পাবনার বেড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এক চিকিৎসক রোগীর বাবাকে কিল-ঘুষি মেরে রক্তাক্ত করেছেন। শনিবার বেড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। ঘটনার পর থেকে হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. মিলন মাহমুদ আত্মগোপন করে রয়েছেন। এ ব্যাপারে বেড়া মডেল থানায় একটি অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।
থানার অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, শনিবার বিকেলে বেড়া উপজেলার সানিলা গ্রামের সোনাই মোল্লা (৩৫) তাঁর অসুস্থ ছেলেকে নিয়ে বেড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যান। এ সময় সোনাই মোল্লা তাঁর ছেলেকে চিকিৎসা দেওয়ার কথা বললে ডা. মিলন মাহমুদ উত্তেজিত হয়ে পড়েন। তিনি সোনাই মোল্লাকে এলোপাতাড়ি কিল-ঘুষি মারেন এবং সানাই মোল্লার বাইসাইকেল লাথি দিয়ে ফেলে দেন। এতে সোনাই মোল্লার বাঁ চোখ ও ঠোট ফেটে যায়। এ ছাড়া শরীরের নানাস্থানে ফোলা জখমও হয়।
আহত সোনাই মোল্লা বলেন, কোনো কিছু বোঝার আগেই আমাকে অহেতুক মারধর করে। তার পর থেকে আমি সাঁথিয়া উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছি।
এ ব্যাপারে ডা. মিলন মাহমুদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তাঁকে পাওয়া যায়নি। তাঁর মোবাইল ফোনও বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে।
যোগাযোগ করা হলে পাবনার ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন ডা. কেএম আবু জাফর বলেন, বিষয়টি তাঁর জানা নেই। ঘটনা জেনে পরে কথা বলবেন।
বেড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহেদ মাহমুদ বলেন, এ ব্যাপারে একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত শেষে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সৌজন্যে- এনটিভিবিডি