Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

wornerবল-বিকৃতির ঘটনায় এক বছরের নিষিদ্ধ হয়ে নিজের ক্যারিয়ারেরই ‘শেষ’ দেখছেন ডেভিড ওয়ার্নার। সদ্য ‘সাবেক’ হওয়া অস্ট্রেলীয় ক্রিকেট দলের এই সহ অধিনায়ক শনিবার এক সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন, নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ার পর অস্ট্রেলিয়ার হয়ে তিনি নাও খেলতে পারেন। তবে এই সংবাদ সম্মেলনে বল-বিকৃতির ঘটনায় নিজের সব দোষ স্বীকার করে সবার কাছে তিনি ক্ষমাই চেয়েছেন।

বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, সংবাদ সম্মেলনে অনেক প্রশ্নই এড়িয়ে গেছেন এই বাঁ হাতি ব্যাটসম্যান। বল বিকৃতির ঘটনায় মূল পরিকল্পনাকারী তিনি কিনা, এর পরিকল্পনা সম্পর্কে অস্ট্রেলীয় দলের কোনা কোনা ক্রিকেটারের ধারণা ছিল, তাঁকে বলির পাঁঠা বানানো হয়েছে কিনা, এসব প্রশ্ন করা হলেও তিনি কোনো উত্তর দেননি।

chardike-ad

৬ মিনিটের এই সংবাদ সম্মেলনে কথা বলতে গিয়ে বারবার আটকে যাচ্ছিলেন ৩১ বছর বয়সী ওয়ার্নার। দুই গাল বেয়ে অঝোরে ঝরছিল অশ্রুধারা।
কাঁদতে কাঁদতেই তিনি জানিয়েছেন, ‘বুকে হাত দিয়ে বলছি, আমি ক্রিকেট খেলে সব সময়ই দেশের জন্য সম্মান বয়ে নিয়ে আসতে চেয়েছি।’

বল বিকৃতির পরিকল্পনাও অস্ট্রেলিয়াকে জেতাতেই করেছিলেন—এটা জানিয়েছেন তিনি। কিন্তু ভাবেননি ব্যাপারটা উল্টো ফল বয়ে নিয়ে আসবে, ‘দলকে জেতাতেই বল বিকৃতির পরিকল্পনা করেছিলাম। কিন্তু ভাবিনি এটা উল্টো ফল দেবে। যত দিন বেঁচে থাকব, ব্যাপারটি আমাকে অনুশোচনায় পোড়াবে।’

সংবাদ সম্মেলনে অনেক প্রশ্নের উত্তর দিতে না পেরে পরে টুইটারে দুঃখ প্রকাশ করেছেন ওয়ার্নার, ‘অনেক প্রশ্নেরই জবাব দিতে পারিনি। সময়মতো আমি সব প্রশ্নেরই জবাব দেওয়ার চেষ্টা করব।’
বল-বিকৃতির ঘটনায় যথেষ্ট কড়া পদক্ষেপই নিয়েছে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া। এর মূল পরিকল্পনাকারী হিসেবে এক বছরের জন্য নিষিদ্ধ হয়েছেন স্টিভ স্মিথ ও ডেভিড ওয়ার্নার। ৯ মাস নিষিদ্ধ হয়েছেন ক্যামেরন ব্যানক্রফট। ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা নেই বলে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া জানালেও কোচের পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন কোচ ড্যারেন লেম্যান।