Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

২০১৩ সালে ওয়েব ইনডেক্সে কোরিয়া দশম

অনলাইন প্রতিবেদক, সিউল, ২৭ নভেম্বর ২০১৩:

সলিড ব্রডব্যান্ড নেটওয়ার্ক ও ই-গভর্নমেন্ট সার্ভিসের শক্তিমান বিচারে ওয়ার্ল্ড ওয়েব ইনডেক্সে ৮১ টি দেশের মধ্যে এবছর দক্ষিণ কোরিয়ার অবস্থান দশম। ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব ফাউন্ডেশন (ডব্লিউডব্লিউডব্লিউএফ) রবিবার এ ইনডেক্স সম্বলিত একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। র্যাং কিংয়ে টানা দ্বিতীয় বছরের মতো প্রথম স্থানটি ধরে রেখেছে সুইডেন। পরবর্তী তিনটি স্থান যথাক্রমে নরওয়ে, যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রের।

chardike-ad

imagesওয়ার্ল্ড ইনডেক্স স্কোর ৮৭.৪ নিয়ে কোরিয়া এশিয়ান দেশগুলোর মধ্যে সবার উপরে থেকে গত বছরের তুলনায় তিন ধাপ এগিয়েছে। ইন্টারনেট সেবার যেসব দিক বিবেচনা করে এ র্যা ঙ্কিং করা হয়ে থাকে সেসবের মধ্যে রয়েছেঃ ‘ইউনিভার্সাল এক্সেস’, ‘রিলেটিভ কন্টেন্ট’ ও ‘ফ্রিডম এন্ড ওপেননেস’।

উল্লেখিত ইন্ডডেক্সসমূহে কোরিয়ার অবস্থান যথাক্রমে চতুর্থ, ষষ্ঠ ও তেত্রিশতম।

ডব্লিউডব্লিউডব্লিউএফ বলছে, একাশিটি দেশের মধ্যে কেবমাত্র ছয়টি দেশ ই-কম্যুনিকেশনে সরকারি নিয়ন্ত্রণ বিষয়ে তাদের মানদণ্ড অনুসরণ করে চলছে। সংস্থাটির প্রতিষ্ঠাতা স্যার টিম বার্নার লি ইন্টারনেটে ক্রমবর্ধমান নজরদারি ও সেন্সরশিপকে ‘গনতন্ত্রের জন্য হুমকি’ আখ্যা দিয়ে অনলাইনে মতপ্রকাশ ও সাংগঠনিক কার্যক্রমে গোপনীয়তা ও স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

প্রতিবেদনের ভাষ্য অনুসারে, দক্ষিণ কোরিয়ায় জনগণের ব্যাক্তিগত যোগাযোগসহ বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে সরকার ও কর্তৃপক্ষের ইচ্ছেমতো নজরদারি দেশটিকে ‘অতিরিক্ত রাষ্ট্রীয় হস্তক্ষেপ’–এর দায়ে অভিযুক্ত করতে পারে। এতে জাতীয় নিরাপত্তা আইন ও মানহানি আইনের নামে কোরিয়ায় সরকার বিরোধী সমালোচকদের মুখ বন্ধ রাখা ও সাম্প্রতিক নির্বাচনগুলোতে তাঁদের মতপ্রকাশে বাঁধা প্রদানের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়।

প্রসঙ্গত, চলতি বছরে যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল সিকিউরিটি এজেন্সীর সাবেক কর্মী এডওয়ার্ড স্নোডেন সে দেশের সরকার কর্তৃক জনগণের ফোনালাপ, ইমেইল ও ইন্টারনেট যোগাযোগে নজরদারির বিষয়টি ফাঁস করে দেয়ার পর থেকে সারা বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সরকারগুলোর এমন নজরদারির তথ্য অহরহ পাওয়া যাচ্ছে।