সিউল, ৫ নভেম্বর ২০১৩:
ঢাকা: সৌদি আরবে অবৈধভাবে বসবাসকারী বিদেশী শ্রমিকদের বৈধ হওয়ার জন্য দ্বিতীয়বার বর্ধিত করা বিশেষ ক্ষমার মেয়াদ শেষ হয়েছে রোববার।অবৈধ অভিবাসীদের ধরতে নারী পুরুষের সমন্বয়ে ১২০০ সদস্যের একটি বিশেষ টিম সোমবার থেকে অভিযানে নামছে বলে খবর দিয়েছে সৌদি আরবের গণমাধ্যমগুলো। এই সময়ের মধ্যেও যেসব প্রবাসী বাংলাদেশী বৈধ হতে পারেননি তারা আতঙ্কে রয়েছেন। তবে বাংলাদেশ দূতাবাস বলছে, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সুযোগ নেননি এমন বাংলাদেশীর সংখ্যা খুব বেশি হবে না। কাজেই আজ থেকে অভিযান শুরু হলেও খুব বেশি বাংলাদেশীর ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা নেই।সৌদি শ্রম মন্ত্রণালয়ের তথ্য মতে, বিশেষ ক্ষমায় এ পর্যন্ত ৪০ লাখ বিদেশী শ্রমিক তাদের কাগজপত্র সংশোধন করেছেন এবং ১০ লাখ শ্রমিক এক্সিটে অর্থাৎ সৌদি আরব ত্যাগ করেছেন।
সৌদি বাদশার এই বিশেষ ক্ষমা চলাকালীন সৌদি আরবস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস রিয়াদ এবং বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেদ্দা থেকে প্রায় সাত লাখ বাংলাদেশীকে কনস্যুলেট সেবা দেয়ার কথা জানানো হয়। কিন্তু এ পর্যন্ত কত বাংলাদেশী বৈধ হতে পেরেছেন এবং কতজন একেবারে সৌদি আরব ত্যাগ করেছেন এ সংক্রান্ত সঠিক কোনো তথ্য নেই দূতাবাস এবং কনস্যুলেট অফিসে।
দূতাবাসের মিনিস্টার (শ্রম) ড. এমদাদুল হক নতুন বার্তাকে জানান, এ পর্যন্ত সাত লাখ বাংলাদেশীকে কনস্যুলেট সেবা দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে নতুন পাসপোর্ট প্রদান, পুরাতন পাসপোর্ট নবায়ন, হুরুব পাসপোর্ট (পালিয়ে যাওয়া), আউটপাস পেপার (বিশেষ বহির্গমন কাগজ), পেশা পরিবর্তনসহ ইত্যাদি সেবা প্রদান করা হয়েছে।
তবে তিনি বলেন, “ঠিক কতজন বাংলাদেশী এই সময়ের মধ্যে বৈধ হয়েছে তার সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য আমাদের কাছে নেই, এ বিষয়ে জানানোর জন্য সৌদি মন্ত্রণালয়কে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে।”
সৌদ শ্রম মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে বলা হয়, বাজার, মহাসড়ক, জনসাধারণের চলাচল আছে সম্ভাব্য এমন সব জায়গাতেই এই বিশেষ অভিযান পরিচালিত হবে। ইন্সপেকশন বিভাগের আন্ডার সেক্রেটারি আবদুল্লাহ তুহিন সাংবাদিকদের বলেন, বিশেষ টিম বিভিন্ন জায়গায় ব্লক দিয়ে শ্রমিকদের ইকামা এবং কর্মস্থলের বৈধতা আছে কিনা সেটা যাচাই করবে। অভিবাসী আইন অনাম্যকারীদের তাৎক্ষণিক এক লাখ রিয়াল জরিমানা, দু’বছরের জেল অথবা উভয় দণ্ড দেয়ার ক্ষমতা দিয়ে জেলা পুলিশ বিভাগ, বিভিন্ন পুলিশ ও নিরাপত্তা সংস্থা থেকে কর্মীদের নিয়ে একটি টাস্কফোর্স গঠন করা হয়। এই অভিযানের আওতায় থাকবে, ফার্মেসি, সেলুন, হোটেল, রেস্টুরেন্ট, নিরাপত্তাকর্মী এবং গাড়ি চালকরাও।
এসময় ইকামায় (বৈধ কাগজ) বর্ণিত পেশা এবং নিজ কর্মস্থল ব্যতীত অন্য জায়গায় কর্মরত শ্রমিকদের অবৈধ হিসেবে বিবেচনা করা হবে। এমনকি বাইরে কাজ করতে দেয়ার অপরাধে কফিলকেও (স্পন্সর) জরিমানা করা হবে বলেও উল্লেখ করা হয়। সূত্রঃ নতুনবার্তা।