সিউল, ২৪ ফেব্রুয়ারী, ২০১৪:
বাল্যবিবাহ অনুষ্ঠান বা পরিচালনার ক্ষেত্রে জড়িতদের দুই বছরের পরিবর্তে ৪ বছর পর্যন্ত কারাদন্ডের বিধান রেখে বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন চূড়ান্ত করার সুপারিশ করা হয়েছে। আজ দুপুরে সিরডাপ মিলনায়তনে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন আয়োজিত প্রস্তাবিত বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন,২০১৪ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় মুক্ত আলোচনায় বক্তারা এ সুপারিশ করেন।
এ ছাড়া এই আইনের খসড়ায় অপরাধ আমলে নেয়ার মেয়াদ এক বছর না করে এর সময়সীমা বাড়ানো , আইনের খসড়ায় নাবালক শব্দটি তুলে দেয়া এবং শিশুবিবাহে নিবন্ধনকারী ও কাজীকে একই ধরনের শাস্তি প্রদানের সুপারিশও করা হয়।
খসড়ায় ছেলে ও মেয়ের বয়স ২১ ও ১৮ বছর উল্লেখ করা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে একই বয়স করারও সুপারিশ করা হয়।
এছাড়া বাল্যবিবাহের কুফল সম্পর্কে শিক্ষার্থী ও সমাজকে সচেতন করার লক্ষ্যে সকল স্তরের পাঠ্যসূচীতে বিষয়টি অর্š—ভূক্ত করার বিষয়েও সুপারিশ করা হয়।
জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি এম ঈমান আলী।
সভায় মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব তাহমিনা বেগম, বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সভানেত্রী আয়েশা খানম,জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সদস্য অ্যাডভোকেট ফৌজিয়া করিম ফিরোজ,জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সদস্য প্রফেসর মাহফুজা খানম ও নিরুপা দেওয়ান বক্তৃতা করেন।
শিশু অধিকার ফোরামের সদস্য ইমরান হক, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক মাসুম বিল্লাহ, ইউএনডিপির প্রকল্প ব্যবস্থাপক আসাদুর রহমান ও অ্যাডভোকেট ফেরদৌসী মুক্ত আলোচনায় অংশ নেন।
এতে সূচনা বক্তব্য রাখেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশন ও শিশু অধিকার কমিটির সভাপতি কাজী রিয়াজুল হক।
মানবাধিকার কমিশন চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান সমাজ থেকে বাল্যবিবাহ নির্মূল করতে সামাজিক দৃস্টিভঙ্গীর পরিবর্তনের পাশাপাশি কাজী ও ধর্মীয় নেতাদের বেশি বেশি প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
বিচারপতি ঈমান আলী বলেন, আইন পরিবর্তনশীল। সমাজের প্রয়োজনে আইন প্রণয়ন করা হয়। বাল্যবিয়েকে শিশু বিয়ে উল্লেখ করে তিনি বলেন, উপযোগী আইন এবং সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধিই এ ধরনের বিবাহ রোধ করতে পারে।
এ মতবিনিময় সভায় ইউএনডিপিসহ কয়েকটি আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা সহযোগিতা করে।