী করে সৃষ্টি হল এই জল? গবেষণা থেকে মনে করা হচ্ছে, সৌরবাতাসের সঙ্গে চন্দ্রপৃষ্ঠের সংঘর্ষেই তৈরি হয়েছে জল।
তবে এখনও এ বিষয়ে পাকাপাকি ভাবে কোনও দাবি করা হয়নি। যে সমস্ত তথ্য পাওয়া গিয়েছে তা নিয়ে এখনও গবেষণা করা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে।
যদি শেষ পর্যন্ত সত্যিই চাঁদে জলের সন্ধান মেলে এবং তা নিষ্কাষণ করা সম্ভব হয়। তবে নিঃসন্দেহে তা হবে এক যুগান্তকারী আবিষ্কার। আপাতত অপেক্ষা, কবে বিজ্ঞানীরা এ সম্পর্কে আরও বিশদে কিছু জানাতে পারেন।