ইউটিউব ঘাটতে ঘাটতে হঠাৎ চোখে পড়লো বাংলাদেশের একটি ফিড ইন্ডাস্ট্রির করপোরেট ফিল্মে। যেহেতু কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়য়ের ছাত্র তাই এই সব ভিডিও দেখা কখনো মিস করতে চাই না। দেখা শুরু করলাম প্রায় ১০ মিনিট ব্যাপ্তির একটি ভিডিও। মূলত ভিডিওটির প্রথম ভাগই আমার দেখার আগ্রহকে বাড়িয়ে তুলছে। দেখতে পেলাম দুইজন খামারির সফলতার গল্প। এরপরই ক্রমান্বয়ে জানতে পারলাম এর প্রতিষ্ঠাকাল, উৎপাদন প্রক্রিয়াকরণ থেকে শুরু করে ডেলিভারি সিস্টেম পর্যন্ত।
ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন দিক তুলে ধরার পাশাপাশি কয়েকজন সফল খামারি এবং পরিবেশকও এই ফিড ব্যবহারের মাধ্যমে তাদের সন্তোষজনক বার্তা বক্তব্যে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেছেন। দেখেই বুঝতে পারলাম এখানে ব্যবহৃত হয়েছে অত্যাধুনিক সব প্রযুক্তি এবং রয়েছে মন জুড়ানো কিছু শট। নির্মাতা স্ক্রিপ্ট থেকে শুরু করে প্রতিটি ক্ষেত্রেই দক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন।
এরপর ফেসবুক ঘেটে বের করলামের নির্মাতা মো. মহিউদ্দিন মোস্তফাকে। ধন্যবাদ জানালাম তাকে চমৎকার এ কাজটির জন্য। কন্টাক্ট নাম্বার চাওয়ার সাথেই সেটিও দিয়ে দিলেন। এরপর মুঠোফোনে কথা হল কর্পোরেট ফিল্মটির নির্মাতার সঙ্গে।
তিনি জানান ‘দেশের শীর্ষ স্থানীয় প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে প্রমোশনাল কাজ করা সত্যিই গর্বের বিষয়। তারা দেশের প্রাণিসম্পদের উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। আমরা ভিডিওটিতে বাংলাদেশের ফিড সেক্টরের উল্লেখযোগ্য কিছু বিষয় তুলে ধরেছি। ভবিষ্যতে এরকম আরো ভালো কাজ করতে চাই।
ভিডিওটি থেকে আরো জানতে পারলাম, বাংলাদেশে আর্থসামাজিক উন্নয়ন, পুষ্টির ঘাটতির দূরীকরণ এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য আশির দশকে যাত্রা শুরু করে এগ্রো ইন্ডাস্ট্রিয়াল ট্রাস্ট (এআইটি) এবং এটিই প্রথম বাণিজ্যিকভাবে ফিড উৎপাদন শুরু করে।
গাজীপুরের শফিপুরে প্রায় ৯ একর জায়গার ওপর গড়ে উঠেছে এর সুবৃহৎ ফ্যাক্টরি। বর্তমানে এই প্রতিষ্ঠানটি পোল্ট্র্রি, ফিস এবং ক্যাটল ফিড উৎপাদন করছে। করপোরেট ফিল্মটি মো. মহিউদ্দিন মোস্তফার পরিচালনায় এবং অ্যাডভারটাইজিং কোম্পানি ‘ফিল্ম ক্যাসল ওয়ার্ল্ডওয়াইড’ লিমিটেডের তত্ত্বাবধানে নির্মিত হয়েছে।