অধরা শিরোপায় চুমু খেতে ফাইনালে ২৪২ রানের লক্ষ্য পেয়েছে ইংল্যান্ড। প্রথমে ব্যাট করা নিউজিল্যান্ড নির্ধারিত ৫০ ওভার শেষে ৮ উইকেট হারিয়ে ২৪১ রান করেছে। দলের হয়ে একমাত্র হাফসেঞ্চুরিটি আসে ওপেনার হেনরি নিকোলসের ব্যাট থেকে। তবে দারুণ বল করা ক্রিস ওকস ও লিয়াম প্ল্যাঙ্কেট কিউইদের স্কোর খুব বড় করতে দেননি। রোববার (১৪ জুলাই) লর্ডসে চলমান ইংল্যান্ড-নিউজিল্যান্ডের মধ্যকার ফাইনালে টসে জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন কিউই অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন।
কিউই ইনিংসের শুরুতে মাত্র ১৯ রানেই মাঠ ছাড়েন ডানহাতি ব্যাটসম্যান মার্টিন গাপটিল। প্রথম পর্বে কেবল মাত্র শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৭৩ রান ছাড়া পুরো বিশ্বকাপে বলার মতো রান আসেনি নিউজিল্যান্ড ওপেনার মার্টিন গাপটিলের ব্যাটে। সে ব্যর্থতার ধারাই ধরে রাখলেন ফাইনালেও।
কেন উইলিয়ামসন ফেরেন প্ল্যাঙ্কেটের বলে। দলীয় শতকের পর তার খেলা বল আলতো ছুঁয়ে ইংল্যান্ড উইকেটরক্ষকের হাতে যায়। আম্পায়ার নট আউট দিলেও শেষ পর্যন্ত রিভিউ নিয়ে উইকেটটি নিজেদের করে নেয় ইংল্যান্ড। উইলিয়ামসন ফেরেন ব্যক্তিগত ৩০ রানে। ৫৩ বলে এই ইনিংস খেলতে দুটি চার হাঁকান।
দলীয় সর্বোচ্চ রান করেন হেনরি নিকোলস। এই ওপেনার ৭৭ বলে ৪টি চারে ৫৫ করে প্ল্যাঙ্কেটের বলে বোল্ড হন। এটি তার ওয়ানডে ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় হাফসেঞ্চুরি। পরে আরেক ভরসার ব্যাটসম্যান রস টেইলরকে ব্যক্তিগত ১৫ রানে এলবির ফাঁদে ফেলেন মার্ক উড।
লিয়াম প্ল্যাঙ্কেটের তৃতীয় শিকার হয়ে মাঠ ছাড়েন জেমস নিশাম। জো রুটের কাছে ক্যাচ দেওয়ার আগে ২৫ বলে ৩টি চারে ১৯ রান করেন তিনি। নিউজিল্যান্ডের দলীয় দু’শ রান পার করতে সাহায্য করেন টম ল্যাথাম। ৫৬ বলে ৪৭ করে তিনি ওকসে শিকারে পরিণত হন। দুটি চার ও একটি ছক্কা হাঁকান তিনি। ইংলিশ বোলারদের মধ্যে ওকস ও প্ল্যাঙ্কেট তিনটি করে উইকেট ভাগাভাগি করে নেন। এছাড়া আর্চার ও উড একটি করে উইকেট পান।