কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার বামনডাঙ্গা ইউনিয়নের প্রত্যন্ত চরাঞ্চলের গ্রাম লুচনীতে গৃহবধূর বিরুদ্ধে ১৩ দিন বয়সী কন্যাকে টয়লেটে ফেলে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। শনিবার (৯ মার্চ) এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ টয়লেট থেকে শিশু কন্যাটির লাশ উদ্ধার এবং মা বিলকিছকে আটক করেছে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, লুচনী গ্রামের জেলাল উদ্দিনের পুত্র বায়েজিদের সাথে ৭ বছর আগে বিলকিছের বিয়ে হয়। তাদের ৫ বছর বয়সী এক শিশু কন্যা রয়েছে। ১৩ দিন আগে আরও এক কন্যার জন্ম হয়। তার নাম রাখা হয় কুলসুম।
শনিবার (৯ মার্চ) দুপুরের দিকে কুলসুমকে দেখতে না পেয়ে বায়েজিদের ছোট ভাইয়ের স্ত্রী খোঁজাখুঁজি করলে শিশুটিকে বাড়ির টয়লেটে দেখতে পান। এরপর শিশুটিকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। শিশুটির মা বিলকিছ কোন সদুত্তর দিতে না পারায় সে কুলসুমকে টয়লেটে ফেলে হত্যা করেছে বলে পরিবারের অন্যান্য লোকজন সন্দেহ করে। ঘটনাটি স্থানীয় চৌকিদার সোলায়মান থানায় জানালে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে শিশুটির লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে এবং বিলকিছকে আটক করে।
নাগেশ্বরী থানার অফিসার ইনচার্জ জাকির উল ইসলাম জানান, বায়েজিদ এবং তার বাবা কাজের জন্য জেলার বাইরে আছেন। তারা বাড়ি ফিরলে মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া শেষ হবে।
তিনি আরও জানান, পরিবারের লোকজনের অভিযোগের প্রেক্ষিতে বিলকিছকে আটক করা হয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এছাড়া রোববার সকালে শিশুটির লাশ ময়না তদন্তের কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে।
সৌজন্যে- সময়টিভি