Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

সরকারি চাকরিতে চার লাখ শূন্যপদ

gvt-jobবর্তমানে সরকারি চাকরিতে চার লাখেরও বেশি পদ শূন্য রয়েছে। সূত্র জানায়, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সর্বশেষ হিসাব অনুযায়ী সরকারি চাকরিতে প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণীতে অনুমোদিত মোট পদ ১৭ লাখ ৬২ হাজার ১৯৫টি। এর মধ্যে কর্মরত আছেন ১৩ লাখ ৬২ হাজার ২৯৮ জন। অবশিষ্ট ৩ লাখ ৯৯ হাজার ৮৯৭টি পদ খালি আছে। এ হিসাবটি আমলে নিলে শূন্যপদের সংখ্যা প্রায় ৪ লাখ। এর মধ্যে প্রথম শ্রেণীতে ৪৮ হাজার ৭৯৩টি, দ্বিতীয় শ্রেণীতে ৬৫ হাজার ৮৩টি, তৃতীয় শ্রেণীতে ২ লাখ ৬ হাজার ৭৬০টি এবং চতুর্থ শ্রেণীতে ৭৯ হাজার ২৬১টি খালি আছে।

আমলাতান্ত্রিক নানা জটিলতা, প্রভাবশালী তদবিরের ব্যাপক প্রভাব এবং অনেকক্ষেত্রে নিয়োগ বাণিজ্য প্রকট আকার ধারণ করায় নিয়োগ বিলম্বিত হচ্ছে। এই বিপুল পরিমাণ পদে নিয়োগ দেওয়া হলে সরকারি কাজে যেমন গতি আসবে তেমনি অনেক বেকার যুবকের কর্মসংস্থান হবে। বেকারত্বের হারও কমবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

chardike-ad

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিব ফয়েজ আহম্মদ বলেন, মনে রাখতে হবে- আমরা অসংখ্য পদ সৃষ্টি করছি বলেই এত শূন্যপদের কথা বলা হচ্ছে। এ সরকারের আমলে ১০ বছরে লাখ লাখ পদ সৃষ্টি ও নিয়োগ দেয়া হয়েছে। এটিও বিবেচনায় নিতে হবে। এছাড়া সরকারের রাজস্ব খাতের বাইরে রয়েছে উন্নয়ন প্রকল্পে বড় চাকরির বাজার। সেখানে বিপুল সংখ্যক লোক চাকরির সুযোগ পেয়েছে এবং এখনও পাচ্ছে। কেননা বর্তমান সরকারের আমলে সংখ্যা ও বৃহৎ সাইজের প্রকল্প এর আগে কোনো সরকার গ্রহণ করেনি। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল বিদ্যুৎ, আইসিটি ও রেলওয়ে খাত। পদ্মা সেতু ও পায়রা বন্দর, রূপপুর পারমাণবিক কেন্দ্র, হাই-টেক পার্কের কথা ভুলে গেলে চলবে না। এছাড়া রাজস্ব খাতে শুধু পুলিশেই ৫০ হাজারের বেশি পদ সৃষ্টি ও চাকরি দেয়া হয়েছে।

তার মতে, একটি পদের বিপরীতে অসংখ্য আবেদন থাকে। মূলত এসব কারণে নিয়োগ প্রক্রিয়া একটু বিলম্বিত হয়। তবে শূন্যপদের বিষয়টি দ্রুত কীভাবে সহজীকরণ ও নিষ্পত্তি করা যায়, সেজন্য মন্ত্রিপরিষদ সচিব একটি উদ্যোগ নিতে যাচ্ছেন। যেখানে সব সচিবের সঙ্গে একটি বৈঠক করে এর সহজীকরণ উপায় বের করা হবে। এছাড়া প্রধানমন্ত্রীও এ বিষয়ে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে আসছেন।

তথ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব আবদুল মালেক বলেন, এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর দিকনির্দেশনা যথাযথভাবে বাস্তবায়নে আমাদের সংশ্লিষ্ট সবাইকে আরও সক্রিয় ভূমিকা রাখতে হবে। বিশেষ করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে জোরালো মনিটরিং করাসহ জবাবদিহিতার বিষয়টি সুনিশ্চিত করতে হবে। কেননা শূন্যপদের বিষয়ে প্রতিমাসে প্রতিটি মন্ত্রণালয় থেকে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগকে রুটিনমাফিক তথ্য দেয়া হয়। তিনি মনে করেন, অনেক ক্ষেত্রে ঝামেলা এড়াতে সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন না করার কারণেও শূন্যপদ পূরণে সময়ক্ষেপণ হয়। এতে শূন্যপদ বেড়ে যায়।

এদিকে পরিসংখ্যান ব্যুরোর সর্বশেষ শ্রমশক্তি জরিপের তথ্য অনুযায়ী দেশে মোট বেকারের সংখ্যা ২৬ লাখ ৭৭ হাজার। এর মধ্যে পুরুষ ১৩ লাখ ৪৭ হাজার এবং মহিলা ১৩ লাখ ৩০ হাজার। দক্ষ ও অদক্ষ মিলিয়ে যাদের বয়স ১৫ বছরের ওপরে।