Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

দ. কোরিয়ায় বিপজ্জনক হারে বাড়ছে সরকারি ঋণ

সিউল, ৬ জানুয়ারী ২০১৪:

দক্ষিণ কোরিয়ায় ১০ বছর ধরে সরকারি ঋণের পরিমাণ বেড়েই চলছে। প্রথম সারির অর্থনীতির অন্য দেশগুলোর তুলনায় তা কম হলেও ঋণ বৃদ্ধির এ হার দেশটির জন্য বিপজ্জনক। গতকাল রোববার দেশটির অর্থ ও বাজেট মন্ত্রণালয়ের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সূত্র এ তথ্য জানায়। খবর ইয়ানহাপ নিউজের।

chardike-ad

এদিকে চলতি বছরের বাজেট হিসাবে সরকারি ঋণ দাঁড়াবে ৫১৪ দশমিক ৮ ট্রিলিয়ন ওন, যা গত বছরের তুলনায় ৫০ দশমিক ১ ট্রিলিয়ন বেশি। দেশটির জিডিপির বিপরীতে ঋণের হার ৩৬ দশমিক ৪ শতাংশ। উন্নত অর্থনীতির দেশগুলোর সংগঠন অর্গানাইজেশন ফর ইকোনমিক কো-অপারেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (ওইসিডি) সদস্য দেশগুলোর জিডিপির বিপরীতে ঋণের গড় ১০৮ দশমিক ৮ শতাংশ। এর সঙ্গে তুলনা করলে দক্ষিণ কোরিয়ার সরকারি ঋণ অনেক কম, কিন্তু যে গতিতে দেশটির ঋণ বেড়ে চলেছে, তা বিপজ্জনক বলে উল্লেখ করেন অর্থনীতিবিদরা।

2student-loans২০০০ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত সময়ে দক্ষিণ কোরিয়ার ঋণ বেড়েছে ১২ দশমিক ৩ শতাংশ, যা স্পেন, ইতালি ও গ্রিসের মতো আর্থিক সংকটে থাকা দক্ষিণ ইউরোপের দেশগুলোর তুলনায় বেশি।
সরকারি কর্মকর্তারা বলছেন, দেশটিতে বয়স্ক জনগোষ্ঠীর সংখ্যা বেড়ে চলেছে। ফলে জনপ্রতি ঋণের যে বোঝা থাকবে, তা কতটা বহন করা যাবে তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। দেশটিতে সম্পদবহির্ভূত ঋণের পরিমাণও উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বাড়ছে। গত বছর প্রথমবারের মতো এ ঋণ বেড়ে হয়েছে ২৪৫ দশমিক ৪ ট্রিলিয়ন ওন। এ ধরনের ঋণ সাধারণত করদাতাদের উপরেই পড়ে। যদিও সরকার আশা করছে এ ঋণ ক্রমেই কমিয়ে আনা হবে। ২০১৭ সাল নাগাদ তা ৩৫ দশমিক ৬ শতাংশে নামিয়ে আনা হবে বলেও আশা করছে তারা।

যদিও সরকারের এ লক্ষ্য কতটা পূরণ হবে, তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন বিশ্লেষকরা। কারণ দেশটিতে স্বাস্থ্যসেবাসহ অন্যান্য কল্যাণমূলক কর্মসূচিতে সরকারের ব্যয় বাড়ছে। এ ধরনের তহবিল পূরণ করতে বাজেটে টান পড়ছে। এর মধ্য দিয়ে কীভাবে ঋণ কমানো যায়, এ প্রশ্নই এখন তাদের মধ্যে। সূত্রঃ বণিকবার্তা।