Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

ধর্মের মা ডেকে প্রবাসীর স্ত্রীর সঙ্গে প্রতারণা

kohinurঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলার মানকি গ্রামের এছাহাক হাওলাদারের ছেলে মনির হাওলাদার উপজেলার মঠবাড়ি গ্রামের দুবাই প্রবাসী আজগর আলীর স্ত্রী কহিনুর বেগমকে ধর্মের মা ডাকেন। এ কারণে বাসায় যাতায়াত ছিল অবাধ। বাসায় আসা-যাওয়ার সুযোগে চেক, দলিল, সোনার গহনা ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র চুরি করেন মনির। পরে নিজেকে রক্ষা করতে চেক জালিয়াতির মামলার হুমকি দিয়ে উল্টো ৭ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করছেন মনির।

চুরি হওয়া মালামাল উদ্ধারের জন্য ঝালকাঠির অতিরিক্ত ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করেছেন কহিনুর বেগম। বিষয়টি জানিয়ে রাজাপুর সাংবাদিক ক্লাবে বুধবার সকালে সংবাদ সম্মেলন করেছেন তিনি। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে কহিনুর বেগম অভিযোগ করে বলেন, মানকি গ্রামের এছাহাক হাওলাদারের ছেলে মনির হাওলাদার আমাকে ধর্মের মা ডাকেন।

chardike-ad

এই সুযোগে গত এপ্রিল মাসের ২৫ তারিখে কৌশলে আমার স্বাক্ষর করা সোনালী ব্যাংকের ৩টি চেক (নং ৩০০২২৯০, ৩০০২২৯১ ও ৯৩২৮৯৬৯), ৫টি জমির দলিল, ৪টি পর্চা, জাতীয় পরিচয়, মেয়ের জন্মসনদ, ছেলের এসএসসির সনদ, ৪০ হাজার টাকা, দুটি স্বর্ণের চেইন, দুই জোড়া কানের বালা ও একটি আংটিসহ মোট ৩ ভরি গহনা চুরি করে নিয়ে যায় মনির।

এরপর গোপনে সোনালী ব্যাংক অ্যাকাউন্ট (নং ১১৪৬০) থেকে ১২০০ টাকা উত্তোলন করে নেয়। কিন্তু প্রবাসীর স্ত্রী কহিনুর বেগমের ছেলেকে এ ঘটনায় অভিযুক্ত করে নানাভাবে হয়রানি করে প্রতারক মনির।

কহিনুর বেগম অভিযোগ করেন, মনিরের কাছে থাকা দুটি চেকের মাধ্যমে বর্তমানে কহিনুরের কাছে ৭ লাখ টাকা দাবি করে আসছে। অন্যথায় কহিনুরের বিরুদ্ধে চেক জালিয়াতির মামলাসহ নানা হুমকি ও ভয়ভীতি দিচ্ছে। নিরুপায় হয়ে কহিনুর বেগম বাদী হয়ে মনিরের বিরুদ্ধে মালামাল ও কাগজপত্র উদ্ধারে ঝালকাঠির অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে গত ৭ মে মামলা করেন।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত মনির হাওলাদারের মতামত জানার জন্য তার ব্যবহৃত মোবাইল নম্বরে কল দিলেও রিসিভ করেননি তিনি।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা রাজাপুর থানা পুলিশের এসআই ফিরোজ আলম জানান, আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী দলিল ও চেক উদ্ধারপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের চেষ্টা অব্যাহত আছে।

সৌজন্যে- জাগো নিউজ