Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

bridgeদক্ষিণ সুনামগঞ্জের গ্রামীণ সড়কের একটি সেতুতে রডের বদলে বাঁশ ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে। নিম্নমানের কাজ হওয়ায় সেতুটির বিভিন্ন অংশে ফাটল দেখা দেয়ায় ভেতরে থাকা বাঁশ দৃশ্যমান হয়ে উঠেছে।

এতে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে স্থানীয়দের মধ্যে। প্রায় ২৮ লাখ টাকা ব্যয়ে এই সেতুটি নির্মিত হয়। সেতুটি নির্মাণ করেছে মেসার্স স্মার্ট এন্টারপ্রাইজ নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।

chardike-ad

সূত্র জানায়, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির আওতায় ২০১৬-১৭ অর্থবছরে উপজেলার পূর্ব বীরগাঁও ইউনিয়নের বীরগাঁও-হাসকুঁড়ি রাস্তার জিল্লুর মিয়ার বাড়ির সামনের খালের উপর ২৭ লাখ ৯৪ হাজার ২৫৬ টাকা ব্যয়ে এ সেতুটি নির্মাণ করা হয়।

bridgeওই সময় নির্মাণ শ্রমিক হিসেবে কাজ করেছিলেন বীরগাঁও গ্রামের রফিজ আলীও। তার মতে সেতুর বিভিন্ন অংশে রডের বদলে বাঁশ ও বাঁশের ফলা ব্যবহার করা হয়েছে। দিনের বেলা কাজ না করে রাতের আঁধারে কাজ করা হতো। শুরু থেকেই অনিয়ম করেছেন ঠিকাদার। প্রতিবাদ করেও কোনো লাভ হয়নি।

সেতুটি পূর্ব বীরগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের ৭ নম্বর ওয়ার্ডে নির্মাণ করা হয়েছে। এই ওয়ার্ডের সদস্য জুবায়ের আহমদও উল্লেখ করেছেন সেতু নির্মাণের সময় অনিয়ম হয়েছে। এজন্য সেতুতে ফাটল অংশে বাঁশ-রড দুটোই দেখা যায়।

ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স স্মার্ট এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী মো. মোজাহিদ মিয়ার সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি খুব অসুস্থ। আমার অতিরিক্ত জ্বর। এ বিষয়ে তার সঙ্গে কথা বলতে চাইলে তিনি অনিহা প্রকাশ করেন।

bridge

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. শাহাদাৎ হোসেন ভুঞার সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলতে চাইলে তিনি বলেন, আমি কথা বলতে পারবো না, কথা বলতে হলে ইউএনওর সঙ্গে আগে কথা বলতে হবে। পরে একাধিকবার তার সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তিনি কল রিসিভ করেননি।

এ বিষয়ে জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা ফরিদুল হক জানান, কোনো সেতু বা কালভার্ট নির্মাণে বাঁশ ব্যবহারের সুযোগ নেই। কারও কাছ থেকে এ ধরনের কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি বা কেউ বিষয়টি অবগত করেনি। এ বিষয়ে খোঁজখবর নেয়া হবে।

bridgeঅন্যদিকে, দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান হাজী আবুল কালাম বলেন, ব্রিজ নির্মাণের কাজে অনিয়ম ও রডের বদলে বাঁশ ব্যবহারের বিষয়টি তদন্ত করে ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেলে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ও পিআইও শাহাদাৎ হোসেনের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হোক।

উল্লেখ্য, এর আগে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সরকারি বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণ কাজে রডের বদলে বাঁশ ব্যবহারের অভিযোগ উঠে। সুনামগঞ্জে স্থাপনা নির্মাণে রডের বদলে বাঁশ ব্যবহার প্রসঙ্গে এটিই প্রথম অভিযোগ।

সৌজন্যে- জাগো নিউজ