Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

সিউলের জনসংখ্যা কমছে, হ্রাস পাচ্ছে উৎপাদন

অনলাইন প্রতিবেদক, সিউল, ১ মার্চ, ২০১৪:

দ. কোরিয়ার রাজধানি সিউলের জনসংখ্যা শহরটির ২৫ বছরের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ১ কোটির নীচে নেমে গেছে। সিউল মেট্রোপলিটন গভঃমেন্ট গত সপ্তাহে জানিয়েছে গেলো বছরের ডিসেম্বরে রাজধানীর জনসংখ্যা ছিল ১ কোটি ১ লক্ষ ৪০ হাজার। কিন্তু চলতি মাসের এক শুমারিতে এ সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৯৯ লক্ষ ৯০ হাজারে। এ সময় বাকি প্রায় দেড় লক্ষ মানুষের সিউলে অবস্থান নিশ্চিত করা যায় নি। উল্লেখ্য, রেসিডেন্ট আইডেন্টিফিকেশন কার্ডে সিউলের কোন ঠিকানা থাকা পর্যন্ত এবং মৃত বা নিখোঁজ ঘোষিত না হওয়া পর্যন্ত একজন নাগরিক কাগজেকলমে সিউলের অধিবাসী হিসেবে গণ্য হবেন।

chardike-ad

Seoul, KOREAসরকারি নথিপত্র বলছে ১৯৯২ সালে সিউলের জনসংখ্যা সর্বোচ্চ ১ কোটি ৯ লক্ষ ৭০ হাজারে উন্নীত হয়। এরপর থেকেই রাজধানীর জনসংখ্যা ছিল নিম্নমুখী। জনসংখ্যা হ্রাসের অন্যতম কারণ হিসেবে দেখা হচ্ছে ক্রমবর্ধমান আবাসন ভাড়াকে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন এই একটি কারণেই বিপুলসংখ্যক নাগরিক সিউলকে বেষ্টন করে থাকা খিওংগি ও পার্শ্ববর্তী ইনচন প্রদেশে ঠাই নিচ্ছেন। স্ট্যাটিস্টিকস কোরিয়ার তথ্যমতে ২০১৩ সালে সিউল থেকে অন্তত ১ লক্ষ মানুষ বেরিয়ে গেছেন যাদের ৬০ শতাংশই নতুন ঠিকানা নিবন্ধন করেছেন খিওংগি প্রদেশে।

রাজধানী শহরের আরেকটি বড় সমস্যা হিসেবে দেখা হচ্ছে দ্রুত বর্ধমান বয়স্ক নাগরিকের সংখ্যাকে। গত বছরের হিসেবমতে সিউলের মোট জনসংখ্যায় ষাটোর্ধ নাগরিকদের শতকরা হার ছিল ১৬.৬, ২০১০ সালে যা ছিল ১৪.৬ শতাংশ। ২০১০ সালের শেষে সিউলে ৬৫ বা তদূর্ধ্ব বয়সের নাগরিকদের সংখ্যা দশ লক্ষ ছাড়িয়ে গিয়েছিল এবং তা ২০২৭ সাল নাগাদ ২০ লক্ষ অতিক্রম করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। সে তুলনায় ২০ থেকে ৪০ বছর বয়সীদের সংখ্যা কমে যাচ্ছে। উল্লেখিত সময়ে ২০ বছর বয়সীদের সংখ্যা শতকরা হিসেবে ১৫.৪ থেকে ১৪.৪-এ নেমেছে। ৩০ বছর বয়সী নাগরিক ০.৭ শতাংশ কমে হয়েছে ১৭.৪ শতাংশ। আর ৪০ বছর বয়সীদের সংখ্যা মোটামুটি ১৭ শতাংশে স্থির রয়েছে।

অর্থনৈতিকভাবে সক্রিয় জনশক্তির ক্রমান্বয়ে হ্রাস পাওয়া রাজধানীর উৎপাদনশীলতাকেও কমিয়ে দিচ্ছে। স্ট্যাটিস্টিকস কোরিয়ার নথি বলছে, ১৯৯৫ সালে সিউলের আঞ্চলিক নীট উৎপাদন রেকর্ড করা হয়েছিল মোট জাতীয় উৎপাদনের ১৫ শতাংশ। অথচ ২০১২ সালে এই হার নেমে আসে ২ শতাংশে যা গেলো বছর কোরিয়ার জাতীয় প্রবৃদ্ধি ২.৮ শতাংশেরও কম। এসব পরিসংখ্যান এটাই প্রমাণ করছে যে রাজধানী শহরটি অর্থনৈতিকভাবে আর দেশের চালকের আসনে নেই।