Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

বকেয়া ভ্যাট আদায়ের জন্য হোটেলের সামনে ময়লার স্তূপ

cox bazar hotel fontবকেয়া পৌর কর পরিশোধে একাধিকবার নোটিশ দেয়ার পরও কর পরিশোধ না করায় ব্যতিক্রমী কৌশল অবলম্বন করেছে কক্সবাজার পৌর কর্তৃপক্ষ। শহরের কলাতলী হোটেল-মোটেল জোনের চারটি হোটেলের সামনে গারবেজ-ট্রাক থেকে ময়লা ফেলেছে পৌরসভা।

বুধবার দুপুরে কলাতলীর হোটেল জামাল, সি ওয়েভ, কক্স ভ্যালি ও সি পয়েন্ট রিসোর্টের সামনে ময়লার স্তূপ জমা করতে দেখা যায় পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের। তবে ২-৩ ঘণ্টা পর পৌর কর আদায়ের প্রতিশ্রুতি নিয়ে পৌর মেয়রের হস্তক্ষেপে সরানো হয় ময়লা আর্বজনার স্তূপ।

chardike-ad

এ বিষয়ে কক্সবাজার পৌরসভার ১১নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রফিকুল ইসলাম বলেন, বারবার তাগাদা দেয়ার পরও কিছু হোটেল, মোটেল ও কটেজ থেকে ভ্যাট আদায় করা সম্ভব হচ্ছে না। এ কারণে পৌর পরিষদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এমন পদ্ধতি অবলম্বন করা হয়েছে। এতে যেন ভ্যাট বকেয়া থাকা প্রভাবশালীরা কিছুটা হলেও লজ্জিত হন এবং বিবেকের দংশনে ভ্যাট প্রদান করেন।

হোটেল জামালের ম্যানেজার শাহনিয়াজ জানান, পৌরসভার পরিচ্ছন্নতা কাজে নিয়োজিত একটি ডাম্পার আকস্মিকভাবে এসে হোটেলের একদম সম্মুখে ময়লাগুলো ফেলে। এতে মুহূর্তের মধ্যে দুর্গন্ধে সয়লাব হয়ে যায় পুরো এলাকা। ময়লার স্তূপে হোটেলের প্রবেশপথও বন্ধ হয়ে যায়। একই হোটেল সি ওয়েভ, কক্স ভ্যালি ও সি-পয়েন্ট রিসোর্টের।

তবে স্থানীয় ব্যবসায়ী আবু সায়েম জানান, পর্যটন মৌসুমকে কেন্দ্র করে কক্সবাজার হোটেল মোটেল ব্যবসায়ীরা কোটি কোটি টাকা আয় করেছে। কিন্তু তারা কেন সরকারি রাজস্ব ফাঁকি দেবে। সুতরাং পৌরসভা যা করেছে তা ভালো করেছে বলে মতপ্রকাশ করেন ব্যবসায়ী মহল।

এ বিষয়ে কক্সবাজার পৌরসভার মেয়র মাহবুবুর চৌধুরীর বলেন, কয়েক দফা অনুরোধ ও লিখিত নোটিশ দেয়ার পরও অনেক হোটেল ও রিসোর্ট কর্তৃপক্ষ ভ্যাট দেয়নি। এতে পৌরসভার উন্নয়নকাজ মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, রাস্তা অপরিষ্কার, নালা-নর্দমায় ময়লা, সড়কবাতি জ্বলে না ইত্যাদি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ নানাভাবে পৌর পরিষদকে প্রতিনিয়ত হেয় করেন জনতা। অথচ সেই জনগণের একটি অংশ পৌরকর ফাঁকি দেয়। তারা ভ্যাট, ট্যাক্স ফাকি দেবে, কিন্তু সেবা চাইবে শতভাগ। তাই ভ্যাট আদায়ের জন্য বাধ্য হয়ে ময়লা ফেলার অভিনব ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। আশা করি এতে তাদের বোধোদয় হবে।

মেয়র জানান, পৌরসভার পরিচ্ছন্নতাসহ নানা প্রকল্প পাওয়ার জন্য ৮৫ শতাংশ ভ্যাট আদায় দেখাতে হয়। কিন্তু কক্সবাজারে এখন পর্যন্ত ৩৪ শতাংশ ভ্যাট আদায় সম্ভব হয়েছে। জুন মাসের মধ্যে ভ্যাট আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন না হলে পৌরসভার চলমান প্রকল্পগুলো বাতিল হয়ে যাবে।