Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

kimউত্তর কোরিয়া ‘নতুন তৈরি অত্যাধুনিক’ একটি অস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ আলোচনার মধ্যেই দেশটির শীর্ষ নেতা কিম জং-উনের উপস্থিতিতে এই অস্ত্রের পরীক্ষা করা হয়। ১৬ নভেম্বর, শুক্রবার দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমে অত্যাধুনিক এই অস্ত্র পরীক্ষার কথা জানানো হয়। তবে অস্ত্রটি সম্পর্কে খুব বেশি জানা যায়নি।

অস্ত্রটি নতুন কি না, সেটাও নিশ্চিত নয়। ওয়াশিংটনের সঙ্গে আলোচনা যদি এমন ধীরগতিতে চলে, তবে পিয়ংইয়ং যে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আবারও সামরিক সংঘাতে ফিরে যাবে, তারই নজির যেন এই অস্ত্র পরীক্ষা।

chardike-ad

যশ পোলক নামে এক জ্যেষ্ঠ গবেষণা সহকারী সিএনএনকে বলেন, কিম যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনায় আরও বেশি আক্রমণাত্মক ভঙ্গিতে এগোচ্ছেন। যুক্তরাষ্ট্র যদি তাদের আচরণের পরিবর্তন না করে তবে তিনি যে খুব সহজে ছাড় দিবেন না এবং পুরনো রূপেই ফিরে যাবেন, তারই ইঙ্গিত এটা।

উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা কেসিএনএ জানায়, শুক্রবার সকালে এই পরীক্ষা চালানো হয়। তবে সংস্থাটি অস্ত্রটি সম্পর্কে বিস্তারিত কোনো তথ্য এবং কোথায় এটির পরীক্ষা চালানো হয় তারও বিস্তারিত বলেনি। এই অস্ত্র পরীক্ষা ‘কৌশলগত’ ছিল এবং অস্ত্রটি কিমের বাবা প্রয়াত কিম জং ইলের তত্ত্বাবধানে ‘ব্যক্তিগতভাবে’ কমিশন করা হয়েছিল।

সামরিক জ্ঞানসম্পন্ন দক্ষিণ কোরিয়া সরকারের একটি সূত্র বলেছে, ‍অস্ত্রটি দূরপাল্লার আর্টিলারির মতো ছিল যা, মাল্টিপল রকেট লাঞ্চার। সূত্রটি বলে, ‘এটা কৌশলগত অস্ত্র পরীক্ষা। আমরা এই ঘটনাকে উত্তর কোরিয়ার সামরিক উত্তেজনা হিসেবে দেখতে চাই না।’

চলতি বছরে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জে ইন ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে উচ্চ পর্যায়ের সম্মেলনে অংশ নেওয়ার পর এই প্রথমবার কিম জং-উনকে কোনো সামরিক অনুষ্ঠানে প্রকাশ্যে আসতে দেখা গেল।