দুয়ারে কড়া নাড়ছে রাশিয়া বিশ্বকাপ। আর মাত্র ৪২ দিন পর পর্দা উঠবে ফুটবলের সবচেয়ে বড় মহাযজ্ঞের ২১তম আসরের। এ মুহূর্তে চূড়ান্ত প্রস্তুতি নেয়ার সূচিমালা গাঁথছে এতে ছাড়পত্র পাওয়া দলগুলো।
ব্যতিক্রম নয় এবারের আসরের অন্যতম ফেভারিট আর্জেন্টিনাও। এর অংশ হিসেবে ৯ জুন ইসরাইলে তাদের বিপক্ষেই প্রীতি ম্যাচ খেলবে দুবারের চ্যাম্পিয়নরা।
এখানেই যত বিপত্তি। সেই ম্যাচ আয়োজনের পথে কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে বিডিএস আন্দোলন! ম্যাচটি বাতিল করতে আর্জেন্টিনাকে অনুরোধ করেছেন এর হর্তাকর্তারা।
ফিলিস্তিনের সুশীল সমাজের ২৫০ জনের মতো সদস্য ছোট্ট পরিসরে ২০০৫ সালে এই আন্দোলনের ডাক দেন। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে ইসরাইলি পণ্য বয়কট, সেখান থেকে বিনিয়োগ সরিয়ে নেয়া এবং দেশটির ওপর অবরোধ আরোপের আহ্বান জানানোর মধ্য দিয়ে শুরু হয় এ আন্দোলন। সেটি এখনও অব্যাহত আছে।
সেই আন্দোলনের প্রতি আকুণ্ঠ সমর্থন চেয়ে ইসরাইলের সঙ্গে ম্যাচটি খেলা থেকে বিরত থাকতে আর্জেন্টিনা ক্রীড়াব্যক্তিত্বদের চিঠি দিয়েছে বিডিএস। এতে উল্লেখ করা হয়েছে, ম্যাচটি বাতিল নিপীড়ন, বর্ণবিদ্বেষ ও গণহত্যার প্রতি আর্জেন্টাইনদের একাত্মতার প্রতিনিধিত্ব করবে।
তবে এই অনুরোধ উপেক্ষা করেই নির্ধারিত সময়ে খেলার সিদ্ধান্তে অটল আছে আর্জেন্টিনা। যদিও এখনও ভেন্যু নিশ্চিত হয়নি।
সেই ম্যাচ ঘিরে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা কাজ করছে ইসরাইলিদের মধ্যে। লিওনেল মেসি, অ্যাঞ্জেল ডি মারিয়া, সার্জিও আগুয়েরোকে এক পলক দেখার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন তারা।
ম্যাচটি সরাসরি সম্প্রচার করবে টিওয়াইসিএস স্পোর্টস। অধিকাংশ আনুষ্ঠানিকতাও সেরে ফেলেছে চ্যানেলটি। কয়েকটি ওয়েবসাইটও তাদের কার্যক্রম গুছিয়ে ফেলছে।