Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

মেসিকে কথা দিয়েছিলেন ক্রোয়েশিয়া অধিনায়ক

modrichএই ম্যাচে আইসল্যান্ডের একটা-ই হিসেব ছিল; জয়-জয়-জয়…। এ ছাড়া আর কোনো পথ খোলা ছিল না প্রথমবার বিশ্বকাপ খেলতে আসা দলটির সামনে। তবে তাকিয়ে থাকতে হয়েছিল আর্জেন্টিনা-নাইজেরিয়া ম্যাচের দিকেও। ওই ম্যাচে জয়-পরাজয় কিংবা ড্রয়ের হিসাবও তাদের ভাগ্য এদিক-সেদিক করে দিতে পারত। অন্যদিকে ক্রোয়েশিয়ার জয় আর্জেন্টিনার জন্য হিসেবটা সহজ করে দিতে পারে। এর অাগে আর্জেন্টাইন ফুটবলের রাজপুত্র মেসিকে একটা কথা দিয়েছিলেন ক্রোয়েশিয়া অধিনায়ক লুকা মডরিচ। বলেছিলেন—মেসির জন্য হলেও আইসল্যান্ডের সঙ্গে ম্যাচটা জিতবে ক্রোয়েশিয়া। মডরিচ কথা রেখেছেন। আইসল্যান্ডকে ২-১ গোলে হারিয়েছে ক্রোয়েশিয়া। নাইজেরিয়ার সঙ্গে একই ব্যবধানে জিতে আর্জেন্টিনাও উঠে গেছে দ্বিতীয় রাউন্ডে।

মিলান বাদেলির গোলে এগিয়ে গেলেও পেনাল্টি থেকে আইসল্যান্ডকে সমতা এনে দেন মিডফিল্ডার জিলফি সিগার্ডসন। এরপর আইসল্যান্ডের রক্ষণে হানা দেন ইভান পেরিসিচ। পেরিসিচের গোলে জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে ক্রোয়েশিয়া। পুরো ৯ পয়েন্ট পেয়ে মডরিচরা হয়েছে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন।

chardike-ad

এর মধ্যেই দ্বিতীয় রাউন্ড নিশ্চিত হয়ে যাওয়ায় মূল একাদশকে বেঞ্চে বসিয়ে রেখেছিল ক্রোয়েশিয়ার কোচ জ্লাতকো দালিচ। তবু প্রথমার্ধের মিনিট বিশেক একের পর এক আক্রমণে আইসল্যান্ডের রক্ষণকে তটস্থ রাখে ক্রোয়েশিয়ার আক্রমণভাগ। আইসল্যান্ড খেলায় ফিরে আসে প্রতি আক্রমণের কৌশলের ওপর ভর করে। ম্যাচের ৮মিনিটেই সুযোগ পেয়ে বসে আইসল্যান্ড। আক্রমণে থাকা খেলোয়াড়ের ভুল বোঝাবুঝিতে সেটা হাতছাড়া হয়। ক্রোয়েশিয়া বল দখল নিয়ে খেলা চালিয়ে যায়। আর আইসল্যান্ড পাল্টা-আক্রমণে উঠে আসার চেষ্টা করে। কিন্তু গোলমুখে শট নিতে ব্যর্থ দুই দলই। ডি-বক্সের কাছে আসলেই দুই দলের খেলোয়াড়েরাই খেই হারিয়ে ফেলছিলেন বারবার।

শুরুর ১৫ থেকে ২০ মিনিট নেতিয়ে থাকলেও সময় যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ক্রোয়েশিয়াকে চেপে ধরতে শুরু করে আইসল্যান্ড। ২৭ ও ২৮তম মিনিটে পরপর দুটি সুযোগও পায় তারা। তবে মিডফিল্ডার গুনারসন ও ডিফেন্ডার মাগুনসনের ব্যর্থতার সুযোগ কাজে লাগাতে ব্যর্থ হয়। প্রতি আক্রমণের কৌশল বেশ কার্যকর মনে হয় তখন। নিজেদের রক্ষণ ঠিক রেখে দ্রুত গতির পাল্টা আক্রমণে উঠে আসা আইসল্যান্ড ভয় ধরিয়ে দিচ্ছিল ক্রোয়েশিয়ার রক্ষণে। ক্রোয়েশিয়ার বল দখল আর আইসল্যান্ডের পাল্টা আক্রমণে চলে প্রথমার্ধের খেলা। তবে কাজের কাজ করতে পারছিল না কোনো দলই। গোলমুখে এলমেলো শটে স্কোরলাইন ০-০ রেখেই শেষ হয় প্রথমার্ধের খেলা।

দ্বিতীয়ার্ধের খেলা শুরু হলে ক্রোয়েশিয়াকে বেশ উজ্জীবিত মনে হয়। খেলায়ও রং ফিরে আসে। গোলের দেখা পেতেও বেশি সময় লাগেনি। ৫১ মিনিটে মিলান বাদেলির শট আইসল্যান্ডের ক্রসবারে লেগে মাঠের বাইরে গেলে গোল বঞ্চিত হয় ক্রোয়েশিয়া। তবে গোল পেতে দুই মিনিটের বেশি অপেক্ষা করতে হয়নি তাঁকে। মডরিচের পা থেকে আসা বল দুর্দান্ত হাফভলিতে আইসল্যান্ডের জালে জড়ান বাদেলি। ১-০ গোলে এগিয়ে যায় ক্রোয়েশিয়া। এরপর দুই দলই বেশ কিছু সুযোগ পেয়েও কাজে লাগাতে পারেনি।

ম্যাচের প্রায় ১৫ মিনিট বাকি। তখনই পেনাল্টি পেয়ে বসে আইসল্যান্ড। ৭৬ মিনিটে পেনাল্টি থেকে দলকে সমতায় ফেরাতে কোনো সমস্যা হলো না জিলফি সিগার্ডসনের। ক্রোয়েশিয়াও বসে থাকার দল নয়। জয়ের জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে তারা। একের পর এক আক্রমণে চোখ রাঙাতে থাকে আইসল্যান্ডকে। শেষ বাঁশি বাজার আগমুহূর্তে ৯০তম ইভান পেরিসিচের গোলে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়েই মাঠ ছাড়ে ক্রোয়েশিয়া।