Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

দক্ষিণ কোরিয়ায় নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত আবিদা ইসলামের একান্ত সাক্ষাৎকার

আবিদা ইসলাম। দক্ষিণ কোরিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত। পেশাদার এই কূটনীতিক গত ডিসেম্বরে সিউলে বাংলাদেশ দূতাবাসে যোগদান করেন। দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত হিসেবে যোগদানের পূর্বে আবিদা ইসলাম পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আমেরিকাস বিভাগের মহাপরিচালক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। আবিদা ইসলাম ১৯৯৫ সালে বিসিএস ১৫ তম ব্যাচে ফরেন এফেয়ার্স ক্যাডারে যোগ দেন। তিনি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন দায়িত্ব পালন ছাড়াও কলকাতায় উপ-হাইকমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এছাড়াও লন্ডন, কলম্বো এবং ব্রাসেলসস্থ বাংলাদেশ মিশনে বিভিন্ন কূটনৈতিক পদে তিনি দায়িত্ব পালন করেন। আবিদা ইসলাম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সমাজ বিজ্ঞানে মাস্টার্স ডিগ্রি লাভ করেন। এছাড়াও তিনি অস্ট্রেলিয়ার মোনাশ ইউনিভার্সিটি থেকে ফরেন অ্যাফেয়ার্স ও ট্রেড-এ মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করেন। পারিবারিক জীবনে দুই সন্তানের জননী আবিদা ইসলাম।

chardike-ad

তিনি সম্প্রতি দক্ষিণ কোরিয়া বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশী, বাংলাদেশ ও দক্ষিণ কোরিয়া সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন বাংলা টেলিগ্রাফের সাথে। বাংলা টেলিগ্রাফের পক্ষ থেকে সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন বাংলা টেলিগ্রাফের সম্পাদক সরওয়ার কামাল। সাক্ষাৎকারের গুরুত্বপূর্ণ অংশগুলো পাঠকের জন্য তুলে ধরা হলো।

বাংলা টেলিগ্রাফঃ প্রথমেই দক্ষিণ কোরিয়া প্রবাসীদের কয়েকটি দাবী নিয়ে শুরু করি। দক্ষিণ কোরিয়া প্রবাসীদের দীর্ঘদিনের দাবী সিউল-ঢাকা সরাসরি ফ্লাইট চালু। এই ব্যাপারে উদ্যোগের কথা আমরা শুনেছি। আর কোন অগ্রগতি আছে কিনা।

আবিদা ইসলামঃ আমি দক্ষিণ কোরিয়ায় পদার্পনের পর আগ্রহী বিমান সংস্থাগুলোর সাথে যোগাযোগ করে জানতে পেরেছি যে তারা এই বিষয়টি নিয়ে কিছু সম্ভাব্যতা (Feasibility Study) যাছাই করেছেন। তাদের মতে ঢাকা-সিউল রুটে সরাসরি ফ্লাইট চালু করতে গেলে প্রতি সপ্তাহে কমপক্ষে ৯০০ জন যাত্রীর প্রয়োজন হয়। বর্তমানে যাত্রীর সংখ্যা এর তুলনায় অনেক কম। যাত্রী সংখ্যা বাড়াতে আমরা বাংলাদেশ সরকারের কাছে কিছু প্রস্তাব দিয়েছি তার মধ্যে একটি হলো কোরিয়ান নাগরিকদের কম খরচে বাংলাদেশে গলফ খেলার সুবিধা প্রদান করা। সেক্ষেত্রে কোরিয়ান নাগরিকেরা সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য অথবা সপ্তাহান্তে বাংলাদেশে ভ্রমণ করতে পারেন। এতে যাত্রী সংখ্যা বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে, সেক্ষেত্রে সরাসরি ফ্লাইট চালু করাটি বিমান সংস্থা গুলোর জন্য লাভজনক হতে পারে এবং যদি এই সরাসরি ফ্লাইট চালু হয় তবে তা আমাদের বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরো জোরদার করবে।

বাংলা টেলিগ্রাফঃ দক্ষিণ কোরিয়া শুধু নয়, সারা পৃথিবীর বাংলাদেশী প্রবাসীদের দাবি প্রবাসে কেউ মারা গেলে তাদের লাশ যেন সরকারী খরচে পাঠানো হয়। বর্তমানে কোরিয়াতে কমিউনিটিগুলোর মাধ্যমে দূতাবাসের সহায়তায় পাঠানো হচ্ছে। কবে নাগাদ সরকার প্রবাসীদের এই দাবি বাস্তবায়ন করতে পারে?

আবিদা ইসলামঃ প্রবাসীদের লাশ পাঠানোর ক্ষেত্রে কোরিয়ার বাংলাদেশের কমিউনিটি যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে তা অত্যন্ত প্রশংসনীয়। প্রবাসীদের লাশ পাঠানোর জন্য বর্তমানে সরকারের যে ফান্ড রয়েছে তা অপ্রতুল। সম্প্রতি ঢাকায় অনুষ্ঠিত শ্রম কর্মকর্তাদের সম্মেলনে বিষয়টি গুরুত্বের সাথে তুলে ধরা হয়। তবে  মধ্যপ্রাচ্যে এই সমস্যা আরো গুরুতর। কারণ সেখানে আমাদের কর্মীদের সংখ্যা অনেক বেশি। তবে এই টুকু বলবো যে, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এই বিষয়টি নিয়ে কাজ করছে এবং দূতাবাসের তরফ থেকে এই তহবিল বৃদ্ধির জন্য সরকারের কাছে সুপারিশ করেছি। আমরা আশা করি ভবিষ্যতে এই সমস্যার সমাধান হবে।

দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জে ইন এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী খাং খিয়ং হোয়া’র সাথে রাষ্ট্রদূত আবিদা ইসলাম

বাংলা টেলিগ্রাফঃ এবার বাংলাদেশ-কোরিয়া সম্পর্কের প্রসংগে প্রশ্ন করতে চাই। এখন পর্যন্ত কোন কোরিয়ান প্রেসিডেন্ট বাংলাদেশ সফরে যাননি। বাংলাদেশের সরকার প্রধান হিসেবে সর্বশেষ ২০১০ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দক্ষিণ কোরিয়া সফর করেছিলেন। গত ৮ বছরের মধ্যে আর কোন রাষ্ট্রীয় সফর হয়নি। দুই দেশের সরকার প্রধানদের রাষ্ট্রীয় সফরের কোন পরিকল্পনা কি আপনাদের আছে?

আবিদা ইসলামঃ আমি দক্ষিণ কোরিয়ার মহামান্য প্রেসিডেন্ট মুন জে ইন-এর নিকট পরিচয়পত্র প্রদান অনুষ্ঠানে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে এই বিষয়টি গুরুত্বের সাথে তুলে ধরেছিলাম। কোরিয়ার মহামান্য প্রেসিডেন্ট বাংলাদেশ সফরের বিষয়টি বিবেচনা করবেন বলে জানিয়েছেন। পরবর্তীতে কোরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাথেও বিভিন্ন দ্বিপাক্ষিক আলোচনায় আমি বিষয়টি গুরুত্বের সাথে তুলে ধরেছি।

বাংলা টেলিগ্রাফঃ দুই দেশের বাণিজ্যিক সম্পর্ক অনেক ভাল। কিন্তু বাণিজ্য ঘাটতি পূরণের উপায় কি? বিশেষ করে বাংলাদেশ থেকে কোরিয়াতে পণ্য রপ্তানি বৃদ্ধি নিয়ে যদি কিছু বলতেন।

আবিদা ইসলামঃ আমাদের কিছু কিছু দেশের সাথে আমাদের বাণিজ্যিক ঘাটতি থাকতেই পারে। কারণ এই সব দেশ থেকে শিল্প খাতে আমাদের প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি এবং কাচাঁমাল আমদানি করতে হয়। যেমন চীন, ভারত কিংবা কোরিয়া। আমাদের সবসময় চেষ্টা থাকে এই ঘাটতি কমিয়ে আনতে। আমাদের চেষ্টা রয়েছে বাংলাদেশের নন-ট্রেডিশনাল পণ্যের একটি বাজার এদেশে সৃষ্টি করা। সরাসরি বিমান যোগাযোগ তৈরী হলে বাংলাদেশ থেকে এদেশে শাকসবজি আমদানী করা যেতে পারে। নিকট ভবিষ্যতে এদেশে একটি বিনিয়োগ সম্মেলন করার পরিকল্পনা রয়েছে। বাংলাদেশে কোরিয়ার অধিকতর বিনিয়োগের মাধ্যমে এই ঘাটতি হয়তো কমিয়ে আনা সম্ভব হবে।

বাংলা টেলিগ্রাফঃ গার্মেন্টসের ক্ষেত্রে কোরিয়ানরা ভিয়েতনাম থেকে অনেক বেশি পণ্য আমদানি করে। গার্মেন্টসে এক্সপোর্ট বাড়ানোর জন্য আমরা কি কিছু করতে পারি না?

আবিদা ইসলামঃ আমাদের তৈরী পোষাকের মূল বাজার হচ্ছে আমেরিকা ও ইউরোপীয়ান ইউনিয়নভূক্ত দেশসমূহ তবে এদেশেও আমরা সীমিত পরিমাণে এখানে তৈরী পোশাক রপ্তানী করি। আগামীতে আমাদের শোকেস বাংলাদেশ (Showcase Bangladesh) করার পরিকল্পনা রয়েছে। এতে করে হাতে তৈরী পোশাকসহ অন্যান্য পণ্যের একটি বাজার এখানে তৈরী হতে পারে।

বাংলা টেলিগ্রাফঃ কোরিয়াতে ইপিএস কর্মীরা আসলেও দক্ষ কর্মী নিয়োগের কোন চুক্তি নেই। দক্ষ কর্মী বিশেষ করে আইটি খাতে কোরিয়াতে স্কিল্ড কর্মী নেওয়ার ব্যাপারে দূতাবাস কোন পদক্ষেপ নিতে পারে কিনা?

আবিদা ইসলামঃ কোরিয়াতে বাংলাদেশের দক্ষ জনবল আনার সুযোগ সৃষ্টি করতে পারলে তা আমাদের দক্ষ তরুণদের কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে সহায়ক হতো। বিষয়টি নিয়ে আমি কইকা‘র (KOICA) সাথে ইতোমধ্যেই আলোচনা করেছি এবং সেই আলোচনার প্রেক্ষিতে বেশ সুনির্দিষ্ট প্রস্তাবনা সরকারকে দিয়েছি। আশা করছি এক্ষেত্রে আগামীতে অগ্রগতি হবে। তবে দেশেও আইটি খাতের সম্ভাবনা অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। আইটি পার্ক হচ্ছে। জিডিপিতে এই খাতের অবদান বাড়ছে। সেখানেও আমাদের দক্ষ জনবল দরকার।

বাংলা টেলিগ্রাফঃ আপনি কোরিয়া এসেছেন বেশিদিন হয়নি। এই স্বল্প সময়ে কোরিয়ানদের কোন ব্যাপারটি সবচেয়ে বেশি ভাল লেগেছে?

আবিদা ইসলামঃ কোরিয়ানদের সময়ানুবর্তীতায় আমি মুগ্ধ। তাদের যত অনুষ্ঠানে গিয়েছি সবকটি সময়মত শুরু এবং শেষ হয়েছে। আমন্ত্রিত অতিথিদের প্রতি তাদের সম্মান ও মনোযোগ আমার ভালো লেগেছে। তাদের সময়নিষ্ঠা, নীতিবোধ, শৃঙ্খলাবোধ যে কোন বিষয়ের গভীরে যাওয়ার প্রবণতা সত্যিই প্রশংসনীয়। আমি মনে করি এসমস্ত গুণাবলীই তাদের স্বল্প সময়ে বিশ্বের ১১তম অর্থনীতিতে পরিণত হতে সাহায্য করেছে।

বাংলা টেলিগ্রাফঃ এই কয়দিনে কি কোরিয়ান খাবার খাওয়ার অভিজ্ঞতা হয়েছে। কোরিয়ান খাবার খেতে পারেন কিনা?

আবিদা ইসলামঃ কোরিয়ান খাবারের সাথে আমার পরিচয় বেশ আগে থেকেই। আমি বিবিমভাপ, বুলগুগিসহ বেশ কিছু কোরিয়ান খাবার খেয়েছি। তাদের খাবার অত্যন্ত স্বাস্থ্যকর। মাঝে মাঝে খেতে আমার ভালো লাগে।

বাংলা টেলিগ্রাফঃ কোরিয়ান ভাষা কি পারেন বা শেখার কোন পরিকল্পনা কি আছে?

আবিদা ইসলামঃ কোরিয়ান কিছু স্বেচ্ছাসেবক আছে যারা কোরিয়ান ভাষা শেখায়। তাদের একজনের মাধ্যমে আমি ভাষা শেখা শুরু করেছি। তবে  ব্যস্ততার কারণে কতদূর অগ্রসর হতে পারবো সে বিষয়ে যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে।

বাংলা টেলিগ্রাফঃ সম্প্রতি কোরিয়াতে অনেক বেশি স্টুডেন্ট আসছে। কিন্তু দেখা যাচ্ছে আগে যেখানে প্রায় সবাই স্কলারশীপ নিয়ে আসতো সেখানে এখন এজেন্সীর মাধ্যমে অনেক টাকা খরচ করে স্টুডেন্টরা আসছে। যাদের অনেকেই অবৈধ হয়ে যাচ্ছে এবং নিজেদের টাকায় টিউশন ফি দিয়ে পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়া অনেক কঠিন। এই ব্যাপারে আপনাদের অবস্থান কি?

আবিদা ইসলামঃ বিষয়টি নিয়ে আমরাও চিন্তিত এবং এই নিয়ে আমরা বাংলাদেশ স্টুডেন্টস এসোসিয়েশন ইন কোরিয়া’র সাথে কথাও বলেছি। তারাও বিষয়টি নিয়ে কাজ করছে। দক্ষিণ কোরিয়ায় আসতে ইচ্ছুক ছাত্রছাত্রীরা যখন দূতাবাসের কাছে এ বিষয়ে জানতে চায়, তখন আমরা তাদেরকে এখানকার বাস্তবতার কথা জানাই এবং বলি যে, পড়াশোনার পাশাপাশি কাজ করে এই অর্থ উপার্জন সম্ভব নয়। এই সংক্রান্ত তথ্যগুলি আমরা ওয়েব সাইটেও শীঘ্রই প্রকাশ করবো যাতে কোরিয়ায় ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীরা এ বিষয়ে আরো বিস্তারিত জানার সুযোগ পান এবং সুচিন্তিত সিদ্ধান্ত নিতে পারেন।

বাংলা টেলিগ্রাফঃ ওয়েব সাইটের প্রসংগ যখন আসলো, এই সংক্রান্ত প্রশ্নটাই আগে করি। গত কয়েকবছর বাংলাদেশ দূতাবাসের কোন ওয়েবসাইট ছিলো না। একটা ওয়েবসাইট পরে করা হয়েছিল যেটা অনেকদিন ধরে তথ্যহীন এবং অগোছালোভাবে ছিল। এই ব্যাপারে আপনারা কোন উদ্যোগ নিয়েছেন কি?

আবিদা ইসলামঃ ইতোমধ্যেই আমরা স্থানীয় একটি সংস্থার সাথে কথা বলেছি। আশাকরি আগামী দুই/তিন মাসের মধেই আমরা তথ্যপূর্ণ ও ব্যবহার বান্ধব একটি ওয়েবসাইট আপনাদের উপহার দিতে পারবো।

দূতাবাস আয়োজিত উন্নয়নশীল দেশের তালিকায় উত্তরণের যোগ্যতা অর্জনের উৎযাপনে বক্তব্য রাখছেন রাষ্ট্রদূত আবিদা ইসলাম

বাংলা টেলিগ্রাফঃ আপনার সময়ে দূতাবাসের মিশন কি হবে? কোন বিশেষ পরিকল্পনা আছে কিনা?

আবিদা ইসলামঃ সব রাষ্ট্রদূতদের মিশন বা লক্ষ্য একটাই থাকে তা হলো বাংলাদেশের সাথে স্বাগতিক দেশের সম্পর্ক সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্র সমূহে আরো জোরদার করা। দক্ষিণ কোরিয়ার সাথে আমাদের বিভিন্ন ক্ষেত্রে সমঝোতা স্মারক রয়েছে। সেগুলোকে আরো যুগোপযোগী করার ইচ্ছে রয়েছে সেই সাথে অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক, বাণিজ্যিকসহ সকল ক্ষেত্রে সম্পর্ক সুদৃঢ় করা আর উভয় দেশের সাধারন মানুষদের মধ্যে যোগাযোগ বৃদ্ধির ক্ষেত্রে কাজ আরো জোরালো ভাবে চালিয়ে যাবো।

বাংলা টেলিগ্রাফঃ সর্বশেষ, কোরিয়া প্রবাসীদের উদ্দেশ্যে যদি কিছু বলতেন।

আবিদা ইসলামঃ বাংলাদেশ সরকারের ঘোষিত উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে কোরিয়ায় বসবাসরত সকল বাংলাদেশীদের দেশের স্বার্থে দল-মত নির্বিশেষে দূতাবাসের কর্মকান্ডে সাহায়তা করবার আহবান জানাচ্ছি।

বাংলা টেলিগ্রাফঃ বাংলা টেলিগ্রাফ এবং বাংলা টেলিগ্রাফের পাঠকদের পক্ষ থেকে আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

আবিদা ইসলামঃ বাংলা টেলিগ্রাফের সকল পাঠককেও আমার এবং বাংলাদেশ দূতাবাসের পক্ষ থেকে অনেক ধন্যবাদ।