Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

রাশিয়ান মেয়ে পটানোর শিক্ষা দিয়ে ক্ষমা চাইল আর্জেন্টিনা ফুটবল

afaরাশিয়া বিশ্বকাপের জন্য আর্জেন্টাইন সাংবাদিকদের হাতে একটি নির্দেশিকা তুলে দিয়েছিল দেশটির ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (এএফএ)। সেই নির্দেশিকায় রাশিয়ান মেয়েদের সঙ্গে প্রেম করার নানা পথ বাতলে দেওয়া হয়েছিল। এ নিয়ে চলছে তুমুল সমালোচনা। এই নির্দেশিকায় রাশিয়ান মেয়েদের যেভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে, তাতে অনেকেই এএফএর প্রতি ‘লিঙ্গবৈষম্যে’র অভিযোগ তুলেছেন। আর তাই প্রেম শেখানোর খেসারত হিসেবে ক্ষমাও চাইতে হলো এএফএকে।

আর্জেন্টিনার যেসব সাংবাদিক রাশিয়া যাবেন, তাঁদের নিয়ে এ সপ্তাহের শুরুতে একটি কর্মশালার আয়োজন করেছিল এএফএ। সেই কর্মশালায় সাংবাদিকদের হাতে নির্দেশিকা তুলে দেওয়া হয়। সাংবাদিক ছাড়াও খেলোয়াড় ও অ্যাসোসিয়েশনের কর্মীরাও পেয়েছেন এই নির্দেশিকা। ছোট পুস্তিকাবিশেষ এই বইয়ের কয়েকটি অনুচ্ছেদের শিরোনাম—‘রাশিয়ান মেয়েদের সঙ্গ পেতে যা যা করতে হবে’। কিংবা ‘রাশিয়ান মেয়ে পটাবেন যেভাবে’!

chardike-ad

রাশিয়ান ভাষা ও সংস্কৃতি শেখানোর অংশ হিসেবে এই নির্দেশিকা তৈরি করেছিল এএফএ। কিন্তু সেখানে রাশিয়ান মেয়েদের সঙ্গে প্রেম করার ব্যাপারটাই যেন বেশি গুরুত্ব পেয়েছে। নির্দেশিকায় পরামর্শ দেওয়া হয়েছে, ‘অন্য মেয়েদের মতো রাশিয়ান মেয়েরাও খেয়াল করেন আপনি পরিষ্কার কি না, আপনি কতটা কেতাদুরস্ত এবং শরীরে গন্ধ আছে কি না! তাঁরা চান না কেউ তাঁদের পণ্য হিসেবে দেখুক। শারীরিক সম্পর্ক নিয়ে তাঁদেরও হয়তো আগ্রহ আছে কিন্তু তাঁরাও চান তাঁদের অনন্য ভাবা হোক, গুরুত্ব দেওয়া হোক। বোকার মতো শারীরিক সম্পর্ক নিয়ে প্রকাশ্যে কথা বলো না। রাশিয়ানদের কাছে এটা একান্তই ব্যক্তিগত ব্যাপার।’

বিস্ফোরক সব মন্তব্যসহ এই নির্দেশিকা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ হওয়ার পর থেকেই সমালোচনার ঝড় বইছে। এএফএ তাই ক্ষমা চেয়ে বিবৃতি দিয়েছে, ‘অভ্যন্তরীণ তদন্তে…জানা গেছে, ওই অংশটি আসলে ছাপার ভুল। এতে আর্জেন্টিনা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন, সভাপতি ক্লদিও তাপিয়া কিংবা অ্যাসোসিয়েশনের পরিচালকদের ভাবনার প্রতিফলন ঘটেনি। প্রশাসনিক কর্তৃপক্ষ নির্দেশিকার ওই পাতাগুলো তাৎক্ষণিকভাবে অপসারণ করেছে।’

এএফএ সভাপতি তাপিয়া নিজে বুয়েনস এইরেসে অবস্থিত রাশিয়ান কালচারাল হাউসে গিয়ে হঠকারী কাজটির জন্য ক্ষমা চেয়েছেন। নির্দেশিকায় রাশিয়ান মেয়ে পটানোর কৌশল শেখানোর অংশকে ‘অনিচ্ছাকৃত ভুল’ বলে স্বীকার করেছে এএফএ। দেশটির বৈষম্য ও বর্ণবাদবিষয়ক জাতীয় প্রতিষ্ঠানের (আইএনএডিআই) প্রধান ক্লদিও প্রেসম্যান এ নিয়ে বলেন, ‘আমরা এএফএর সঙ্গে যোগাযোগ করে ব্যাখ্যা চেয়েছি। লেখাগুলো নারীদের প্রতি কলঙ্কজনক।’