একদিকে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে বড় বড় বেশ কিছু দল যেখানে ম্যাচ হেরে বিদায় নেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে, অন্যদিকে ইউরোপা লিগে যেন অন্য ঘটনা ঘটছে। ইউরোপা লিগের কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম লেগে স্প্যানিশ ক্লাব আতলেতিকো মাদ্রিদের কাছে ২-১ ব্যবধানে হেরেছিলো জার্মান ক্লাব বরুশিয়া ডর্টমুন্ড। কিন্তু দ্বিতীয় লেগে এসে পরিস্থিতি যেন বদলে গেলো। ফিরতি লেগে ঘরের মাঠে আতলেতিকোকে ৪-২ গোলে হারিয়ে ৫-৪ অ্যাগ্রিগেট ব্যবধান নিয়ে ১১ বছর পর সেমিফাইনালে উঠেছে এডিন টেরজিকের শিষ্যরা।
গতকাল ঘরের মাঠ সিগনাল ইদুনা পার্কে অনুষ্ঠিত ম্যাচের শুরু থেকেই দারুণভাবে খেলতে থাকে ডর্টমুন্ড। যার ফলও তাঁরা পায় অবধারিতভাবেই। প্রথমার্ধের ৩৪ মিনিটে ইউলিয়ান ব্রান্ড এবং ৩৬ মিনিটে ইয়ান ম্যাটসেনের গোলে এগিয়ে যায় বরুশিয়া। এরপর ২-০ গোল ব্যবধান নিয়ে বিরতিতে যায় তাঁরা।
বিরতির পর যেন অঘটন ঘটলো তাঁদের সাথে। ৪৯ মিনিটে ম্যাট হ্যামেলসের এক আত্মঘাতী গোলে কিছুটা হলেও ব্যাকফুটে চলে যায় ডি শোয়াৎর্জগেলবেনরা। ৬৪ মিনিটে আনহেল কোরায়া আতলেটিকোর পক্ষে আরেকটি গোল করলে ব্যবধান ২-২ সমতায় পৌঁছায়। মনে হচ্ছিলো যেন এবার হয়তো আর তাঁদের সেমিফাইনালে খেলা হবে না ।
কিন্তু এরপর দলকে পুনরায় জয়ের ধারায় ফেরান জার্মান ফরোয়ার্ড নিকোলাস ফুলক্রুগ। ৭১ মিনিটে তাঁর দেওয়া এক গোলে আবারো এগিয়ে যায় বরুশিয়া ডর্টমুন্ড। এরপর আবির্ভাব ঘটে মিডফিল্ডার মার্সেল সাবিৎজারের। ৭৪ মিনিটে সাবিৎজারের গোলে ৪-২ ব্যবধানে এগিয়ে যায় দল। এরপর আর কোনো গোল না হওয়ায় শেষ পর্যন্ত ৪-২ ব্যবধান এবং অ্যাগ্রিগেটে ৫-৪ ব্যবধানে এগিয়ে থেকে ২০১২-১৩ মৌসুমের পর আবারো সেমিফাইনাল নিশ্চিত করে মাঠ ছাড়ে তাঁরা। সেমিফাইনালে এবার তাঁদের প্রতিপক্ষ ফরাসি ক্লাব পিএসজি।








































