Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

রিয়াল মাদ্রিদ ছেড়ে জুভেন্টাসে রোনালদো!

ronaldoশেষ পর্যন্ত গুঞ্জনই সত্যি হয়ে গেল। রিয়াল মাদ্রিদ ছেড়ে আনুষ্ঠানিকভাবে জুভেন্টাসে নাম লেখাতে রাজী হয়েছেন ইতালিয়ান জায়ান্ট ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো। মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে তা জানিয়েছে স্প্যানিশ ক্লাবটি।

টানা ১০ বছর রিয়াল মাদ্রিদে কাটানোর পর ইতালিতে পাড়ি জমালেন ৩৩ বছর বয়সী রোনালদো। ১০৫ মিলিয়ন পাউন্ডের বিনিময়ে এ ট্রান্সফার রফাদফা করেছে দুই ক্লাব। এদিন রোনালদোর সঙ্গে জুভেন্টাস প্রেসিডেন্ট আন্দ্রে আগনেলি সাক্ষাৎ করেন। প্রায় দুই ঘণ্টার বৈঠকের পর রিয়াল ছাড়ার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসে।

chardike-ad

রিয়ালে ভালোই ছিলেন রোনালদো। দারুণ সব কীর্তি গড়লেও ক্লাব প্রেসিডেন্ট ফ্লোরেন্তিনো পেরেজের সঙ্গে তার সম্পর্কটা ভালো ছিল না। মূলত এটাই তার ক্লাব ছাড়ার অন্যতম কারণ। এদিন এক বিবৃতে রিয়াল জানায়, ‘ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো সবসময় রিয়াল মাদ্রিদের মহান প্রতীক হয়ে থাকবেন।’

‘রিয়াল মাদ্রিদ কৃতজ্ঞতা জানাতে চায় এমন একজন খেলোয়াড়কে যিনি নিজেকে বিশ্বের সেরা হিসেবে প্রমাণ করেছেন। যিনি আমাদের ক্লাবের এবং বিশ্ব ফুটবলের ইতিহাসের উজ্জ্বল সময়ের চিহ্ন এঁকেছেন। রিয়াল মাদ্রিদ সব সময়েই তোমার ঘর।’

বর্তমানে রোনালদোই জুভেন্টাসের ইতিহাসের সবচেয়ে দামী তারকা। গত মৌসুমেই ৭৫.৩ মিলিয়ন ইউরোর বিনিময়ে আর্জেন্টাইন তারকা গঞ্জালো হিগুয়েইনকে কিনেছিলে দলটি। এতো দিন এটাই ছিল সর্বোচ্চ।

ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড থেকে ২০০৯ সালে ৮০ মিলিয়ন ইউরোর বিনিময়ে রিয়ালে নাম লিখিয়েছিলেন রোনালদো। গত ১০ বছরের ক্লাবের ইতিহাসের সর্বোচ্চ গোলদাতার আসনটি নিজের করে নিয়েছেন। ৪৩৮ ম্যাচে করেছেন ৪৫০টি গোল। চারটি চ্যাম্পিয়ন লিগ, দুটি লা লিগা, দুটি কোপা দেল রে, দুটি স্প্যানিশ সুপার কাপ, তিনটি ইউরোপিয়ান সুপার কাপ ও তিনটি ক্লাব বিশ্বকাপ জিতেছেন।

এছাড়াও এ সময়ের মধ্যে চারটি ব্যালন ডি’অরও জিতেছেন রোনালদো। এর আগে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের হয়ে ছয় মৌসুম খেলে জিতেছেন আটটি ট্রফি। যার মধ্যে ২০০৮ সালের চ্যাম্পিয়ন লিগের শিরোপাও ছিল।