Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

englandফুটবল বিশ্বকাপ জ্বরে যখন কাঁপছে দুনিয়া, তখন অস্ট্রেলিয়াকে পেয়ে ওয়ানডে ক্রিকেটের ইতিহাসে নতুন রেকর্ড তৈরি করলো ইংল্যান্ড। কল্পনাকেও হার মানিয়ে যায়, অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে এমন ব্যাটিংই করেছে ইংলিশ ব্যাটসম্যানরা।

ট্রেন্টব্রিজে দুই বছর আগে নিজেদের গড়া সর্বোচ্চ ৪৪৪ রানের রেকর্ড ভেঙে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে মাত্র ৬ উইকেট হারিয়ে ৪৮১ রানের বিশাল স্কোর গড়ে ইংল্যান্ড। জবাবে অস্ট্রেলিয়া ৩৭ ওভারে অলআউট মাত্র ২৩৯ রানে। ফলে, নিজেদের ইতিহাসে ২৪২ রানের সবচেয়ে বড় জয় তুলে নিল ইংল্যান্ড।

chardike-ad

ওয়ানডে ক্রিকেটের ইতিহাসে এই প্রথম কোনো দল দলীয় স্কোর ৪৫০ রান পার করলো। শুধু ৪৫০ রান পার করাই নয়, স্কোরকে পার করে দিলো পৌনে পাঁচশ’। থামলো গিয়ে ৪৮১ রানে। রীতিমত অবিশ্বাস্য ব্যাটিং। টি-টোয়েন্টির জয়জয়কারের এই যুগে অচীরেই হয়তো দলীয় স্কোর ৫০০ পার হতেও দেখা যাবে।

২০০৬ সালে জোহানেসবার্গে অস্ট্রেলিয়ার করা ৪৩৪ রানের বিশাল স্কোর পার করে যখন ৪৩৮ রান করে জিতে গিয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা, তখন ওই ম্যাচ নিয়ে তুমুল হইচই সারা দুনিয়ায়। ওয়ানডে ক্রিকেটের ইতিহাসে সেরা ম্যাচ হিসেবেই আখ্যায়িত করা হয়েছিল ওই ম্যাচকে।

কিন্তু এরপরও ৪৩৮ রান পার হয়ে বড় বড় স্কোর খেলতে দেখা গেছে অনেককে। দক্ষিণ আফ্রিকা ৪৩৯ রানের, শ্রীলঙ্কা খেলেছিল ৪৪৩ রানের ইনিংস। সর্বশেষ ২০১৬ সালের আগস্টে পাকিস্তানের বিপক্ষে এই ট্রেন্টব্রিজেই মাত্র ৩ উইকেট হারিয়ে ৪৪৪ রানের বিশাল স্কোর খেলেছিল ইংল্যান্ড। ওয়ানডে ক্রিকেটে আজকের আগ পর্যন্ত ওটাই ছিল সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড।

সেই একই মাঠে আবার রানের নহর বইয়ে দিলো ইংল্যান্ড। ট্রেন্টব্রিজে টস জিতে ইংল্যান্ডকে ব্যাট করার আমন্ত্রণ জানায় অসি অধিানয়ক টিম পেইন। ব্যাট করতে নেমে দুই ওপেনার জেসন রয় এবং জনি বেয়ারেস্ট ঝড়ো সূচনা এনে দেন ইংল্যান্ডকে। ৬১ বলে ৮২ রান করে রানআউট হওয়ার আগে ১৯.৩ ওভারে ১৫৯ রানের জুটি গড়েন জেসন রয়। ৭টি বাউন্ডারির সঙ্গে ছক্কা মারেন ৪টি।

এরপর জনি বেয়ারেস্ট এবং আলেক্স হেলস মিলে গড়ে তোলে বিশাল এক জুটি। ১৫১ রান আসে এ দু’জনের সম্মিলিত ব্যাট থেকে। ৯২ বলে ১৩৯ রান করে আউট হন বেয়ারেস্ট। ১৫টি বাউন্ডারির সঙ্গে ছক্কা মারেন ৫টি। ৯২ বলে ১৪৭ রান করেন আলেক্স হেলস। ১৬টি বাউন্ডারির সঙ্গে তিনিও মারেন ৫টি ছক্কার মার।

শেষ দিকে ব্যাট করতে নেমে ঝড় তোলেন অধিনায়ক ইয়ন মরগ্যান। ইংল্যান্ডের পক্ষে দ্রুততম হাফ সেঞ্চুরি করেন তিনি ২১ বলে। শেষ পর্যন্ত ৩০ বল তিনি ৬৭ রান করে আউট হন। বাটলার এবং মঈন আলি দু’জনই আউট হন ১১ রান করে। শেষ পর্যন্ত ৬ উইকেট হারিয়ে ইংল্যান্ডের স্কোর দাঁড়ায় ৪৮১ রানে।

ইংল্যান্ডের ইনিংসে ২১টি ছক্কার সঙ্গে বাউন্ডারি মেরেছে ৪১টি। ওয়ানডে ক্রিকেটের ইতিহাসে না হলেও লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে মাত্র একবার ৪৫০-এর অধিক স্কোর হয়েছিল। ২০০৭ সালে ইংলিশ কাউন্ডি ক্রিকেটে গ্লস্টারশায়ারের বিপক্ষে ৪ উইকেট হারিয়ে ৪৯৬ রান করেছিল সারে।

অসি বোলার অ্যান্ড্রু টাই ৯ ওভারে দেন ১০০ রান। রিচার্ডসন ১৯ ওভারে দেন ৯২, মার্কাস স্টোইনিজ ৮ ওভারে দেন ৮৫ রান। বিলি স্ট্যানলেক ৮ ওভারে দেন ৭৪ রান। জবাব দিতে নেমে মাত্র ৩৭ ওভারেই ২৩৯ রান তুলতেই অলআউট অস্ট্রেলিয়া। সর্বোচ্চ ৫১ রান করেন ট্রাভিস হেড। মার্কাস স্টোইনিজ করেন ৪৪ রান।