Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

ইসরায়েলে খেললে মেসির জার্সি পুড়বে

messiবিশ্বকাপকে সামনে রেখে ইসরায়েলের সঙ্গে একটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে আর্জেন্টিনা। ফিলিস্তিনের জনগণ এই ম্যাচটি নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই নাখোশ। বিরোধপূর্ণ জেরুজালেমের মাটিতে এই ম্যাচটি খেললে প্রকারান্তরে ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি আগ্রাসনকেই স্বীকৃতি দেওয়া হবে বলে মনে করছেন অনেকেই। ফিলিস্তিনের মানুষ এরই মধ্যে নিজেদের মনোভাবের কথা জানিয়ে দিয়েছেন। আর্জেন্টিনা খেললেও ফিলিস্তিনিরা চান অন্তত মেসি যেন ম্যাচটা না খেলেন। ফিলিস্তিন ফুটবল ফেডারেশনের প্রধান জিব্রিল রাজুব মরিয়া হয়েই হুমকি দিয়েছেন মেসি যদি ইসরায়েলের মাটিতে খেলেন তাহলে তাঁর জার্সি ও ছবি পোড়ানো হবে।

রাজুব মনে করেন, এই ম্যাচে মেসির অংশগ্রহণের বিষয়টাকে ইসরায়েল রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করার চেষ্টা করছে। প্রথমে ইসরায়েলের হাইফাতে এই ম্যাচটি হওয়ার কথা থাকলেও পরে ভেন্যু বদলে তা পশ্চিম জেরুজালেমের টেডি কোলেক স্টেডিয়ামে নিয়ে যাওয়া হয়। গাজার সঙ্গে এই জেরুজালেমের পূর্ব অংশই প্রস্তাবিত স্বাধীন ফিলিস্তিন-রাষ্ট্রর রাজধানী। পুরো ব্যাপারটার সঙ্গেই জড়িয়ে আছে ফিলিস্তিনিদের আবেগ।

chardike-ad

ইসরায়েল রাষ্ট্রের ৭০ বছর পূর্তি-উৎসবের অংশ হিসেবেই এই ম্যাচটির আয়োজন করতে চাচ্ছে এখন ইসরায়েলি ফুটবল ফেডারেশন—এমনটাই শঙ্কা ফিলিস্তিনিদের। ব্যাপারটি জানানো হয়েছে আর্জেন্টাইন ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের (এএফএ) প্রধান ক্লদিও তাপিয়াকেও। রাজুব মেসির প্রতি সুস্পষ্ট আহ্বান রেখেছেন, ‘মেসি তুমি ইসরায়েলে খেলতে এসো না। ইসরায়েলিরা ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে যে জাতি বিদ্বেষের আগুন জ্বালিয়েছে ইসরায়েলে খেলতে এসে তার বৈধতা তুমি দিও না—এটা আমাদের অনুরোধ!

মেসি কী ফিলিস্তিনি ফুটবল ফেডারেশনের আহ্বান শুনবেন? রাজুব বলেছেন, তিনি আমাদের কথা না শুনলে মুসলিম বিশ্বের সব তরুণদের বলব, তাঁর ছবি ও জার্সি পুড়িয়ে ফেলতে। মেসিকে বর্জন করতে।’

এদিকে ইসরায়েলের ফুটবল ফেডারেশন ঘোষণা দিয়ে রেখেছে ৯ জুনের প্রস্তুতি ম্যাচে মেসির খেলার সম্ভাবনা বেশিই।