Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

বাংলাদেশী ৩৬ শ্রমিককে ক্ষতিপূরণ দিচ্ছে ওমান

৮ ডিসেম্বর ২০১৩, সিউল:

বাংলাদেশী ৩৬ শ্রমিককে ক্ষতিপূরণ দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের তেলসমৃদ্ধ দেশ ওমান। সম্প্রতি দেশটির শ্রম আদালত শ্রমিকদের ক্ষতিপূরণ দেয়ার এ আদেশ দেন। ওমানের বাংলাদেশ দূতাবাস সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। উল্লেখ্য, মাসকটে মাবেলা ইন্ডাস্ট্রিয়াল এস্টেট নামের নির্মাণ প্রতিষ্ঠানে বাংলাদেশী এ শ্রমিকরা প্রায় দুই বছর বেতন-ভাতা ছাড়া কাজ করেন।

chardike-ad

imagesদেশটির শ্রম আদালতের আদেশ অনুযায়ী, দেশে ফেরার দিন মাসিক মজুরির প্রাপ্ততার ভিত্তিতে শ্রমিকদের প্রত্যেককে ১ হাজার ওমানি রিয়াল থেকে ১ হাজার ৫০০ ওমানি রিয়াল (২ লাখ ২ হাজার থেকে ৩ লাখ ৩ হাজার টাকা) দিতে হবে।

জানা গেছে, ২০১১ সালে বেসরকারিভাবে ওই ৩৬ শ্রমিককে বাংলাদেশ থেকে ওমান পাঠানো হয়। মাসিক ৯০ থেকে ১৫০ ওমানি রিয়াল (প্রায় ১৮ হাজার ২০০ থেকে ৩০ হাজার ৩০০ টাকা) বেতনে তাদের চাকরিতে নিয়োগ দেয়া হয়। প্রথমে কয়েক মাস পর পর বেতন পরিশোধ করা হলেও পরে একেবারে তা বন্ধ হয়ে যায়। পাশাপাশি তাদের বাইরে বের হতে বা দেশে ফিরতে না দিয়ে কারখানার ভেতরে আটকে রাখা হয়।

ওমানের বাংলাদেশী দূতাবাস সূত্রে জানা যায়, শ্রমিকদের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সহযোগিতা ও আদালতের সিদ্ধান্তে এখন বাড়ি ফেরার অপেক্ষা করছেন শ্রমিকরা। পাসপোর্ট ও প্লেনের টিকিট পেলেই দেশের উদ্দেশে রওনা দেবেন তারা।

যাদের সহযোগিতায় ওমানে নির্যাতিত বাংলাদেশী শ্রমিকরা ন্যায়বিচার পেয়েছেন, তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন ওমানে নিযুক্ত বাংলাদেশী রাষ্ট্রদূত এইচ ই শেখ সেকান্দর আলী। এ প্রসঙ্গে মাসকটে নিযুক্ত বাংলাদেশ দূতাবাসের এক কর্মকর্তা জানান, শ্রমিকদের অনেকেরই পাসপোর্টের মেয়াদ নেই, তবে দূতাবাস এ ব্যাপারটি দেখভাল করছে। এছাড়া তাদের অন্য সমস্যাগুলোও দ্রুত সমাধানের চেষ্টা চলছে।

ওমানের শীর্ষস্থানীয় ইংরেজি দৈনিক মাসকট ডেইলিতে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশে ভিটেবাড়ি বিক্রি করে ওমানে যাওয়া ওই শ্রমিকদের খাবার ও অন্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী ঠিকমতো সরবরাহ করত না কারখানা কর্তৃপক্ষ।