Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

মিয়ানমারে সীমান্তে কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করা হলে বিজিবি কঠোর হস্তে দমন করতে প্রস্তুত রয়েছে। সীমান্তের নিরাপত্তায় বিজিবি সর্বদা সতর্ক অবস্থায় প্রহরায় নিয়োজিত রয়েছে। বাংলাদেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির কোনো সুযোগ নেই।

chardike-ad

বৃহস্পতিবার বান্দরবানের পার্শ্ববর্তী সাতকানিয়ার বায়তুল ইজ্জত বিজিবি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে ৯১তম রিক্রুট ব্যাচের সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড বিজিবি খুবই দক্ষ এবং শক্তিশালী। সীমান্ত সুরক্ষায় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর শক্তি আরও বৃদ্ধি করা হবে। দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বর্ডার গার্ড বিজিবির সদস্য সংখ্যা আরও বাড়ানো হবে।

তিনি বলেন, মিয়ানমার সীমান্তে অহেতুক ভারি অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সেনা ও সীমান্তরক্ষী বাহিনী বাড়িয়েছে। বিষয়টি নিয়ে আলোচনার জন্য সীমান্তরক্ষী বাহিনী পর্যায়ে যোগাযোগ হয়েছে। মিয়ানমারের দাবি, সীমান্তের জিরোলাইনে আশ্রয় রোহিঙ্গারা মিয়ানমারের ফেরার চেষ্টা করছে খবর পেয়েই নিরাপত্তা বাড়িয়েছে মিয়ানমার। কিন্তু আমাদের কোনো সমস্যা নেই। কারণ আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গারা জিরোলাইনে মিয়ানমারের অংশে রয়েছে। তারপরও নোম্যান্সল্যান্ডের রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেয়ার জন্য মিয়ানমারকে চাপ প্রয়োগ করা হচ্ছে। শূন্যরেখায় আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশের অনুপ্রবেশের কোনো সুযোগ দেয়া হবে না। অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আবুল হোসেন, বর্ডার গার্ড ট্রেনিং সেন্টার অ্যান্ড কলেজেরর কমান্ড্যান্ট ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. সাজ্জাদ হোসেন, বান্দরবান বিজিবি সেক্টর কমান্ডার কর্নেল আবদুল খালেক, বান্দরবান বোমাং সার্কেল রাজা উচপ্রু চৌধুরীসহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

কুচকাওয়াজের প্যারেড কমান্ডার ছিলেন রামু ৫০ বিজিবির মেজর কাজী মঞ্জুরুল ইসলাম এবং প্যারেড অ্যাডজুটেন্ট ছিলেন এডি মো. শাহাদাত হোসেন।